আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যদি গ্যাস পাচার রোধ করতে পারি তাহলে হাসিনা-তৌফিক ই ইলাহীর ভাগও আমরা মেরে খাব না।

আশাবাদী কাকে বলে আমি ঠিক নিশ্চিত নই। তাই নিজেকে পুরোপুরি নিরাশাবাদী বলে বিশেষায়িত করছি না। আমি বরং তেল গ্যাস পাচার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে নিয়ে আমার ভাবনা গুলিকে ‘কঠিন বাস্তববাদী’ ভাবনা বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। প্রথমে আসুন আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশের সফল আন্দোলনসমূহের সাথে এই আন্দোলনের পার্থক্য বুঝার চেষ্টা করি। ১।

নব্বইয়ের গন আন্দোলনে এরশাদের পক্ষে ছিল একমাত্র সেনাবাহিনী। বামপন্থী ছাত্রসমাজ,ছাত্রদল,ছাত্রলীগ তার পক্ষে ছিল না বলাই বাহুল্য। কিন্তু ক্ষমতা কিংবা অর্থের লোভ দেখিয়ে সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় পাকিস্তান আমলের এনএসএফের মত অনুগত সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠন দাঁড় করানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল না। কিন্তু তেমন কিছু হয় নি। এর প্রধান কারন ছিল এরশাদ ছিলেন সরাসরি ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে।

এই বিশ্ববেহায়া লোকটি তাঁর সেনাবাহিনীর উপর খুব আস্থা রাখতেন,এবং সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে মোকাবেলা করতে সেনাবাহিনীর উপর তার ছিল অগাধ আস্থা। আর সেনাশাসিত সরকারের সময় সিভিল প্রশাসন তো ওদের হুকুমের গোলাম মাত্র। তখন আজকের মত অশ্লীলভাবে মুক্ত পুজিবাদী অর্থনীতি ছিল না। তাই তখন হরতাল আন্দোলন রুখতে ব্যবসায়ীদের দ্যান দরবারের কোন মূল্য ছিল না। আর সেনা শাসনে কেবল সেনাকর্মকর্তাদেরই পোয়াবারো।

সামরিক উর্দিপরা এই অফিসারদের ভয়ে ব্যবসায়ীদের(যার অধিকাংশই অসৎ) রাতে ঘুম হয় না। তাই তারাও সামরিক সরকার বেশীদিন পছন্দ করে না। তবু যতদিন সেনাবাহিনী এরশাদের সাথে ছিল ততদিন এরশাদ বহাল তবিয়তে ক্ষমতায় ছিল। বাকী রইল একটা ফ্যাক্টর। বিদেশী ফ্যাক্টর।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিদেশীদের ভূমিকা কী ছিল তা বলতে পারছি না। ২। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আওয়ামী লীগের আন্দোলন ছিল সমানে সমানে লড়াই। রাজপথের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সব সময়ই বিএনপির চেয়ে এগিয়ে। সংসদেও ১৪৪ আসন নিয়ে বিএনপি ছিল অনেক বেকায়দায়।

বিএনপির সাথে পাল্লা দেওয়ার মত সব কিছুই আওয়ামী লীগের ছিল;বিদেশী কূটনীতিবিদদের সাগ্রহ মনযোগ,মানুষকে হরতাল পালনে বাধ্য করানোর জন্য প্রয়োজনীয় পেশী শক্তি,দল চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানদাতা দেশী ব্যবসায়ী,বিদেশী মাফিয়া কোম্পানী যারা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশে দলসমুহকে টাকা দেয়,লেখক,কবি,সাহিত্যিক-সব কিছুই ছিল আওয়ামী লীগের অনুকূলে। তবুও আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করা যায় নি। কিন্তু প্রধান বিরোধী দলগুলি যখন ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন বর্জন করে কেবল তখনই বিএনপি সরকারের ভীত কেঁপে উঠে। বিদেশী মুরুব্বিরা নির্বাচন মেনে নিতে অস্বীকৃত জানায়। সাথে সাথে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের নেতৃত্বে প্রশাসন বিদ্রোহ করে বসলে বিএনপি সরকার অচল হয়ে যায়,তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী আদায় হয়।

৩। এবার আসুন কানসাটের ঘটনায়। কানসাটের ঘটনায় মূলত গ্রামের মানুষরাই অংশ নিয়েছিলেন। আর রক্ত ঝরাতে গ্রামের মানুষ অকুতোভয়। কানসাটের মানুষ অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে।

রাইফেলের সামনে বুক পেতে দিয়েছে তাঁরা। এতগুলো লাশের বিনিময়ে কানসাটের মানুষ তাদের দাবী আদায় করেছে। তাছাড়া কানসাটের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ছিল অকুণ্ঠ সমর্থন। আর যে কোন আন্দোলনে আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপির সমর্থন পাওয়া গেলে সেটি এমনিতেই মিডিয়ায় আলাদা মনযোগ পায়। তবে এ আন্দোলনে গ্রামের সাধারন মানুষের অংশগ্রহনের কারন ছিল চুরি যাওয়া ট্রান্সফর্মারের টাকা গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দেয়া ও পল্লীবিদ্যুত কর্তৃপক্ষের সীমাহীন দুর্নীতি যার কারনে কানসাটের সাধারন মানুষ সরাসরি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত।

৪। এবার আসুন ফুলবাড়িয়ার ঘটনায়। সেখানেও কানসাটের অনুরুপ ঘটনা। ভিটেমাটি কৃষি জমি হারানোর ভয়ে কৃষক মরীয়া হয়ে উঠেছিল। তাই নিজেদের জীবন দিয়ে তাঁরা তাঁদের ভিটে মাটি রক্ষা করেছে।

৫। সরকার নতুন বিমানবন্দরের জন্য আড়িয়াল বিলের জমি অধিগ্রহন করতে চেয়েছিল। কিন্তু যে জমি ভাত দেয়,রক্ত দিয়ে হলেও সে জমি রক্ষা করতে বাংলার কৃষক মজুররারা সবসময়ই দ্বিধাহীন। আড়িয়াল বিলেও তাঁরা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সশস্ত্র পুলিশের মোকাবেলা করেছে। সরকার যখন বুঝেছে রক্ত ঝরিয়েও কোন লাভ হবে না তখন তারা এই প্রকল্প থেকে সরে এসেছে।

৬। এবার আমরা সমুদ্রের গ্যাস রক্ষায় আমাদের আন্দোলনের দিকে নজর দেই। এই আন্দোলনে কাদের স্বার্থ জড়িত। প্রথমত, বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর। এদের উদ্দেশ্যই হল টাকা বিনিয়োগ করা ও মুনাফা বানানো।

কিন্তু সরকার যতই বিদেশীদের শিল্পখাতে বিনিয়োগ করতে বলুক,প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ছাড়া তাঁরা বিনিয়োগ করবে না। দুর্বল অবকাঠামোর এদেশে বরং তেল গ্যাস কয়লা উত্তোলনের কাজ পেলে তাঁদের সুবিধা। আর এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মুনাফাই তাঁদের লক্ষ এবং এজন্য ঘুষ কমিশন দিতে তাঁদের কোন দ্বিধা নেই। আর একবার যদি বাজারে ঢোকা যায় তাহলে এই খাতে এদেশের বাজার বিদেশীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়ে যাবে। তাই শুধু আমেরিকাই নয় চীন,ভারতসহ শিল্পোন্নত দেশসমূহ এই চুক্তি বাস্তবায়নের অপেক্ষায়।

আর এই অঞ্চলে ভারত অথবা চীনের সাহায্য ছাড়া আমেরিকার প্রভাব বিস্তার পুরোপুরি অসম্ভব। মায়ানমারের দিকে তাকালে আমরা খুব সহজেই এর সত্যতা উপলব্ধি করতে পারব। মায়ানমারের খনিজ সম্পদের লোভে ভারত ও চীন জান্তা সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সেখানে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের কোন উদ্যোগই জান্তা সরকারকে কাবু করতে পারছে না। ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক কারনে এদেশের উপর ভারতের কর্তৃত্বের সুযোগ চীনের চেয়ে অনেক অনেক বেশি।

আর সে কারনেই আমেরিকা তাঁর কৌশলগত বন্ধু ভারতের সাথে হাত মিলিয়েছে এদেশে উভয়ের বানিজ্যিক স্বার্থরক্ষায়। আমেরিকা চাইছে বাংলাদেশ ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করুক যেন গ্যাসের জন্য আমেরিকার জাতশত্রু ইরানের উপর ভারতের নির্ভরতা কমে। বিশ্বাস না হলে উইকিলিকস প্রকাশিত তারবার্তা দেখুন। জঙ্গিবাদ ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উপর বোমা হামলা ইস্যুতে এবং রাজনীতিতে প্রকাশ্য দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসন করায় আমেরিকা ও তাঁর বন্ধুরা এমনিতেই বিএনপির উপর অসন্তুষ্ট। বাংলাদেশে এই মুহুর্তে বিএনপির একমাত্র বিকল্প আওয়ামী লীগ।

তাই প্রফেসর মুহম্মদ ইয়ুনুস ইস্যুতে আমেরিকা অনেক হুমকিধামকির পরও হঠাৎ করে চুপ করে গেল। আর আওয়ামী লীগ যে এত তাড়াহুড়ো করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করল সেখানে আমেরিকার ভয়ও কিছুটা কাজ করেছে বলেই মনে হয়। এখানে অনেকে আমেরিকা ও আওয়ামী লীগের পারস্পরিক মনোভাব প্যারাডক্স মনে হতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি কোন অংকের সরল সমীকরন নয়। আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি আর সৌদি আরবের পররাষ্ট্র নীতিকে এক পাল্লায় মাপলে চলবে না।

জনভিত্তি থাকলে তুমি যদি চোরও হও,আমেরিকা তোমায় বিবেচনায় রাখবে কিন্তু নিজ দেশে অগ্রহণযোগ্য কাউকে আমেরিকা কখনো সমর্থন দেয় না। তাই কৌশলগত মিত্র হোসনি মোবারকের উপর থেকে সমর্থন সরিয়ে নিতে আমেরিকা দ্বিধা করে নি। খালেদা জিয়া আমেরিকা সফরে গিয়ে ভাল রেসপন্স পান নি। তাই তেল গ্যাস ইস্যুতে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার সুযোগ পেয়েও এ নিয়ে কথা বলতে পারছে না। তাই ভবিষ্যতেও তাদেরকে এই ইস্যুতে আর পাওয়া যাবে না।

সুতরাং এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও ’৯৬ এর আন্দোলনের মত আমরা কোন রাজনৈতিক সমর্থন পাচ্ছি না। এবার আসি ব্যবসায়ীদের কথায়। ব্যবসায়ীদের তাড়াতাড়ি গ্যাস দরকার। দাম নিয়ে তাদের তেমন মাথাব্যাথা নেই। বেশীদামে কিনতে হলে সেটা জনগনের পকেট থেকে নিয়ে নেবে।

আর সরকারের সাথে যদি আতাত থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা সবসময় আন্দোলনের বিপক্ষে। মানুষ না খেয়ে মরুক সমস্যা নেই সরকার ব্যবসায়ীদের না ঘাটালে তারা সরকারের পক্ষে। এবার সুশীলদের কথায় আসি। সরকার চাকমা-মারমা-বাঙ্গালী সবার জাতি বাংলাদেশী থেকে বাঙ্গালী করে দিয়েছে। ৩২ বছর পর এই বাঙ্গালিত্ব ফিরে পাওয়াকে তারা এখন রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করছে।

অনেকে বলছেন সুশীল রা নাকি তেল গ্যাসের ব্যাপারে উদাসীন। আসলে তা নয়। তারা ঈগলের চোখে সবকিছু দেখছে। যখন দেখবে আমাদের আর সরকারের রান সমান তখন আমাদের সাথে যোগ দিয়ে আমাদের জিতিয়ে দেবে আর জয়সূচক রান নেয়ার আনন্দে আমাদের কোলে চড়বে। এর আগে তাদের পাবার সম্ভাবনা নেই।

এবার আসি কানসাট,ফুলবাড়ি আর আড়িয়াল বিলের নায়ক নির্ভীক গ্রামীন জনসাধারনের কথায়। গ্যাস নিয়ে তাদের তেমন মাথাব্যথা নেই কারন তাদের রান্না করতে হয় লাকড়ির চুলায়। আর সমুদ্রের গ্যাস যে তার নিজের গ্যাস এই বোধ তাদের এখনও আসে নি। তাই রাজনৈতিক ফুসলানি ব্যতীত শুধুমাত্র আদর্শের কথায় তাদের এই আন্দোলনে ভিড়ানো খুব কঠিন হবে। বাকী রইল শহরকেন্দ্রিক যুবসমাজ।

ভোগবাদে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো এই যুবসমাজের রাজপথে নামতে খুবই অনীহা তবে তারুন্যের রক্ত এদের শরীরে। তাই যদি এই রক্তের জ্বলুনি আরেকটু বাড়িয়ে দেয়া যায় তবে এদের রাজপথে আনা যাবে। ৩ তারিখের হরতাল আমাদের সেই স্বপ্নই দেখাচ্ছে। এবার আসি আন্দোলনের পদ্ধতি নিয়ে। এদেশে হরতাল ছাড়া অন্য কোন কর্মসূচিকে কোন রাজনৈতিক দল পরোয়া করে না,আর হরতাল শব্দটি না থাকলে জনগনও কোন আন্দোলনে আগ্রহ পায় না।

কিন্তু গ্যাস রক্ষার জন্য তো আর বস্তির সন্ত্রাসীদের ভাড়া করা যাবে না। আবার বেসরকারী খাত বিকাশিত হওয়ায় পেটি বুর্জোয়া এবং প্রায় আদর্শহীন জনসাধারন নিজের আর্থিক ক্ষতি করে এই হরতাল পালন করবে এটা বিশ্বাস করা কঠিন। তবে হরতালের সাথে সাথে সকল ধরনের ভূত এবং অভূতপূর্ব উপায়ে তাদের হরতালে অংশগ্রহন করতে আহবান জানাতে হবে। কেউ হরতালের সমর্থনে কাজ বন্ধ রাখতে পারছেন না। সমস্যা নেই।

আপনি মতিঝিল অফিসে যাবার সময় শাহবাগে নেমে পড়বেন। আধাঘন্টা-একঘন্টা হরতাল পালন করবেন। তারপর বাংলা একাডেমীর সামনে দিয়ে অফিসে চলে যান। যিনি রাজপথে নামতে ভয় পান একটা স্লোগান লেখা টিশার্ট পরে চলাফেরা করতে পারেন। দশজন আমেরিকান প্রফেসরদের কাছে মেইল করে ঘটনা এই চুক্তি সম্পর্কে এদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া জানান।

যারা বিদেশে আছেন তারা কয়েকজন মিলে একটা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করুন। সম্ভব হলে যেখানে যেখানে কনকোফিলিপসের অফিস আছে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করুন। বাসার দরজায় বিশ্বকাপের সময় হয়তো ফিকচার সাটানো থাকে। আন্দোলনের সপক্ষে একটা সুন্দর পোস্টার অনলাইন থেকে প্রিন্ট করে নিন। তারপর সেটিকে ফিকচার মনে করে সেঁটে দিন।

ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচারটা পালটে দিন। বন্ধুকে এসএমএস পাঠান। গ্যাস পাচার রুখতে একটা স্ট্যাটাস দিন। আর যারা ভাবছেন এমন টিশার্ট পড়লে জাত যাবে,তারা দামী ব্যান্ডের টিশার্ট পরে থাকুন। ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিলে কাছের বন্ধুরা ‘লাইক’ করবে না,আপনি তারচেয়ে মেসি কিংবা নেইমারকে নিয়ে কিছু লিখুন,কাজে দেবে।

বন্ধুকে এসব ফালতু ব্যাপারে এসএমএস না পাঠিয়ে বান্ধবীকে প্রতি পাচ মিনিট পরপর এসএমএস পাঠান,মুগ্ধ হয়ে পরের ডেটিংয়ে বেশী সময় দেবে। আপনাকে মনে মনেও গ্যাস পাচারের আন্দোলনকে সমর্থন করতে হবে না,যদি আমরা গ্যাস পাচার রোধ করতে পারি তবে আপনার ভাগ অবশ্যই থাকবে,হাসিনা-তৌফিক ই ইলাহীর ভাগও আমরা মেরে খাব না। লেখাটি এখানেও পাবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।