যৌন সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামে যুবক-যুবতীকে দোররা মেরে গ্রামছাড়া করা হয়েছে।
বড়িকান্দির স্বামী পরিত্যক্ত এক সন্তানের জননীর (৩০) সঙ্গে একই গ্রামের খানপাড়ার তিন সন্তানের জনক বাহাউদ্দিনের (৩৫) পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এলাকার মাতবররা মঙ্গলবার গভীর রাতে খানপাড়ার মতিউর রহমানের বাড়িতে সালিশ বৈঠক করে। রায়ে ওই যুবক-যুবতীকে প্রত্যেককে ১০০টি করে দোররা এবং বাহাউদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে হাফেজ খা যুবককে এবং বেলাল হোসেন যুবতীকে তওবা পড়িয়ে ১০০টি করে দোররা মেরে রায় কার্যকর করেন। দোররার শিকার হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তারা।
এতে সভাপতিত্ব করেন নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে ধিরু মিয়া। জুরিতে ছিলেন ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, ছিদ্দিক মিয়া, হিরু মিয়া, রূপ মিয়া, আবদুল মালেক, স্বপন মিয়া, পল্লী চিকিৎসক শাহ আলম, হাফেজ খা, তোফাজ্জল হোসেন, জহর মিয়া, সেলিম মিয়া, মোঃ মানিক, মোঃ দুলু মিয়া ও বেলাল হোসেন।
এ ব্যাপারে বড়িকান্দি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য দানা মিয়া বলেন, এ ঘটনা নিয়ে দোররা মারা অমানবিক।
জুন মাসের প্রথম দিকে গ্রামের সর্দারের নির্দেশে ওই নারীর গর্ভপাত ঘটানো হয়। ইউপি মেম্বার কামাল হোসেন বলেন, ছেলেটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয়কে ২০-৩০টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে। গ্রামের চকেরহাটি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা অলিউল্লাহ বলেন, 'মাতবররা মেয়েটিকে গর্তে পুঁতে ঢিল মারতে বলছিলেন। আমি রাজি না হয়ে মেয়েটিকে তওবা পড়িয়েছি। '
সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ছেলেটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০-২৫টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
পরে ছেলেমেয়েকে ইমাম সাহেবের মাধ্যমে তওবা করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বাহাউদ্দিন বলেন, এটি ষড়যন্ত্র। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।