দেশকে ভালবাসা চোর না শোনে ধর্মের বানী। এ কথাটি কে কবে কোথায় বলেছিল, তা কারোই জানা নেই। তবে কথাটি নাকি শুধুই ছাত্রলীগের ( পড়–ন কাউয়াদের) জন্য আবিস্কৃত হয়েছিল। কারণ তাদের কুকর্মের বিশাল ইতিহাস আবাল বৃদ্ধা বণিতা সবারই জানা। সবাই নিশ্চয়ই জানেন, গতকাল ছিল তাদের ২৭ তম জাতীয় সম্মেলন।
সম্মেলনে তাদের নেত্রী তাদেরকে সব অপকর্ম বাদ দিয়ে ভাল হয়ে যেতে বলেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে বলেন। পড়া লেখায় মনোযোগী হতে বলেন। জয় বলেন- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়তে আর উবায়দুল কাদের সাহেব বলেন-‘ চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি লুঠতরাজ’ বাদ দিয়ে দেশের নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসতে। কিন্তু এ সব বক্তব্য শুনে বুদ্ধা মহলের অনেকেই মুখ চেপে হাসতে থাকেন।
কারণ ছাত্রলীগকে পড়া লেখা করতে বলা, ভাল মানুষ হতে বলা আর ‘উলো বনে মুক্তা ছড়ানো নাকি একই কথা।
১.সম্মেলনে বক্তব্য শুনেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও ক্যাম্পাস থেকে আসা নেতা কর্মীরা ‘ আমল’ করতে ঝাপিয়ে পড়লেন। হাজার হলেও নেত্রীর কথা। না শুনলেতো পদ পদবী কিছুই থাকবেনা। স্থান হিসেবে বাছাই করা হলো সম্মেলনের পাশের ক্যাম্পাস শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ব: এর একটি ক্যান্টিনকে।
বেশ কয়েকজন মিলে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর বিল না দিয়ে চলে যেতে চাইলেন। কর্মচারীরা তাদেরকে বিল দিতে বলায় তাদের উপর হামলা করা হলো। সদলবলে আক্রমণ। যেমনটি মাঝে মাঝে কাউয়ারা করে থাকে। কিন্তু বাধ সাদলো ঐ বেরসিক কর্মচারীরা।
তারা খুব একটা কৃপণতার পরিচয় দেননি। দুপুরের খাবার ‘ফাও’ খেতে না দিলেও সবাই মিলে “গনধোলাই”টি অন্তত ‘ফাও’ দিতে ভুল করেননি!! তারপর সবাই চুপচাপ চলে গেলেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়তে।
২. গতকাল ছিল ছোট ছোট কয়েকটি ইসলামী দলের ডাকা হরতালেন প্রথম দিন। হুজুরদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে স্বসস্ত্র পলিশের পাশাপাশি রড, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন সোনার কাউয়ারা ও। ঐখানে উনারা যা করেছেন তা কেবল ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের সাথেই তুলনীয়।
তাদের বেদড়ক লাঠিপেটা ও তাড়া খেয়ে একজন হুজুর জীবন বাচাতে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে ও হামলা করা হলো। হামলার তীব্রতায় বেচাড়া যখন দিশাহারা তখন তার পকেটে হাত ঢুকিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনেই তার কাছে থাকা ‘মোবাইল ও টাকা’ গুলো হাতিয়ে নিতে ভুল করেননি একজন ছাত্রলীগের নেতা। লজ্জা-শরম কি পরিমাণ তলাণীতে টেকলে সবার সামনে এমন কাজ করা সম্ভব তা আন্দাজ করতে মোটেই কষ্ট হয়না।
সম্মানীত পাঠক, উপরের দুটি ঘটনাই ঘটলো সেই দিন, যে দিন প্রধানমন্ত্রী সহ বড় বড় সব নেতাই ছাত্রলীগকে নসীহত করছিলেন ‘ সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলা’ গড়তে এগিয়ে আসার জন্য। আর হ্যা, তাইতো তারা কাল বিলম্ব না করে ‘সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলা’ গড়ার নমুনা দেখাতে শুরু করলেন দেশবাসীকে।
নেত্রীর কথা আমল করতে দেরী করলে আগামী দিনের সেঞ্চুরীয়ান ‘মানিক’ সন্ত্রাসী এডিসি ‘হারুন, বিপ্লব, আর পরিমল জয়ধরের জন্ম হবে কিভাবে?? সাবাশ ছাত্রলীগ। সাবাশ কাউয়ালীগ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।