আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি এহোন কই যামু?

আমাদের বশুবাড়ীর ঘাটের ঐতিয্য আর রক্ষাকরা গেলনা সেখানে াখেন এখন বাজে লোকেরা আড্ডা মারে। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী নিপা আক্তর (১১) ধর্ষনের শিকার হয়ে গ্রাম্য শালিশীর মাধ্যমে ধর্ষক আনিসকে বিয়ে করে প্রতারিত হয়ে তার মুখে এখোন একটাই প্রশ্ন আমি এহোন কই যামু ?জানা গেছে,উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের দেলোয়ার হোসেন খাঁন এর মেয়ে পাঁচগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী নিপা আক্তার (১১) কে পাশের দশত্তর গ্রামের মৃত সাইজউদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে আনিস গত ২৩ শে জুন বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষন করে। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাতায়তকারী কতিপয় পথিক দেখে ফেললে ধর্ষককে আটক করে গ্রাম্য মাতবরদের খবর দেয়। পরে ধর্ষককে দশত্তর গ্রামের নান্নু হাওলাদারের জিম্মায় গ্রাম্য শালিশী যে মুহুর্তে চাইবে সেই সময় আনিস কে হাজির করতে বাধ্য থাকিবে এই শর্তে জিম্মা দেওয়া হয়। পরের দিন শুক্রবার স্থাণীয় গ্রাম্য শালিশীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।

তখন বিয়ের ব্যাপারে আনিসের বড় ভাই শহীহদ আপত্তি করলে তাকে মেরে গুরুতর আহত করে এ বিয়ের ব্যাপারে বাধ্য করা হয় বলে শহীদ জানায়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়। বিয়ের পর ধর্ষক আনিস শশুর বাড়ীতে নিপার সাথে ৩ দিন সংসার করার পর গত ২৭ শে জুন সোমবার সকাল বেলা না বলে চলে যায় । নিপা জানায়, তারপর সে বহুবার আনিসের মোবাইলে ফোন করলে ফোন না ধরে সে মোবাইল বন্ধ করে রাখে। নিপা আরো জানায়, আনিসের সাথে আমার গত ১ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

হে দিন রাতে হেয় আমাগো ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে। একটি বই এনে বলে এখানে স্বার করো। আমি হেনে স্বার করলে সে বলে তুমি এখোন আমার আইনগত স্ত্রী। এটা হচ্ছে কাবিননামা। এখোন তোমার সাথে সংসার করতে আমার আর কোন বাধা নেই বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার সাথে মেলামিশা করে।

পরে হের সাথে আমার বিয়া অয় ৩ দিন হেয় আমার লগে থাইক্কা আমারে না কইয়া চইল্লা যায়। আগে প্রতিদিন স্কুলে যাইতাম কিন্তু সারেরা ও অন্য মানুষেরা এগুলা সব জাইন্না হালাইছে। তাই স্কুলেও যাওনের উপায় নাই। আমি এহোন কই যামু? স্থাণীয় মাতবররা জানায়, নিপাদের ঘরে আনিসকে আটক করার সময় উপজেলার হাসাইল ইউনিয়নের কাজি মোহাম্মদ আলীর বিবাহ নিবন্ধন বলিয়ম বইটি পাওয়া গেছে। যা বর্তমানে শালিশীদের মাধ্যমে পাচঁগাওঁ ইউনিয়ন কাজি কাওসার এর জিম্মায় রয়েছে।

স্থাণীয়রা জানায়, কাজি মোহাম্মদ আলী এলাকায় বিয়ে পড়ানের নামে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। এ ব্যাপারে কাজি মোহম্মদ আলির সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় ,আমার বইটি আমার টেবিলের উপর অন্যান্য কাগজের সাথে ছিলো কিন্তু গত ২৩শে জুুন আমি আমার ঘরে প্রবেশ করে দেখি আমার বইটি নাই। পরে ২৬ তারিখে আমি টঙ্গিবাড়ী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি। তাকে ২৩ তারিখে ডায়েরী না করে ২৬ তারিখে ডায়েরী করার কারন জানতে চাইলে সে প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলে আমার জহুর নামাজের আযানের সময় হইছে আমি অহোন আযান দিমু আপনাদের কোন কিছু বলার থাকলে তা আমাকে লিখিত দেন বলে চলে যান। এদিকে গ্রাম্য শালিশীর মাধ্যামে বিয়ে পড়ানো আরেক কাজী, উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কাওসার আহমেদ এর কাছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু মেয়ের বিয়ে পড়ানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে সে জানায়, মেয়েটির বিয়ে পড়ানোর সময় কাপড় পড়িয়ে আমার সামনে আনা হয়।

তখন আমি মেয়েটির সঠিক বয়স কত বুঁেজ উঠতে পারিনি। তাছাড়া এলাকার গ্রাম্য শালিশীরা আমায় এভাবে ধরলো যে বিয়ে না পরিয়ে আমার উপায় ছিলো না । অপরদিকে ছেলে প অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে জোর করে বিয়ে পড়ানো হয়েছে । আমরা এ বিয়ে মানিনা। এ ব্যাপারে আমরা আদালতে মামল করবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.