জীবন চলা মানে প্রতিক্ষন জীবনান্তের দিকে এগিয়ে চলা প্রতিদিন কত পোষ্ট দেখছি কত চিত্তাকর্ষক মন্তব্য, কত প্রতি মন্তব্য, শুধু দেখছি আর দেখছি, আর মন্তব্য প্রকাশের ব্যর্থতার যন্ত্রনায় দগ্ধ হচ্ছি।
একটা পোষ্টে দেখলাম লেখক মেয়েদের পোষাক নিয়ে লিখেছেন, তিনি ঠিক লিখেছেন । কিন্তু অনেকেই লেখার থীমটা ধরতে না পেরে নেগেটিভ এমনকি ব্যক্তিগতভাবে লেখকের মা বোনরা বিকিনি পরেন কিনা জিজ্ঞেস করেছেন।
এটা রুচি সন্মত বলে মনে হয়নি। ভিন্নমত থাকতেই পারে তার বহিঃপ্রকাশও যুক্তিসঙ্গত ও রুচিসন্মত হওয়া উচিৎ।
এ প্রসঙ্গে আমি একটু যুক্ত করতে চাই।
একবার এক বিদেশী তরুনীকে, আলাপচারীতার এক পর্যায়ে বললাম, তুমি যদি কিছু মনে না করো, এবং অনুমতি দাও, তাহলে তোমাকে একটা প্রশ্ন করবো, মেয়েটি বলল, হ্যাঁ নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই। তখন বললাম, এই যে, তোমরা বিকিনি পরে একেবারেই সাবলীল ভাবে চলাফেরা করো, পুরুষের দৃষ্টির সামনে কি একটুও অস্বস্তি বোধ করনা ? মেয়েটির সহজ উত্তর, মোটেওনা। বললাম পুরুষের তো প্রতিক্রিয়া হতেপারে, তখন বলল, এটাতো তার সমস্যা, আমার সমস্যা নয় । হ্যাঁ আসলেই এটা পুরুষের সমস্যা মেয়েদের সমস্যা নয়।
তবে আমাদের দেশের পুরুষরা এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পথ থেকে শত যোজন দুরে অবস্থান করছেন। এজন্য আবার ওনাদের দোষ দেওয়া যায় না, কারন ছোটবেলা থেকেই আমাদের সমাজে ছেলে এবং মেয়েকে পৃথক করে রাখা হয়। পৃথকভাবে মূল্যায়নও করা হয়। এই আর্গলটা আসলে ভাঙ্গা উচিৎ। কেউ যখন এ বিষয় নিয়ে লেখেন, তখন আসলে তিনি আমাদের চোখের উপর থেকে কালো পর্দাটা অপসারনেরই প্রয়াস নেন।
তাই লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।