আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ পরিচিতিঃ আইভরি কোস্ট

এক নজরেঃ রাষ্ট্রীয় নামঃ রিপাবলিক অব কোট ডি আইভরি রাজধানীঃ ইয়ামোসুক্রো (আবিদজান-প্রশাসনিক) জাতীয়তাঃ আইভরিয়ান আয়তনঃ ৩২২৪৬০ বর্গ কিমি আন্তর্জাতিক সীমান্তঃ স্থল সীমান্ত ৩১১০ কিমি এবং সমুদ্র উপকূলীয় ভূমি ৫১৫ কিমি। জনসংখ্যাঃ ২০৬১৭০৬৮ (২০০৯) ধর্মঃ মুসলমান ৩৫.৪০%, খ্রিস্টান ২০-৩০%, দেশীয় ২৫-৪০ (২০০১)। মুদ্রাঃ ফ্রাঙ্ক স্বাধীনতা লাভঃ ৭ আগস্ট ১৯৬০ (ফ্রান্সের কাছ থেকে) জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভঃ ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ জাতীয় দিবসঃ ৭ আগস্ট ভাষাঃ ফ্রেঞ্চ সরকার প্রধানঃ রাষ্ট্রপতি পরিচিতিঃ আইভরি কোস্ট ঘানা ও লিবিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে ও উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের সীমান্তে অবস্থিত। অতীতে ফরাসি অধিকৃত, বিশ্বের তৃতীয় কফি উত্পাদনকারী বলে পরিচিত পশ্চিম আফ্রিকান দেশ আইভরি কোস্ট। দেশটির স্থানীয় নাম কোট ডি আইভরি।

ঐতিহাসিক পটভূমি :১৩ শতকে এই অঞ্চলে ইউরোপীয়রা হাতির দাঁত ও দাস ব্যবসার জন্য আগমন করে। ১৮৪২ সালে দেশটি ফরাসিদের অধিকারে আসে এবং ১৮৮২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স দেশটিকে সক্রিয় ও অব্যাহতভাবে অধিকারে রাখে। ফরাসিদের নিয়ন্ত্রণে ‘কোট ডি ভেয়ার’ নামে রাষ্ট্রটির উত্থান ঘটে। ১৮৮৯ সালে ১০ জানুয়ারি আইভরি কোস্ট ফ্রান্সের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়। ১৯০৪ সালে এটি ফরাসি পশ্চিম আফ্রিকার অংশে পরিণত হয়।

১৯৩৩ সালে আপার ভোল্টার অধিকাংশ ভূখণ্ড আইভরি কোস্টের সাথে যুক্ত হয়। কিন্তু এ অংশটুকু ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি পুনর্গঠিত আপার ভোল্টাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আর এ দেশটিই এখন বারকিনা ফাসো। ১৯৫৮ সালে ৪ ডিসেম্বর আইভরি কোস্ট ফরাসি সম্প্রদায়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। ১৯৬০ সালের ৭ আগস্ট দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে।

আইভরি কোস্ট যতদিন ফ্রান্সের অধীনে ছিল, ততদিন এর নাম ছিল কোতে ডি আইভোরে। ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশটি বর্তমান নামে (কোট ডি আইভরি) পরিচিত। কোকো উত্পাদন ও রপ্তানি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে কোকোর মূল্যহ্রাস ও রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে দেশটির অর্থনীতিতে একটি বড় রকমের ধাক্কা লাগে। ১৯৯৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।

২০০০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপ্রধান ও সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালমনি ওয়াত্তারাকে বহিষ্কার করায় সারা দেশজুড়ে উত্তেজনা ও সহিংসতা দেখা দেয়। একই বছরে ১ অক্টোবর জান্তা নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান রবার্ট গুয়েলকে অপসারণ করে লান্টেন্ট জিবাগবোকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয় এবং দশ মাসের সামরিক শাসনের অবসান ঘটে। অবস্থান ও আয়তন :এটি ৮০০র্০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৫০০র্০ পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। দেশটির পশ্চিমে লাইবেরিয়া ও গিনি, উত্তরে মালি ও বারাকিনা ফাসো, পূর্বে ঘানা, দক্ষিণে গিনি উপসাগর। দেশটির আয়তন প্রায় ৩,২২,৪৬০ বর্গকিলোমিটার।

আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ৬৮তম বৃহত্তম দেশ। প্রশাসনিক ব্যবস্থা :দেশটিকে ১৯টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এই ১৯টি অঞ্চলকে ৮১টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। ভূ-প্রকৃতি :দেশটিতে বালুময় সাগর সৈকত ও হ্রদ আছে। সৈকতের পশ্চাতে আছে গভীর বনাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ‘নিম্ব ম্যাসিফ’ নামে ১৭৫২ মিটার উঁচু একটি পর্বত আছে।

জলবায়ু :দেশটির আবহাওয়া গ্রীষ্মমণ্ডলীয় হলেও সমুদ্রের প্রভাব রয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোর বর্ষা ঋতু মে থেকে জুলাই এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। তবে মধ্যবর্তী অঞ্চলে মার্চ থেকে মে এবং জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকালে। দেশটির উত্তরাংশে বর্ষাকাল শুধুমাত্র জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। জানুয়ারি মাসে আবিদজানের তাপমাত্রা ২৭.৮০ সে. ও জুলাই মাসে ২৩.৯০ সে. পর্যন্ত ওঠানামা করে।

বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২১০০ মিলিমিটার। প্রধান নদী :কোমো, সাসান্দ্রা, বান্দামা। প্রাকৃতিক সম্পদ :পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, ম্যাঙ্গানিজ, আকরিক লৌহ, কোবাল্ট, লৌহ, বক্সাইট, তামা, বনজসম্পদ, জলশক্তি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।