সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল প্রথম পশলা
মুখখারাপ মোখলেস সমাজকল্যাণ সমিতি সম্প্রতি সুশিলতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিশেষ পুরস্কার লাভ করেছে। সেই খুশিগতে ডগমগ হয়ে সমিতির হোমড়া চোমড়াদের বিশেষ কৃপালাভকারি আত্মস্বীকৃত ঘেটুপোলা খবরটি ফেরি করে বেড়াচ্ছে। তবে ঘৃণাবাদি এই সমিতি ঠিক কোন যোগ্যতায় পুরস্কারটি লাভ করলো, সেই প্রশ্ন যারা করতেন, তাদের মুখ স্কচটেপ দিয়ে আগেই আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে অন্য খবরে প্রকাশ গালিবাজ গালিব পার্টির লোকজনকে দিয়েই মোখলেস সমিতিকে পুরস্কারটি দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় পশলা
মোনমহন শিং আসছেন।
তবে আসার আগেই তার বেমাক্কা মন্তব্য আওয়ামি লিগের মুখে পাদুকাঘাত করেছে। শিং মশাইয়ের ধারণা ভারতবান্ধব এই আওয়ামি সরকারের সহসাই পতন ঘটতে পারে। এই নিয়ে হাসিনা বুবু নাকি অভিমানে নাকের জল চোখের জল এক করে ফেলেছেন। ঠিকই তো। যে ভারতের জন্য উঠতে বসতে গালি খেতে হচ্ছে, তার মুখেই এই কথা?
এই অভিমান ভাঙ্গাতে শিং সাহেব কানে কানে বুবুকে কিছু কথা বলার পর, তার পর বুবু শান্তিতে আছেন।
কি বলেছিলেন শিং মশাই? চলুন কান পাতি...
"আরে সুন হাসিনা বানু। হামার কথার গলদ মতলব নিকালে চলবে? তুমাকে হামরা গদিতে বসিয়েছে, হামাদের কাম উসুল না করে তুমাকে সরালে হামাদের চলবে? তুমি আর তুমার পার্টি চুরি চামারি সন্ত্রাস আর হামাদের গোলামি করে দেশের মানুষের দুষমন বন গিয়েছো। ইখুন যদি পাব্লিক খেপে গিয়ে তুমার চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় নামায়, তখুন হামরা তো ভালো, শাম আংকেল ভি কুছু করতে পারবে না। তাই আগেই মিছা বলে দিয়ে রাখলাম যে তুমার বিরুদ্ধে যারা আছে, তারা সব জামাত কে পিঠঠূ আছে। তাহলে বলা যাবে যে বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গিরা ক্ষমতা দখল করেছে।
এই বাহানায় হামরা হামাদের আর্মি নামিয়ে তুমাকে আবার গদিতে বসাতে পারবো। আংকেল শাম ভি খুশ হোবে। হামাদেরও কাম বন যাবে। আর পাবলিক ভি গায়ে জামাতি নাম লাগার ডরে আর তুমার বিরুদ্ধে কুছু বলার সাহস পাবে না। ইবার খুশ তো ।
আভি থোড়া হাসো "
তৃতীয় পশলা
বাংলাদেশে এত কাক নেই, যতটা নারী/মানবতাবাদি আছে। ওদের হম্বিতম্বি দেখে মনেহয় পৈতৃকসুত্রে ওরা মানবতার এজেন্সি নিয়ে বসেছে। আর যদি চিহ্নিত কোন সন্ত্রা্সি মারা পড়ে, তাহলে তো কথাই নেই। ওদের ঘেউ ঘেউ দেখে কে? রাস্তার সবচেয়ে খেকুরে কুত্তাটাও লজ্জা পাবে। আর যদি অজপাড়াগ্রামে কালেভদ্রে কোন কাঠমোল্লার ফতোয়ার কারণে বিপত্তি ঘটে তবে তাদের ঘোত ঘোত শব্দে নির্ঘাত সোয়াইন ফ্লুর পুনরাবির্ভাব ঘটতে বাধ্য।
অথচ খোদ ঢাকা শহরে নামকরা স্কুলের অপ্রাপ্তবয়স্কা ছাত্রিদের যৌন হয়রানি করা পরিমলের বিরুদ্ধে এদের কোন রা নেই। মিডিয়াতে এদের চোয়াল অবশ হয়ে পরে আছে। হতে পারে এদের কোন কোন পালের গোদার সাথে এই গোষ্টির শশুড়বাড়ির আত্মিয়তা থাকার সুবাদে আজ তাদের মুখে তালা পড়ে আছে। এরাই যখন আবার অসাম্প্রদায়িক চেতনা কিংবা নারীমুক্তি অথবা মানবতার বুলি কপচায় তখন ইচ্ছা করে এদের মুখে বিষ্ঠা মাখা ঝাড়ু দিয়ে বাড়ি দিতে।
চতুর্থ পশলা
এভাবে হরতাল হয়? হরতাল কিভাবে করতে হয়, সেটা আওয়ামি লিগকে দেখেও বি এন পি শিখলো না।
মার খেয়ে মুখ লুকিয়ে পালিয়ে, শেষ বেলায় সংবাদ সম্মেলনে কান্না কান্না শব্দে আওয়ামি লিগের হাজারও বদনাম গাইলেও কোন লাভ হবে না। নাহ সাধারণ পাবলিকের গায়ে টোকা দেবার প্রস্তাব করছি না। হরতাল বিরোধীতার নামে যে আওয়ামি সন্ত্রাসিরা মাঠে ছিল ওদের কয়টাকে পিটিয়ে তক্তা করে ফেললেই তো হতো? অন্তত সমর্থকরা এতটুকু সান্তনা পেতো যে, বাপের ব্যাটার মত রাজপথ কাপানোর ফলেই মামলা হয়েছে। এখন তো এমন অবস্থা, মার ও খেলি মামলাও খেলি। দেশের জন্য মমত্ববোধ থাকলে আরো শক্তভাবেই ময়দানে নামা উচিত।
এই গেলো একপশলা। পরিশেষে ঘৃণাবাদি আর ভাদাদের জন্য অমৃতবচন রেখে গেলাম।
"টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, লৌড়ের উপর থাকবি দেশ জুড়িয়া। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।