অপরাধ চক্রগুলো ইমিগ্রেশন স্ক্যামদের “সেক্স ট্রাফিকিং” বা যৌন পাচারে ব্যবহার করছে। বিয়ে করার নাম করে তারা নারীদের নিয়ে অন্যত্র পাচার করে দিচ্ছে। আর এসব কাজের জন্য তারা ব্যবহার করছে বিভিন্ন দেশের বর্ডার এলাকাগুলো। ২২ জুন যুক্তরাজ্যের একটি দৈনিক এসব তথ্য প্রকাশ করেছ।
ইউকে বর্ডার এজেন্সী থেকে জানানো হয়, দিন দিন এই অপরাধ চক্রগুলোর নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর হলো ‘বিয়ে’ নামক এ কাজটিতে তাদের সাহায্য করছে চার্চ এবং রেজিস্ট্রার অফিসগুলো। কিন্তু এখন চার্চের ভিকার এবং রেজিট্রার অফিসের স্টাফরা এসব থেকে সরে আসার চেস্টা করছেন। সেই সঙ্গে তারা এসব বিয়ে বন্ধের লক্ষ্যে বর্ডার এজেন্সীকে সাহায্য করছে।
ভিকার এবং ষ্টাফদের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, এসব বিয়েতে তারা আট হাজার পাউন্ড থেকে শুরু করে ১৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।
যুক্তরাজ্যের বর্ডার এজেন্সীর সহকারী পরিচালক জানান, যে এলাকাগুলোতে চার্চ আছে সেগুলোই এই চক্রগুলোর টার্গেট।
এই কাজের সঙ্গে লোকাল জনগণ জড়িত নয়। এসব অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্যদের প্রায় সবাই বহিরাগত।
অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রবাসী ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য পরিবারগুলোই দায়ী। কখনো কখনো মেয়ে নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। কেউ কেউ মনে করেন, যুক্তরাজ্যে শুধু বিয়ে করতেই আসবেন এবং বিয়ের পরে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।
কিন্তু বাস্তবে এমনটা হয়না। তাদেরকে যুক্তরাজ্যেই থেকে যেতে বাধ্য করা হয় এবং যৌন পাচার ব্যবসায় নামানো হয়। যা তাদের ভবিষ্যতে দেশে ফেরা বা সাধারন জীবন যাপন করাটাই অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়।
সরকারী হিসেব মতে, গত সামারে বর্ডার এজেন্সী এরকম ৫৩ টি বিয়ের সন্ধান পায়। এগুলোর মধ্যে পিটারবোরো এলাকার ১২ টি বিয়ের খবর পাওয়া যায় এবং সেখান থেকে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জানুয়ারী মাস পর্যন্ত বর্ডার এজেন্সী আরো ২২ টি এলাকায় অভিযান চালায়। নভেম্বর মাস থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
পিটারবোরোর কাস্টমার সার্ভিসের প্রধান মার্ক সান্ধু বলেন, “আমরা এখন বর্ডার এজেন্সীকে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সাহায্য করছি। আমরা রেজিস্ট্রারদের প্রশিক্ষন দিচ্ছি যাতে তারা স্পটেই এই ধরনের বিয়ে রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে। ”
কাস্টমার সার্ভিসটির একজন মুখপাত্র জানান, যারা স্থানীয় তাদের এই চার্চগুলোতে বিয়ে করার আইনগত অধিকার আছে।
তাছাড়া ভিকাররা এসব কাজ থেকে সরে আসার চেস্টা করছেন। যদিও এই চক্রগুলোর সঙ্গে কাজ হঠাৎ করে ছেড়ে দেয়া খুব কঠিন।
লিনক..।
http://www.ukbdnews.com
ইউকেবিডি নিউজ - ইউকে সংবাদ
সোমবার, 27 জুন 2011 08:18 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।