প্রথম পর্বঃ ক্যাঙ্গারু'র দেশ ও কিছু ভাবনা-১ অলসতা কাটিয়ে আবার কলম...থুক্কু...কীবোর্ড ধরলাম। মাঝে পড়াশোনার বিরক্তিকর চাপের কারণে আর লেখা হয়ে ওঠে নি। যতই দিন যাচ্ছে, এদেশের নিরাপত্তা ও নিয়মানুবর্তিতা ভাল লেগে উঠছে। আহা আমার দেশ, এমনটা তোমার জন্য আজ বড় প্রয়োজন...... এখানে লেখাপড়া করতে গিয়ে বিচিত্র একটা অভিজ্ঞতা হল-কিছু কিছু বিষয়ের পড়া অনেকটাই নিজের ওপর, কারণ শিক্ষকের সহযোগীতার বেশ অভাব পরিলক্ষিত আশ্চর্য হলেও সত্য, দেশের অনেক শিক্ষকের পড়ানোর ধরন এখানের কিছু শিক্ষকের তুলনায় যথেষ্টই আধুনিক ও যথোপযুক্ত তবে এটা ঠিক যে এখানে শিক্ষকেরা খুবই সহযোগীতামূলক আচরণ করেন, তা তাদের পড়ানোর ধরন যেমনই হোক না কেন, আর এটাই বাঁচোয়া একটা অন্যরকম ছোট্ট অভিজ্ঞতা বর্ণনা করি, কিছুদিন আগে হলে ছবি দেখতে গিয়েছিলাম, সেখানে ছাত্র হওয়ার সুবাদে টিকিটে ছাড় পাওয়া যাচ্ছিল। তবে ঐদিন আমার সঙ্গে আইডি কার্ড না থাকায় ভেবেছিলাম যে ছাড়টা বুঝি আর পাওয়া গেল না। অবাক ব্যাপার হল যে কার্ড না দেখিয়েও ছাড় ঠিকই পাওয়া গেল!! এদেশে অনেক আরাম আয়েশ, সুখ সাচ্ছন্দ্য আছে ঠিকই, কিন্তু কোথায় সেই দখিনা হাওয়া, উত্তাল কালবৈশাখী, ভাপা পিঠা, পদ্মার ইলিশ? বুকটা যেন শুকিয়ে যায়, অন্তর যেন হাহাকার করে ওঠে, একটিবার দেশমাতৃকার চরণে ঠাঁই পাওয়ার জন্য, মায়ের বুকে ফিরে যাওয়ার জন্য। বিভিন্ন ইস্যুতে দেখি আজ দেশ উত্তাল, এক্ষেত্রে আমার শুধু একটাই অনুরোধ সবার প্রতি-আর তা হল যে এসব বড় বড় বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর পাশাপাশি যদি দৈনন্দিন জীবনে দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজের ছোট ছোট কর্তব্যগুলো সচেতন ভাবে পালন করি, তাহলেই তো এই পাহাড়সম সমস্যার ভার কখনো দানা বেঁধে উঠতে পারে না, তাই নয় কি? সবার কাছে এই অধমের তাই অনুরোধ, আসুন, প্রত্যেকে নিজের ভাগের দায়িত্বগুলো যতটা সম্ভব ঠিকভাবে পালন করি। খুব কঠিন কাজ নয় কিন্তু এটা, এজন্য শুধু প্রয়োজন আমাদের একান্ত সদিচ্ছার।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।