হলিউডের অমর অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর একটি ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। 'সেভেন ইয়ার ইচ' সিনেমায় মনরোর সেই বিখ্যাত দৃশ্যটি ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গত শুক্রবার এটি উন্মোচন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয়। সিনেমার সেই দৃশ্যটির বাস্তব রূপ ফুটিয়ে তোলাতেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি।
১৯৫৫ সালের সিনেমা দ্য সেভেন ইয়ার ইচ।
এতে সাদা রঙের স্কার্ট পরা মনরোকে একটি সাবওয়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। সাবওয়ে থেকে বেরুনো বাতাসে বেসামাল স্কার্ট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন লাস্যময়ী মনরো। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া দৃশ্যটি এখনও সমান আবেদন ধরে রেখেছে। হলিউডের প্রথম সেক্স সিম্বল নায়িকা মেরিলিন মনরো আর সেই দৃশ্যটি এখনও সমার্থক হয়ে আছে। শিকাগোর ম্যাগনিফিসেন্ট মাইলে স্থান পেয়েছে সেই আইকনিক পোজটির ২৬ ফুট উঁচু ভাস্কর্য 'ফরএভার মনরো'।
তুমুল জনপ্রিয় পোজটির ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কও তাই সহজে অনুমেয়। ভাস্কর সিইয়ার্ড জনসন পোজটিকে হুবহু তুলে ধরেছেন তার ভাস্কর্যে। ভাস্কর্যটির বেসামাল স্কার্টের পেছন অংশে অনাবৃত রয়েছে মনরোর অন্তর্বাস। মূলত এটিই বিতর্কের কারণ। উদ্বোধনের পর দেখা গেছে, ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক দেওয়া মনরোর চোখ বন্ধ করে নয়নাভিরাম হাসি দেওয়া মুখের চেয়ে অনাবৃত অংশের প্রতিই দর্শকদের আগ্রহ বেশি।
পায়ের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেই তাদের বেশি মনোযোগ দেখা গেছে। অনেকেই পেছনের অংশটিকে এভাবে উপস্থাপন করাকে অশালীন বলে মনে করছেন। তাদের অনেকেই বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এটি আবৃত থাকবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, এতে আপত্তির কি আছে, অন্তর্বাস তো রয়েছেই। ভাস্কর্যটির কোমর থেকে ওপরের অংশ অ্যালুমিনিয়ামের, নিচের অংশ স্টিলের।
তবু কেন রাষ্ট্রধর্ম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।