আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রত্ন পাথর ও গ্রহদোষ প্রতিকার | জ্যোতিষ বচন

জীবন যেখানে দ্রোহের প্রতিশব্দ মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়। হ্যাঁ বাদী ও না বাদীদের কোন সমস্যা নেই , সমস্যায় পড়েন মধ্যমপন্থীরা। জ্যোতিষ শাত্রের গুষ্টি উদ্ধারের লোক যেমন আছে তেমনি এর প্রতিষ্ঠা জন্য লোকেরও অভাব নেই। পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও আমি কোন জ্ঞানকেই ছোট করে দেখি না। শখের বশে চর্চাকরি নিজের জন্য।

তার যৎসামান্য আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম । যদি বিশ্বাস করেন তবে দেখে নিন আপনি গ্রহ জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হলে কোন পাথর ব্যবহার করবেন ও তার কী গুন আর বিশ্বাস না হলে ধরে নিন এটি একটি নিছক রম্য পোস্ট। রত্ন পাথরের প্রকার ভেদ : নব গ্রহের জন্য নয়টি রত্ন পাথর নির্দেশিত। তারা হল রুবি , মুক্তা , হলুদ স্যাফায়ার , এমারেল্ড (পান্না) , হীরা , রক্ত প্রবাল , নীল স্যাফায়ার (নীলা) , গোমেদ এবং ক্যাটস আই। রুবি : এটি সূর্যের কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়।

লাল , হলুদ , ও গোলাপী রঙের হয়ে থাকে। সর্বোত্তম টি গোলাপী রঙের। এটি প্রশাসনিক কাজে সাফল্য , শত্রু মুক্তি , ঋণ ও রোগ শোক মুক্তি , দীর্ঘায়ু স্বাধীন জীবনের জন্য ব্যবহার করা হয়। মুক্তা ( পার্ল ) : এটি চন্দ্রের কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। অনেক রঙেরই হয় তবে লাল ও সাদা গোলাকার মুক্তা সর্বোত্তম।

এটি আবেগ নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন , কর্মোদ্দীপনা , সৌভাগ্য , সুনাম ও উত্তম স্মৃতিশক্তি প্রদান করে। ইয়েলো স্যাফায়ার (পোখরাজ) : এটি বৃহস্পতির কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি হালকা হলুদ বা সোনালী বর্ণের হয়ে থাকে। এটি আপনাকে মেধাবী , দানশীল , ধার্মিক ও অপরের নিকট সম্মানিত ব্যাক্তিতে পরিনত করে। প্রদান করে সুখ , সুসন্তান , সম্পদ , অর্থ সম্পদ , সুনাম , সাফল্য ।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বাধা এবং অহেতুক সম্পদ ক্ষয় প্রতিরোধ কল্পে হলুদ স্যাফায়ারের কোন বিকল্প নেই। এমারেল্ড (পান্না) : এটি বুধের কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সবুজ ভেলভেট রঙের হয়ে থাকে। সম্পদ , সন্তান , ভূসম্পত্তি , সুস্বাস্থ্য , সুখ সমৃদ্ধি , পেশাগত সুনাম ও সম্মান অর্জনের জন্য উত্তম। ডায়মন্ড ( হীরা ) : এটি শুক্র কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়।

সাদা , লাল , নীল , কালো রঙের হয়ে থাকে। এটি দীর্ঘায়ু ও জীবনে সমৃদ্ধি প্রদান করে। সৌভাগ্য , নাম , যশ , বুদ্ধিমত্তা , সন্তান ও সুখী বিবাহিত জীবন প্রদান করে থাকে। রক্ত প্রবাল (রেড কোরাল) : এটি মঙ্গলের কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। মূলত লাল রঙের হয়ে থাকে।

এটি উৎসাহ প্রদান , নেতৃত্ব গুন প্রদান , দ্রুততম সময়ে উন্নতি , মারিরিক সক্ষমতা , উচ্চাশা , সম্পদ অর্জন , কারিগরি পেশায় সাফল্য প্রদান করে থাকে। এটি সন্তান লাভ , সৌভাগ্য এবং পেশাগত জীবনে সাফল্যও প্রদান করে। ব্লু স্যাফায়ার (নীলা) : এটি শনির কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। কালো বা হালকা নীল রঙের হয়ে থাকে। এটি এক দিকে যেমন উপকারী তেমনি এটি যদি জাতকের জন্য সহ্য বা উপযুক্ত না হয় হয় তবে এর ধারন তার জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলবে।

কিছুদির পরীক্ষা করে তবেই তা ধারন করা উচিৎ। এটি ইচ্ছাশক্তি , সমন্বয়তা , শৃংখলা , আধ্যাত্মিক অর্জন , ধৈর্য্য , নিবেদিত প্রান কর্ম নেতৃত্ব গুন এবং সর্বোচ্চ মানবীয় গুনাবলী প্রদান করে। ণাম , যশ , অর্থ ও সাফল্য অর্জন তখন সময়ের ব্যপার মাত্র। এটি সকল রত্ন পাথরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালি। এটি সকলের সহ্য হয়না।

গোমেদ : এটি রাহুর কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি মধুর মত রঙ , ধোয়টে বা লাল রঙের হয় । এটি স্বাস্থ্য , শত্রুবিজয় , সম্পদ ও সমৃদ্ধি দান করে। রোগ মুক্তি , জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তাও প্রদান করে। শিক্ষা , পেশা , পদোন্নতি ও ব্যবসায়ে অসাধারন সাফল্য প্রদান করে।

আত্মীয়দের শত্রুতা দূরীকরন , অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি এবং সুখ নিদ্রা , প্রভাবশালী জীবন যাপন , রাজনৈতিক প্রতিপত্তি , সুনাম এ সম্পদ দানের জন্য এটি বিখ্যাত। ক্যাটস আই : এটি কেতুর কুপ্রভাব প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। হলুদাভ বা কালচে রঙের দেখতে। মাঝখানে একটি উজ্জ্বল ব্যান্ড দেখা যায়। হারানো সম্পদ পুনোরোদ্ধার , দারিদ্র ও রোগ শোক বিনাশ , শত্রুক্ষয় ও শত্রুদের উপর জয় লাভ করার জন্য এটি একটি অতিশয় দ্রুততম সময়ে কার্যকরী রত্ন।

এই পাথর আত্মিক উন্নতি ঘটায় , মনকে শান্ত করে ও ক্রোধকে তরলীভূত করে। জাতক নাম , সম্মান ও সম্পদ অর্জন সহ আত্মীয় ও শত্রুদের দ্বারা ও উপকার লাভ করে। এটি সন্তানদের মঙ্গল করে , সন্তানহীনদের সন্তান দান সহ আকষ্মিক দূর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ ও দ্রুততম সময়ে বিবাহ নিশ্চিত করে। রত্নপাথর ধারন কৌশল : বৈজ্ঞানিক ভাবে সুনির্দিষ্ট অশুভ গ্রহের জন্য জাতক কর্তৃক মেডিটেশন মূলক মন্ত্রোচ্চারণ তার চারদিকে একটি প্রতিরক্ষা বলয় তৈরী করে। আর রত্ন পাথর গ্রহ শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে মানব শরীরে প্রবাহিত করে।

ফলে অশুভ গ্রহ দ্বার আক্রান্ত মানুষ সহজেই তার কুপ্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেন। নির্দিষ্ট গ্রহের জন্য রত্ন পাথর নির্ধারিত। আগে আপনার জন্য কোনটি নির্দেশিত তা বের করুন এবং সঠিক স্থান হতে আসল রত্ন পাথর ক্রয় করুন। তার পর তার নির্দেশিত ধাতুর আংটিতে এমন ভাবে বসিয়ে পরিধান করুন যাতে পাথরে নিম্নাংশ আপনার আঙ্গুলে সর্বদা লেগে থাকে। নির্ধারিত তিথিতে নির্ধারিত আঙ্গুলে নির্দেশিত পাথর পরিধান বাধ্যতামূলক।

যদি পাথর পরিধানের পর অস্বস্থি হয় তবে তা খুলে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ। পরে আবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে অবশ্যই ভালমানের পাথর বিশেষজ্ঞ এবং জ্যোতিষজ্ঞের পরামর্শক্রমে। নামকা ওয়াস্তে বিশেষজ্ঞ এবং পাথরএর সন্ধান আপনাকে কেবল হতাশা আর অর্থনাশ ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারবে না। সবার জন্য শুভকামনা , ভূলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৪২ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।