সম্প্রতি প্রকাশিত ইএসপিএন সাময়িকীর 'বডি' ইস্যুর প্রচ্ছদে দেখা যায়, টেনিস বলভর্তি সুইমিংপুলের পাশে বসে আছেন নিরাভরণ রাদওয়ান্সকা।
সাময়িকীটি প্রকাশের পর পোল্যান্ডে সমালোচনার ঝড় উঠে। রাদওয়ান্সকার এই আচরণকে 'অনৈতিক' দাবি করে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে পোলিশ ক্যাথলিক ইয়ুথ মুভমেন্ট। এই সংগঠনটির হয়ে বিজ্ঞাপন আর প্রচারে যুক্ত ছিলেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ এই টেনিস তারকা।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ব্যাংক অব দ্য ওয়েস্ট ক্লাসিক খেলতে আসা রাদওয়ান্সকা রয়টার্সকে বলেন, "আমি একটু মর্মাহত।
ওই ঘটনার পর যা যা হয়েছে তাতে আমি সত্যিই বিস্মিত। ক্যাথলিকদের সমালোচনা দেখে মনে হয়েছে আমি পুরুষদের ম্যাগাজিনের জন্য ফটো শুট করেছি। আমি অবাক হচ্ছি কারণ তারা জানেই না যে ফটো শুটটার বিষয় কী ছিল। "
সমালোচনার জবাবে এবারের উইম্বল্ডনের সেমিফাইনালে পৌঁছা রাদওয়ান্সকা নিজের ফেইসবুক পেইজে জানান, ছবিগুলোতে কোনো রকমের যৌনতা ছিল না; ব্যায়াম করে শরীর সুগঠিত রাখার বিষয়টিই কেবল উঠে এসেছে এতে।
ইংরেজি ও পোলিশ ভাষায় এক বিবৃতিতে রাদওয়ান্সকা বলেন, "ছবিগুলো কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য তোলা হয়নি।
আর ম্যাগাজিনের বিষয়বস্তু বিচার করলে তা অনৈতিকও নয়। "
সাময়িকীটি প্রকাশের পর ক্যাথলিক যাজকরা অভিযোগ করেন, যীশু খ্রিষ্টের প্রতি আনুগত্য প্রচার করা রাদওয়ান্সকা এখন মেয়েদের পণ্য হিসেবে দেখা পুরুষ মানসিকতার বিজ্ঞাপন করছে।
কিন্তু জবাবে ২৪ বছর বয়সী রাদওয়ান্সকা বলেন, "আমি এভাবে প্রচ্ছদে আসতে রাজি হয়েছি যাতে তরুণ-তরুণীরা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর সুগঠিত রাখতে ও সুস্থ থাকতে পারে। "
পোল্যান্ডের ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই ক্যাথলিক খ্রিস্টান। ২০১২ সালের উইম্বলডনের ফাইনালে উঠা রাদওয়ান্সকাও দেশে পুরোদস্তুর ক্যাথলিক হিসেবে পরিচিত।
ব্যাংক অব দ্য ওয়েস্ট ক্লাসিকে শীর্ষ বাছাই রাদওয়ান্সকা জানান, গত উইম্বলডনে সেমিফাইনালে জার্মানির সাবিন লিসিকির কাছে হারের বেদনা তিনি কাটিয়ে উঠেছেন। এ ম্যাচে রাদওয়ান্সকাও জিততে পারলে খেলতেন ওই আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মারিওন বারতোলির সঙ্গে যার বিরুদ্ধে এর আগে সাতবার খেলে সাতবারই জিতেছিলেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।