আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Modern default definition!

Copied! আমাদের সমাজে “সৌন্দর্য” নামক বিষয়টার default কোন সংজ্ঞা নেই। আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন একবার spike এর ফ্যাশন অনেক জনপ্রিয় হয়েছিল। একদল ছেলে (আমিও) চুল ছোট করে spike করা শুরু করল। ২/১ বছর পর দেখলাম “তেরে নাম” এর ফ্যাশন অনেক জনপ্রিয়, তখন দল বেধে সবাই চুল বড় করে “তেরে নাম” করতে লাগল,সুন্দর লাগুক বা না লাগুক,spike এর চল আর নেই। পরে একসময় মনে হল সুন্দর বলে এখানে কিছু নাই, সুন্দর তাই যাকে সুন্দর বলা হয় এবং সুন্দর বলে প্রচার করা হয়।

দেশে নোংরা এবং অসুস্থ সংস্কৃতির একটা আপত্তিকর প্রোগ্রাম চলছে-নাম লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার। এমন বিউটি কনটেস্ট ভুরি ভুরি হয়, আমার আপত্তি তাদের সব কয়টা নিয়েই। এসব সুন্দরীদের নিয়ে specifically কিছু বলার নাই, এরা সুন্দরী দাসী, মাথায় চিন্তা করতে পারার মত প্রয়োজনীয় element গুলো এদের মাথায় অনুপস্থিত। সার্কাসের বানরের কথা মনে পড়ে যায় এদের দেখলে। বানরকে কলার লোভ দেখিয়ে যা বলা হয় তা করে, লাফাতে বললে লাফায়, ভুড়ি নাচাতে বললে ভুড়ি নাচায়।

এই সুন্দরীদের যদি বলা হয় “কোমর বাকাও” তারা বাকাবে, যদি বলা হয় “নিতম্ব দোলাও” তারা তাই করবে। আরো নিচে নামতে বললে হয়ত নামবে, অনেকেই নামে, সেরকমই শোনা যায়, শুধু বিনিময়ে তাদের publicity করে দিলেই হবে, সে হবে আদর্শ মডেল। এদেরকে বোঝানো হয়েছে শরীর দেখিয়েই তুমি অনেক বড় ও বিখ্যাত হতে পার, তারা তাই হতে চায়। আর আমরা কি করি ? আমরা এই মেয়েদের অনুকরণ করি, পা থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত। সুন্দরী কে ? – ইশানা।

স্মার্ট কে ? –মম। তাই তাদের মত হও। তারা যদি ড্রেসিডেল থেকে কিছু কিনেছে, তুমিও কেনো। অমুক নায়িকা মাজাক্কালি পরেছে, “আম্মু আমাকেও কিনে দাও”। গায়ে হলুদে ক্যাটরিনার মত করে “খাব দেখে ঝুটে মুটে” অথবা "শিলা কি জাওয়ানি" নেচে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে হবে।

পরের বছর যখন ফ্যাশন চেঞ্জ হল তখন আগের বছরের সব কিছু বাদ। যদি dress টা একবারও পরা হয় বা অনেক দামি -সেটা পুরোন হয়ে গেছে। গতবছর মম এবার মাহজাবিন। তাদের মত হতে পারলে সুন্দরী, নয়তো নয়। এই সুন্দরীরা সুন্দরী নয়, এরা আসলে পণ্য বিক্রেতা।

এরা যা পরেছে তা পরতে হবে, যা খুলেছে খুলতে হবে। যদি বুকের ওপর থেকে তারা ওড়না সরিয়ে ফেলে তাহলে সেটা করা হবে ফ্যাশন। তারা আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে evening partyর জন্য আদর্শ পোষাক হিসেবে হাটুর উপর কাপড় তোলা উচিত। যত শীতই পড়ুক না কেন, পাতলা ওড়নার ফ্যাশন চালিয়ে যেতে হবে। আর তাই মাথার ভিতরে অজস্র সব ভয়ঙ্কর প্রশ্ন।

“আমি কি একটি বেশিই মোটা ?”। “আমার কোমরটা কি স্ট্যান্ডার্ড মাপ থেকে বেশি হয়ে গেল ?”। “আমাকে কালো দেখাচ্ছে কেন ?”। “চুল গুলোকে কেউ তো সুন্দর বলছে না !”। “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ আমার height টা কম”।

মেয়েদের শরীরের মাপ নেয়ার জন্য তিনটা সংখ্যা আছে। আমি জানি না ২০১০ সালে স্ট্যান্ডার্ডটা কত , যদি ধরে নিই সেটা ৩০-২৬-৩০ টাইপ কিছু, তাহলে সেটা সব মেয়েকে অর্জন করতে হবে আর করতে না পারলে কোন দাম নেই ? USA তে average model এর ওজন স্বাভাবিক থেকে ২৩% কম, এখন সব মেয়েকে কি সে ওজনে নেমে আসতে হবে ? চুল straight না হলে সেটা কি হতাশার কারন ? লম্বা না বলে সারাজীবন দুঃখিত হয়ে থাকতে হবে না হলে সে unfit? এ ধরনের certain appearance কি unrealistic expectation হয়ে গেল না? বাস্তবে দেখা গেছে এই বিষয়গুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামানো হয়। Germaine Greer, তিনি একজন পশ্চিমা নারীবাদী, তিনি তার বই, The Whole Woman এ বর্তমান কালের মেয়েদের মানসিকতা নিয়ে তিনি লিখেছেন, “Every woman knows that, regardless of all her other achievements, she is a failure if she is not beautiful.” Afterthought Sexuality যদি একটা পণ্য হয় তাহলে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার হল তার মার্কেটের একটা ছোট অংশ। একটা বিউটি কনটেস্ট এর সাথে দুনিয়ার ব্যবসা জড়িত-কাপড়ের ব্যবসা, কসমেটিক্সের ব্যবসা, বিউটি পার্লারের ব্যবসা,পর্ণের ব্যবসা, মোবাইল ফোনের ব্যবসা, প্লেবয় ম্যাগাজিনের ব্যবসা। এদেরকে দিয়ে যত বেশি sex এর মার্কেট সৃষ্টি করা যাবে ব্যবসা তত বেশি ফুলে ফেপে উঠবে।

আর পুজিবাদীরা চাহিদা না থাকলেও চাহিদা তৈরি করতে জানে। যেমন- চুল কালো মেয়েদের বলা হয় চুল লাল কর, লাল হলে বলে কালো করলে মায়াবতী লাগবে। মোটা গোছের হলে তাকে চিকন করিয়ে ছাড়বে। বুক ছোট হলে বলবে breast surgery করা ফরয হয়ে গেছে। আর curly চুল হলে straight করতে হবে সুন্দর লাগুক বা না লাগুক।

যা দরকার নাই তাও দরকার বানিয়ে ছাড়া হয় আমাদের সামনে আর আমরা কপ কপ করে গিলতে থাকি আরে ভাবি “বাহ !smart হয়ে গেলাম”। অর্থনীতির বইয়ে শেখানো হয়, "চাহিদা হল অসীম”। বাস্তবে প্রকৃত চাহিদা অসীম না, লোভ আর fake চাহিদা অসীম। এই হল সুন্দরীদের কাজ। নতুন ফ্যাশন সৃষ্টি করে কাপড়ের fake চাহিদা সৃষ্টি করা,হতে পারে ওয়ারড্রবে কাপড় রাখার জায়গা নেই।

কাজ করুক বা না করুক কসমেটিক্সের বাক্স-প্যাটরা দিয়ে ড্রেসিং টেবিল ভর্তি করা। এই সুন্দরীদের আমাদের বোনদের সামনে role model হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, সে সুন্দরী হোক না ব্যাভিচারীনি বা কর্পোরেট পতিতা কিংবা হোটেল রেডিসনের ১নং whore. পুজিবাদীদের ইলাহ হল profit, তা যোগাতেই সৌন্দর্যের সংজ্ঞার এত পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন এবং সংস্করন, মাঝখান দিয়ে আমরাও বিক্রি গেলাম, বিক্রি গেল সুন্দরীরাও। পুজিবাদী ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থার এই হল ফসল। তারা মানুষকে দাস বানিয়ে রাখে। “প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে নিজের লাইফস্টাইল এবং appearance বেছে নেয়ার অধিকার আছে”- এই ধারণার উপর তাদের সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠার কথা ছিল, কিন্তু হয় নি।

সে ঠিকই পরাধীন রয়ে গেছে। এর কারন মানুষ পরাধীন,আর freedom হল illusion. প্রত্যেকটা মানুষ নিজেকে কোন কিছুর দাসে পরিণত করে, সেটা হতে পারে অর্থ,নারী,গাড়ি,বাড়ি,খ্যাতি,গান,পুজি,ক্ষমতা ইত্যাদি। সে ভাবতে থাকে এই অর্থ, নারী, গাড়ি, বাড়ি, খ্যাতি, গান, পুজি, ক্ষমতাই তাকে সবকিছু এনে দেবে, এই জিনিষটাই তাকে সুখী করবে, এটাই জীবনের উদ্দেশ্য সফল করবে – যেন বস্তুই সকল ক্ষমতার উৎস। জীবন থেকে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ভূমিকাটাকে সরিয়ে দিলে এই ভ্রান্ত ধারণাটাই কি স্বাভাবিক নয় ??? “হে মানুষ ! কিসে তোমায় তোমার মহামহিম প্রতিপালক সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল ?” [কুরআন ৮২:৬] আমাদের সমাজে “সৌন্দর্য” নামক বিষয়টার default কোন সংজ্ঞা নেই। আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন একবার spike এর ফ্যাশন অনেক জনপ্রিয় হয়েছিল।

একদল ছেলে (আমিও) চুল ছোট করে spike করা শুরু করল। ২/১ বছর পর দেখলাম “তেরে নাম” এর ফ্যাশন অনেক জনপ্রিয়, তখন দল বেধে সবাই চুল বড় করে “তেরে নাম” করতে লাগল,সুন্দর লাগুক বা না লাগুক,spike এর চল আর নেই। পরে একসময় মনে হল সুন্দর বলে এখানে কিছু নাই, সুন্দর তাই যাকে সুন্দর বলা হয় এবং সুন্দর বলে প্রচার করা হয়। দেশে নোংরা এবং অসুস্থ সংস্কৃতির একটা আপত্তিকর প্রোগ্রাম চলছে-নাম লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার। এমন বিউটি কনটেস্ট ভুরি ভুরি হয়, আমার আপত্তি তাদের সব কয়টা নিয়েই।

এসব সুন্দরীদের নিয়ে specifically কিছু বলার নাই, এরা সুন্দরী দাসী, মাথায় চিন্তা করতে পারার মত প্রয়োজনীয় element গুলো এদের মাথায় অনুপস্থিত। সার্কাসের বানরের কথা মনে পড়ে যায় এদের দেখলে। বানরকে কলার লোভ দেখিয়ে যা বলা হয় তা করে, লাফাতে বললে লাফায়, ভুড়ি নাচাতে বললে ভুড়ি নাচায়। এই সুন্দরীদের যদি বলা হয় “কোমর বাকাও” তারা বাকাবে, যদি বলা হয় “নিতম্ব দোলাও” তারা তাই করবে। আরো নিচে নামতে বললে হয়ত নামবে, অনেকেই নামে, সেরকমই শোনা যায়, শুধু বিনিময়ে তাদের publicity করে দিলেই হবে, সে হবে আদর্শ মডেল।

এদেরকে বোঝানো হয়েছে শরীর দেখিয়েই তুমি অনেক বড় ও বিখ্যাত হতে পার, তারা তাই হতে চায়। আর আমরা কি করি ? আমরা এই মেয়েদের অনুকরণ করি, পা থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত। সুন্দরী কে ? – ইশানা। স্মার্ট কে ? –মম। তাই তাদের মত হও।

তারা যদি ড্রেসিডেল থেকে কিছু কিনেছে, তুমিও কেনো। অমুক নায়িকা মাজাক্কালি পরেছে, “আম্মু আমাকেও কিনে দাও”। গায়ে হলুদে ক্যাটরিনার মত করে “খাব দেখে ঝুটে মুটে” অথবা "শিলা কি জাওয়ানি" নেচে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে হবে। পরের বছর যখন ফ্যাশন চেঞ্জ হল তখন আগের বছরের সব কিছু বাদ। যদি dress টা একবারও পরা হয় বা অনেক দামি -সেটা পুরোন হয়ে গেছে।

গতবছর মম এবার মাহজাবিন। তাদের মত হতে পারলে সুন্দরী, নয়তো নয়। এই সুন্দরীরা সুন্দরী নয়, এরা আসলে পণ্য বিক্রেতা। এরা যা পরেছে তা পরতে হবে, যা খুলেছে খুলতে হবে। যদি বুকের ওপর থেকে তারা ওড়না সরিয়ে ফেলে তাহলে সেটা করা হবে ফ্যাশন।

তারা আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে evening partyর জন্য আদর্শ পোষাক হিসেবে হাটুর উপর কাপড় তোলা উচিত। যত শীতই পড়ুক না কেন, পাতলা ওড়নার ফ্যাশন চালিয়ে যেতে হবে। আর তাই মাথার ভিতরে অজস্র সব ভয়ঙ্কর প্রশ্ন। “আমি কি একটি বেশিই মোটা ?”। “আমার কোমরটা কি স্ট্যান্ডার্ড মাপ থেকে বেশি হয়ে গেল ?”।

“আমাকে কালো দেখাচ্ছে কেন ?”। “চুল গুলোকে কেউ তো সুন্দর বলছে না !”। “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ আমার height টা কম”। মেয়েদের শরীরের মাপ নেয়ার জন্য তিনটা সংখ্যা আছে। আমি জানি না ২০১০ সালে স্ট্যান্ডার্ডটা কত , যদি ধরে নিই সেটা ৩০-২৬-৩০ টাইপ কিছু, তাহলে সেটা সব মেয়েকে অর্জন করতে হবে আর করতে না পারলে কোন দাম নেই ? USA তে average model এর ওজন স্বাভাবিক থেকে ২৩% কম, এখন সব মেয়েকে কি সে ওজনে নেমে আসতে হবে ? চুল straight না হলে সেটা কি হতাশার কারন ? লম্বা না বলে সারাজীবন দুঃখিত হয়ে থাকতে হবে না হলে সে unfit? এ ধরনের certain appearance কি unrealistic expectation হয়ে গেল না? বাস্তবে দেখা গেছে এই বিষয়গুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামানো হয়।

Germaine Greer, তিনি একজন পশ্চিমা নারীবাদী, তিনি তার বই, The Whole Woman এ বর্তমান কালের মেয়েদের মানসিকতা নিয়ে তিনি লিখেছেন, “Every woman knows that, regardless of all her other achievements, she is a failure if she is not beautiful.” Afterthought Sexuality যদি একটা পণ্য হয় তাহলে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার হল তার মার্কেটের একটা ছোট অংশ। একটা বিউটি কনটেস্ট এর সাথে দুনিয়ার ব্যবসা জড়িত-কাপড়ের ব্যবসা, কসমেটিক্সের ব্যবসা, বিউটি পার্লারের ব্যবসা,পর্ণের ব্যবসা, মোবাইল ফোনের ব্যবসা, প্লেবয় ম্যাগাজিনের ব্যবসা। এদেরকে দিয়ে যত বেশি sex এর মার্কেট সৃষ্টি করা যাবে ব্যবসা তত বেশি ফুলে ফেপে উঠবে। আর পুজিবাদীরা চাহিদা না থাকলেও চাহিদা তৈরি করতে জানে। যেমন- চুল কালো মেয়েদের বলা হয় চুল লাল কর, লাল হলে বলে কালো করলে মায়াবতী লাগবে।

মোটা গোছের হলে তাকে চিকন করিয়ে ছাড়বে। বুক ছোট হলে বলবে breast surgery করা ফরয হয়ে গেছে। আর curly চুল হলে straight করতে হবে সুন্দর লাগুক বা না লাগুক। যা দরকার নাই তাও দরকার বানিয়ে ছাড়া হয় আমাদের সামনে আর আমরা কপ কপ করে গিলতে থাকি আরে ভাবি “বাহ !smart হয়ে গেলাম”। অর্থনীতির বইয়ে শেখানো হয়, "চাহিদা হল অসীম”।

বাস্তবে প্রকৃত চাহিদা অসীম না, লোভ আর fake চাহিদা অসীম। এই হল সুন্দরীদের কাজ। নতুন ফ্যাশন সৃষ্টি করে কাপড়ের fake চাহিদা সৃষ্টি করা,হতে পারে ওয়ারড্রবে কাপড় রাখার জায়গা নেই। কাজ করুক বা না করুক কসমেটিক্সের বাক্স-প্যাটরা দিয়ে ড্রেসিং টেবিল ভর্তি করা। এই সুন্দরীদের আমাদের বোনদের সামনে role model হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, সে সুন্দরী হোক না ব্যাভিচারীনি বা কর্পোরেট পতিতা কিংবা হোটেল রেডিসনের ১নং whore. পুজিবাদীদের ইলাহ হল profit, তা যোগাতেই সৌন্দর্যের সংজ্ঞার এত পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন এবং সংস্করন, মাঝখান দিয়ে আমরাও বিক্রি গেলাম, বিক্রি গেল সুন্দরীরাও।

পুজিবাদী ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থার এই হল ফসল। তারা মানুষকে দাস বানিয়ে রাখে। “প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে নিজের লাইফস্টাইল এবং appearance বেছে নেয়ার অধিকার আছে”- এই ধারণার উপর তাদের সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠার কথা ছিল, কিন্তু হয় নি। সে ঠিকই পরাধীন রয়ে গেছে। এর কারন মানুষ পরাধীন,আর freedom হল illusion. প্রত্যেকটা মানুষ নিজেকে কোন কিছুর দাসে পরিণত করে, সেটা হতে পারে অর্থ,নারী,গাড়ি,বাড়ি,খ্যাতি,গান,পুজি,ক্ষমতা ইত্যাদি।

সে ভাবতে থাকে এই অর্থ, নারী, গাড়ি, বাড়ি, খ্যাতি, গান, পুজি, ক্ষমতাই তাকে সবকিছু এনে দেবে, এই জিনিষটাই তাকে সুখী করবে, এটাই জীবনের উদ্দেশ্য সফল করবে – যেন বস্তুই সকল ক্ষমতার উৎস। জীবন থেকে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ভূমিকাটাকে সরিয়ে দিলে এই ভ্রান্ত ধারণাটাই কি স্বাভাবিক নয় ??? “হে মানুষ ! কিসে তোমায় তোমার মহামহিম প্রতিপালক সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল ?” [কুরআন ৮২:৬] ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।