ওলি গতবছর যখন আমাদের ইনস্টাক্ট্ররকে নিয়ে জাফলং রোডে বিকেলে মোটরসাইকেল চালানো শিখতে বেরিয়েছি, তখন বৃষ্টি এসে বাগড়া দিয়ে বসল। সাথে রেইনকোট নেই। একটি টংয়ের সামনে বৃষ্টি থামার জন্য বোরিং অপেক্ষা করতে লাগলাম।
বৃষ্টি থামলে যখন আমরা আবার এগোতে শুরূ করলাম, তখনই আকাশে বাহারি রংয়ের সেই অভূতপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়ল। রঙধনুর সেই রঙয়ের গ্রাফিক্স ডিটেইলের সাধ্য আমার নেই।
সাথে ক্যামেরা না থাকায় দৃশ্যটা ফ্রেমে বন্দি করা যায়নি। কয়েকদিন আগে আবার একবার সুযোগ পেয়েছিলাম।
অফিস থেকে যখন বেরোচ্ছি তখন দেখলাম মাসুম এবং সত্যজিত এককোণে দাড়িয়ে মনোযোগ দিয়ে কি যেন লক্ষ্য করছে। আমি ভাবলাম হয়তো দুই বন্ধুতে মিলে হয়তো গোপন অভিযানের পরিকল্পনা করছে। আমি ক্লাচ ছেড়ে দিয়ে এক্সিলেটর বাড়িয়ে মোটরসাইকেলে দ্রুত পালাতে চাইলাম।
আকাশে মেঘের আনাগোনা।
কিন্তু, না। তারা হাত নেড়ে থামালো। মোটরসাইকেল থেকে নেমে কাছে গেলে তারা গাছের ফাক দিয়ে রঙধনু দেখালো। আমি পকেট থেকে ডিজিটাল ক্যামেরা বের করে রঙধনুর ছবি উঠাতে চাইলাম।
মাসুম এবং সত্যজিত উভয়ই আমাকে নিরস্ত্র করতে চাইল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে, তাতে তারা বলছে ক্যামেরার ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া, রঙধনু ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে। আমার ক্যামেরাতে না-কি এই ছবি ধরা পড়বে না।
তাদের বাধা আমার জিদ বাড়িয়ে দিল।
আমি তিনবার বোতাম টিপে আলোর বাহারটাকে ক্যামেরাবন্দি করতে চাইলাম। শেষবার টিপার পর দেখলাম রঙধনু হারিয়ে গেছে।
রাতে কম্পিটারে ছবি আপলোড করার পর দেখলাম রঙধনু আমার ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। তবে, আকাশের কালো ভার মুখটা ধরা পড়েছে।
পরদিন ফেইসবুক খুলে দেখলাম আমাদের কলিগ সেলিনা রহমান সোমা রঙধনুটাকে ক্যামেরাবন্দি করে নীচে পোস্ট দিয়েছে:
Kal Bikeler chobi ta tula.
আমি নীচে কমেন্ট দিলাম
I feel jealous. I tried to capture this image through my camera, but I failed. Congrats, anyway. It is a terrific view..
রঙধনুকে ক্যামেরাবন্দি করতে কপাল লাগে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।