আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টান্ডারড ঝামেলা ব্যাংক........ (এসসিবি)

আজও আমি খুজে ফিরি সেই পুরাতন আমাকে বাংলাদেশে সেবার মান হিসাবে বেসরকারি ব্যাংক গুলোর মধ্যে স্টান্ডারড চার্টারড ব্যাংককে প্রথম সারির ব্যাংক হিসাবে অনেকেই মনে করেন। আমিও আগে তাই মনে করতাম। আমার বড় ভাইয়ের ঐ ব্যাংকে একটা ডলার একাউন্ট আছে। বেশ কিছু দিন আগে বিদেশ থেকে ডলার পাঠালেও জমা না হওয়ায় ভাইয়া বলল একটু খোজ নে, জমা হচ্ছে না কেন। একটা টেলিফোন নম্বর দিল। ফোন দিলাম ঐ নম্বরে... যান্ত্রিক কন্ঠে স্বাগত জানালো.... একাউন্ট সার্ভিসের জন্য এটা চাপুন, ওমুকের জন্য এটা চাপুন.... সবশেষে আসলো কাস্টোমার কেয়ারে কথা বলার জন্য ... চাপুন .. চাপলাম ....... অনেকক্ষন কোন সাড়া শব্দ নেই... এর পর যন্ত্র বলল সব কয়টা চ্যানেল এখন ব্যস্ত আছে দয়া করে অপেক্ষা করুন......... অপেক্ষা করতে করতে এক সময় লাইন কেটে গেল। দুপুরে আবার ফোন দিলাম ... একই প্রসেস পার হয়ে এক ভদ্র লোক ফোন ধরলো... বললাম রেমিটেন্স এর ব্যাপারে কথা বলতে চাই... ওয়েট করুন আমি কল ট্রান্সফার করছি.... আবার রিং শুরু হলো ..... কেউ ফোন ধরে না... রিং হতে হতে আর কোন সাড়া পাচ্ছি না.... আবার রিং হচ্ছে ... এবার এক ভদ্র লোক ধরলো ... একই কথা বললাম.. আবার রিং .... এবার ধরলো ... রেমিটেন্স বলতেই বলল এটা রেমিটেন্স শাখা না.... ওয়েট করুন ট্রানস্ফার করছি... এবার রেমিটেন্স ভদ্রলোক ধরলেন .... ব্যাপার খুলে বললাম ... ভদ্রলোক বলল আপনি টেলিফোন আইডি দিয়ে ঢুকুন.. কিভাবে ঢুকবো বললাম... আবার ফোন কেটে ভাইয়ার সাথে কথাবলে টিআইএন নিলাম... কি কি জানতে চাইতে পারে সব ইনফো নিয়ে বিকালে ফোন দিলাম... এবার ভদ্রলোক চারটের পর হওয়ায় কথা বলতে চাইলেন না। পরের দিন আবার ফোন অনেক ঝামেলার পর ভদ্র লোককে পেলাম ... ভদ্র লোক সবশুনে বললেন আপনি টেলিফোন আইডি দিয়ে ফোন দেন... আমি বললাম টেলিফোন আইডিদিয়েই ফোন দিছি... কই এখানে আসছে না... আমি বললাম না আসার দ্বায়িত্ব কি আমার... এবার ভদ্রলোক .. একাউন্ট নম্বর, নাম, ব্যালান্স, লাস্ট উত্তোলনের তারিখ পরিমান.. কোন এটিএম সব জানতে চাইলেন .. বললাম .. ওয়েট করুন... দশ মিনিটের মত কোন সাড়া শব্দনেই... সরি .. বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের মিসেস ফোন দিসিলেন... ওকে....আবার গোড়া থেকে শুরু করলো... মেজাজ ঠান্ডা রেখে সব আবার বললাম.. উনি বললেন ডলার জমা পেন্ডিং আছে... কারণ জানতে চাইলে বললেন .... ওয়েট করুন আমি ট্রান্সফার করছি... আর এক ভদ্রলোক ফোন ধরলো ... আবার একই কথা.. টেলিফোন আইডি দিয়ে ঢুকুন... আমি জানালাম আইডি দিয়েই ঢুকেছি.... আবার একই ইনফো.. দিলাম ... বলল.. ডলার ছাড়ানোর জন্য এপ্লাই করতে হবে ... পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়ে... মুল শাখায় জমাদিয়ে আসলে ডলার জমা হবে। গেলাম গুলশান শাখায়... রেমিটেন্স শাখায়.. লেভেল-৬.. ইন্টার কমে ভদ্রলোকের সাথে ১০ মিনিট কথোপকথন... উনি আমাকে দর্শন দিবেন না... বললেন ডকুমেন্ট রিসিপশনে জমা দিয়ে যান। অনেক আকুতি মিনতির পর.. এক ভদ্রলোককে রিসিপশনে পাঠালেন... সবডকুমেন্ট দেখে বললেন পাসপোর্টের কালার ফটোকপি লাগবে... ভাইয়াকে বললাম স্কান করে পাঠাতে... কাল আবার যাব... কালার ফটোকপি নিয়ে.... উহ্ কি সার্ভিস...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.