আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রান্সফরমারস থ্রি: ডার্ক অব দ্য মুন

গতকাল মুক্তি পেয়েছে ‘ট্রান্সফরমারস’ সিরিজের তৃতীয় ছবি ডার্ক অব দ্য মুন। এবারও যথারীতি শুভর সঙ্গে অশুভর লড়াই, যে লড়াইয়ে মুখোমুখি অটোবটস আর ডিসেপটিকনস। অটোবটসদের সঙ্গে এবারও আছে নায়ক স্যাম, কিন্তু পাল্টে গেছে নায়িকা... এবার নিল আর্মস্ট্রং, এডুইন অলড্রিনদের চন্দ্রাভিযানের গল্প চলে আসছে ট্রান্সফরমারসে। সিরিজের তৃতীয় ছবিতে দেখা যাবে, নাসার ১৯৬৯ সালের চাঁদের অভিযান আসলে নেহাতই চাঁদ জয় করার বাসনা থেকে নয়, নয় রুশ-মার্কিন আকাশযুদ্ধের সময়টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির দেওয়া চাঁদে মার্কিন পতাকা ওড়ানোর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নও। বরং এর পেছনে আছে গোপন এক মিশন।

ট্রান্সফরমারসদের গ্রহ সাইবারট্রনে যখন অটোবটস (ভালো রোবট) আর ডিসেপটিকনসদের (ভিলেন রোবট) মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছিল, যখন অটোবটসদের পরাজয় ছিল দুয়ারে, সেই সময় অটোবটসদের নেতা সেন্টিনিয়েল প্রাইম তাদের সভ্যতাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে সব ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে তার নভোযানে করে পালিয়ে যায়। কিন্তু তাকে আটকানোর জন্য আক্রমণ চালায় স্টারস্ক্রিম। ঘটনা পৃথিবীর বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১৯৬১ সালের। সেন্টিনিয়েলের নভোযান ক্র্যাশল্যান্ড করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে। আর এ ব্যাপারে তদন্ত করতেই চাঁদে নভোযান পাঠিয়েছিল নাসা।

এত দিন পর সেই নভোযানটি উদ্ধার করতে আবারও মাঠে নামবে অটোবটসরা। চাঁদে আছড়ে পড়া সেই নভোযানই যে তাদের শেষ আশা। ডিসেপটিকনসরাও সেটি ভালো করেই জানে। দুই পক্ষই চেষ্টা করবে সেই নভোযানটি খুঁজে বের করে দখল করার। এবারও অটোবটসদের হয়ে লড়াইয়ে নামবে স্যাম, যে কিনা সদ্য তরুণ থেকে এখন রীতিমতো যুবক।

জীবনের বাঁকে পরিবর্তন এসেছে তাঁরও। মিকায়েলার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে, এসেছে নতুন প্রেমিকা কার্লি স্পেনসার। আবারও শুরু হয়ে গেল ডিসেপটিকনসদের সঙ্গে অটোবটসদের যুদ্ধ, যে লড়াই দিয়েই শেষ হয়ে যেতে পারে ‘ট্রান্সফরমারস’ সিরিজ। সিরিজের প্রথম ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৭ সালের জুলাইয়ে। স্টিফেন স্পিলবার্গ প্রযোজিত সায়েন্স ফিকশন।

ফলে অবধারিতভাবেই হিট। ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বাজেটের ছবিটি বক্স অফিস থেকে তুলে এনেছিল প্রায় ৭১ কোটি ডলার। সিরিজের দ্বিতীয় ছবি রিভেঞ্জ অব দ্য ফলেন মুক্তি পায় দুই বছর পর। এবার বাজেট বেড়ে ২০ কোটি হয়, আয়ও বেড়ে দাঁড়ায় ৮৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার। মজার ব্যাপার হলো, তৃতীয় ছবি ডার্ক অব দ্য মুন-এ এসে কিন্তু বাজেট কমিয়ে দিয়েছেন প্রযোজক।

তার পরও ১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নির্মিত এই ছবি বাকি দুটোর চেয়ে বেশি ব্যবসাসফল হবে বলেই আশা পরিচালক মাইকেল বের। ছবিটির একটি ত্রিমাত্রিক সংস্করণও মুক্তি পাচ্ছে। এই সিরিজের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন নায়িকা চরিত্রে। প্রথম দুটো সিরিজে অভিনয় করেছেন মেগান ফক্স। কিন্তু তৃতীয় ছবিতে হঠাৎ করেই জানা গেল, ফক্স থাকছেন না।

কেন স্পিলবার্গের মতো গুণী নির্মাতার লাভজনক প্রকল্প থেকে ফক্স সরে দাঁড়ালেন, এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। ফক্স নিজে থেকে সরে গেছেন এবং সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন—দুই ধরনের খবরই রটেছে। অনেক বাছবিচার করে ইংলিশ মডেল রোজি হান্টিংটন-হুইটলিকে কার্লি চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছেন পরিচালক। এই ছবি দিয়েই চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে চলেছে রোজির। অবশ্য কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে লাবিউফের কণ্ঠে ফক্সের জন্য মায়াকান্নার দরদই ঝরে পড়তে দেখা গেছে।

এমনও বলেছেন, এই সিরিজে তিনিও আর অভিনয় করবেন না। এমনকি সরে যেতে পারেন পরিচালক মাইকেল বেও। অনেকেই ধরে নিচ্ছেন, হয়তো সিরিজটারই সমাপ্তি হচ্ছে এখানে। কিন্তু লাভজনক একটা প্রকল্প এত সহজে শেষ করে দেবেন স্পিলবার্গ!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.