শনিবার ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর কিটনাশক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিহারের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রবীন্দ্র কুমার।
গত মঙ্গলবার স্কুলে দেয়া দুপুরের খাবার খেয়ে ওই ২৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। শিশুদের মৃত্যুতে বিহার জুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বিহারের প্রাদেশিক রাজধানী পাটনা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ছাপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্কুল থেকে দেয়া আলুর তরকারী দিয়ে ভাত খাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই শিক্ষার্থী শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
প্রচণ্ড পেট ব্যাথার পাশাপাশি বমি করতে থাকে তারা।
মাত্র একটি রুমের ওই স্কুলটির অসুস্থ সব শিশুকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে ২৩ শিশুর মৃত্যু হয়। বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত আরো ২০ শিশু এখানো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
পুলিশ কর্মকর্তা কুমার জানান, ভিসেরা প্রতিবেদনে তরকারীতে ব্যবহৃত তেলে মনোক্রোটোফোস মেশানো ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফসফরাস দিয়ে তৈরি এ রাসায়নিকটি কৃষি জমিতে পোকমাকড় ধ্বংস করার কাজে কিটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পুলিশের অনুমান, রান্নার তেলটি যে পাত্রে রাখা হয়েছিল তা এর আগে কিটনাশক রাখার কাজে ব্যবহার করা হতো।
ঘটনার পরপরই স্কুলটির প্রধানশিক্ষিকা আত্মগোপন করেন। তার খোঁজে পুলিশ বিভিন্ন জায়াগায় তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন কুমার।
শিশুদের পুষ্টিহীনতা দূর করতে ও স্কুলে উপস্থিতি বাড়াতে ভারত জুড়ে দুপুরে খাবার দেয়ার এই কর্মসূচী চালু করেছে দেশটির সরকার। প্রায় ১২ কোটি শিশু শিক্ষার্থীকে এই কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে।
শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি সরকারি স্কুলে এই কর্মসূচীর আওতায় দেয়া দুপুরের খাবার খেয়ে আরো ১৭০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবারের সঙ্গে দেয়া ডিমটি ভালো না হওয়াতেই এই বিপত্তি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।