mamun.press@gmail.com আবদুল্লাহ আল-মামুন
দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্করস্থ ১৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) সদর দপ্তরে গত সোমবার দুপুরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, গত সোমবার দুপুরে জায়লস্করস্থ ১৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করন ও জন সচেতনতা বৃদ্ধিকরনের লে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল কে এ নাসের।
বক্তব্য রাখেন ব্যাটালিয়নের বিদায়ী অধিনায়ক লেঃ কর্নেল গাজী মোঃ সালাহ উদ্দিন, ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের নোয়াখালী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রাশেদুজ্জমান। সভা শেষে ফেনী জেলা কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জালাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ২২ হাজার ১০৩ বোতল ভারতীয় হুইস্কি, ৭ হাজার ৩৮৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, এক হাজার ৩১১ বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েস, ৮ শত ৩১ কেজি ভারতীয় গাঁজা, ৪৭৪ বোতল ভারতীয় থ্রিএক্সরাম, ১২৫ বোতল ভারতীয় হোয়াইট মিসচিফ ভোটকা, ৬১০ লিটার বিভিন্ন ধরনের মদ, ১২৭ বোতল ভারতীয় হিউম্যান বিয়ার, ৯০২ বোতল ভাতীয় রিকোডেক্স, ২৯ হাজার ৬৯৩টি ভারতীয় টার্গেট ট্যাবলেট ও ১৯ হাজার ৫৯৬টি ভারতীয় হটেগ্রা (যৌন উত্তেজক) ট্যাবলেট। এ সব ধ্বংসকৃত মালামালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
২০১০ সালের ৬ আগষ্ট থেকে ২০১১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় কালে ১৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) অধিনস্থ সীমান্তের বিভিন্ন কোম্পানী ও বিওপির জোয়ানরা চোরাচালানীর মাধ্যমে আসা এসব অবৈধ মালামাল আটক করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও পুলিশসহ আইন শৃংখলা রাকারী বহিনী চোরাচালানের মাধ্যমে আসা মাদকদ্রব্যের একটি ুদ্র অংশ আটক করতে পারে। এসব চোরাচালানী পণ্যের বেশীর ভাগ দেশের ভেতরে ঢুকে যুব সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এদের বিরুদ্ধে এখন সামাজিক সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। কাজেই সমাজে সকল স্তরের ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সামাজিক আন্দেলনে সামিল করতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।