ভারতের লেজুড়বৃত্তি এবং ভারতের অন্ধ বিরোধীতা বাংলাদেশের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আমাদের মত আম পাবলিক এবং দল নিরপেক্ষদের কাছে ভারতের অন্ধ বিরোধিতা যেমন গ্রহণযোগ্য নয় তেমনি ভারতের গোলামীও সহ্য করার মত নয়। গত নির্বাচনের আগে মানুষ বিএনপিপন্থীদের মুখে আওয়ামীলীগের ভারত তোষনের প্রপাগান্ডায় খুব একটা কান দেয় নি। আমিও কান দেই নি। তার কারণ দীর্ঘ দিন আওয়ামীলীগ ক্ষমতার বাইরে থাকায় আমরা তাদের চরিত্র ও মানসিকতা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।
এছাড়া ভেবেছিলাম ইসলামের সাথে বিদ্বেষ এবং অতিরিক্ত ভারত প্রীতির কারণে আওয়ামীলীগকে ৭৫ এর পর থেকে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে,ফলে দলটির শীর্ষ পর্যায়ে নিশ্চয়ই এতদিনে সম্বিত ফিরে এসেছে। এই ভেবে আমরা গত নির্বাচনের সময় বিএনপিপন্থীদের কথায় কান দেই নি এমন কি আওয়ামীলীগকেই ভোট দিয়েছি। কিন্তু নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার পর আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ যা দেখিয়েছে তাতে দেশের মানুষের কোন কিছু বুঝার আর বাকী নেই।
একটি বিষয় আমার বুঝে আসছে না, আওয়ামীলীগ কেন দেশের ধর্মীয় সংখ্যাগুরুদেরকে আস্থায় আনতে পারছে না!দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরকে বসিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা একের পর এক মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে কটুক্তি করে যাচ্ছে,কিন্তু সরকার তা ঢাকা দেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এর পরিণতি কি ভালো হবে? দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছে আওয়ামীলীগ ? আজ ধানমন্ডি বয়েজ হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক মদনমোহন দাস বিশ্ব নবী হযরত মোঃ (দঃ)কে নিয়ে সদম্ভে কটুক্তি করেছেন, স্কুলের শিক্ষক-ছাত্ররা তার শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করেছে। সরকার এখনো নিরব !(সূত্র এখানে দেখুন) এর আগে গোপালগঞ্জে শংকর বিশ্বাস একই কাজ করেছে, সরকার মুসলমানদের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করেছে, কিন্তু মজার বিষয় হলো, শংকর বিশ্বাসকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি। প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের সুযোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের সকল জঙ্গীদেরকে ধরে ফেলছেন এক এক করে, তারপর মিরসরাইয়ে ট্রাক দুর্ঘটনার ঘাতক ড্রাইভারকে কয়েক দিনের মাথায় তার দূর সম্পর্কিত আত্মিয়ের বাড়ী থেকে সাহারা বাহিনী ধরে ফেলতে সক্ষম হলো। কিন্তু হায়! শংকর বিশ্বাসকে ধরতে পারছেনা বাংলাদেশের প্রতাপশালী সাহারা বাহিনী । আমরা আম জনতা এটা কিভাবে মেনে নিতে পারি ?
একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা তার সহকর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই না কি যুবলীগের কয়েক জনকে দায়িত্ব দিয়েছে শংকরকে নিরাপদে বেনাপোল সীমান্ত পাড় হওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিতে।
এই যদি হয় তাহলে আমাদের যাত্রা কোন দিকে ? সাহারা খাতুনদের কি এতটুকু জ্ঞান নেই ? বাংলাদেশের মুসলমানরা সহনশীল। তারা ভারতের হিন্দুদের মত সংখালঘুদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে না। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব কটুক্তির বিচার ও প্রতিকার চাচ্ছে । কিন্তু সরকার রহস্যজনক আচরণ করে কোন পরিণতি ডেকে আনতে চাচ্ছে ? শুধু একটি কথাই বলতে চাই । বাংগালী মুসলমানরা সহনশীল এবং শান্তিপ্রিয়।
কিন্তু বাংগালী মুসলমানদের ইতিহাসে ৭১ আছে এবং ৭৫ও আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।