সুস্থবিজ্ঞানের চর্চা করতে চাই
(এই লেখাটি একটি বিশেষ লেখা। তাই বিশেষ কাউকেই আমি উৎসর্গ করছি আর উনি হচ্ছেন আমাদেরই ব্লগার:সত্যবাদী মনোবট )
একজন সাধারন মানুষ হিসেবে যখনই তুমি পৃথিবীর প্রতি তোমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন কর তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। তোমার জ্ঞান তোমার সেই পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি সর্ম্পকে ধারনা দেয়। জ্ঞান এমন একটি বিষয় যার সঠিক সঙ্গা আজ পর্যন্ত কোন অভিধান দিতে পারেনি। আসলে জ্ঞান( Knowledge) একক কোন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল নয় যে তা একটি সঙ্গা দ্বারাই এর ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
তা তুমি সহজেই বুঝতে পার যদি তোমার কম্পিউটারের দিকে তাকাও। তাকে খুব বেশি জ্ঞানী মনে হলেও সে কিন্তু জ্ঞানকে সহজে কাজে লাগাতে পারে না। তুমি হয়ত তা বুঝতে পারনা বা চাওনা। তুমি যদি জ্ঞান কে একটি class হিসেবে কল্পনা কর দেখবে তার Member Variable অসংখ্য এবং তা অজানা। কিন্তু তোমার জ্ঞান প্রয়োগ যাকে আমরা বু্দ্ধিমত্তা বলি তা কিন্তু সত্যি সত্যি কতগুলো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল।
এই প্রভাব দায়ক বিষয় গুলো হতে পারে ভাষা, Concept, ধারাবাহিক কাজ, নিয়মকানুন, Idea,স্মৃতি, স্থান,কাল, ঘটনা, ঘটনার সাথে সম্পর্কীত বস্তু বা শক্তি এবং তোমার দৃষ্টিভঙ্গী(যেমন: আবেগ,বিশ্বাস,যুক্তি)। সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হল প্রভাবক আবার একটির সাথে আরেকটি ভীষন ভাবে সম্পর্কযুক্ত, তাই একটির সামান্যতম পরিবর্তন আরেকটি প্রভাবককে পরিবর্তন করে। জ্ঞানের এই শাখারটির নাম ইপিস্টেমোলজি(Epistemology)।
তোমরা যদি কৃএিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তৈরী করে সমস্যার সমাধান করতে চাও দেখবে এই বিষয়গুলো ও এর সাথে আসতে হবে। না হলে তোমাদের কল্পনায় যে রোবট আছে তা হয়ত তৈরী করা সম্ভব হবে না।
আর শুধু লজিক বেসড কৃএিম বুদ্ধিমত্তা তোমাদের সেই লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আবার বলছি বুদ্ধিমত্তা কিন্তু জ্ঞানেরই বহি:প্রকাশ মাএ। তুমি যদি তোমার সাথে মিল রেখে এই বুদ্ধিমত্তকে তৈরী করতে চাও তবে রোবটিকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে তোমার মতই করে।
তোমাদের সবচাইতে দারুন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তোমরা খুব দ্রুত যেকোন অজানা বস্তু বা শক্তি সম্পর্কে ধারনা পেতে পার। এজন্য তোমাদের পূর্ববর্তী জ্ঞানের প্রয়োজন হয়না আবার প্রয়োজন হতেও পারে।
তোমরা বস্তুটিকে টুকরা টুকরা করে তার বৈশিষ্ট্য গুলো তোমার মেমরীতে ধারন করতে পার। এমকি তার ধারনা বা পদ্ধতি ভুল হলেও। পরিবর্ততিতে এই ধরনের আর কোন অবজেক্ট এলে তোমরা সহজেই তাকে ঐ ধারায় ফেলে দাও। তবুও তোমার ধারনা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সময়ের সাথে নতুন জ্ঞান লাভ কর। তুমি যদি একটা সদ্যপ্রসুত রোবটের(রোবটার নাম দিলাম নিনো(Nino)) দিকে তাকাও তবে হয়ত তুমি দেখবে যে সে কিছু কিছু বিষয়ে তোমার থেকেও বুদ্ধিমান।
মজার কথার এই জ্ঞান তাকে তার সৃষ্টাই দিয়ে দিয়েছেন। সে তার অভিজ্ঞতা থেকে এখনো কিছু পায়নি।
জ্ঞানের আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ভবিষ্যত বানী(prediction) দিতে পারা। বুদ্ধিমত্তা তোমাকে তোমার কর্মের ভবিষ্যত বানী দিতে সক্ষম। তাই তুমি যখন তোমার লাল বলটি নিনোর সামনে ধর তখন বস্তুটির সকল বৈশিষ্ট্য মিলে একটি ভবিষ্যত বানী তৈরী করে তার পর সে অনুযায়ী ফলাফল প্রদান করা হয়।
মজার কথা হল তুমি কিন্তু তোমার ক্ষেএে সব সময় ভবিষ্যত বানী করতে পারনা। এটাই তোমার অসাধারন একটি বৈশিষ্ট্য। তুমি বরং অনেক ক্ষেএে এই ভবিষ্যতবানীকে তোমার অভিজ্ঞতা হিসেবে সংরক্ষন করে থাক।
জ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি(Knowledge Based System) এর এই চিএটি দেখো
এইবার নিনোকে সদ্য প্রসূত শিশুর মত করে দাও অর্থাৎ তার সাথে সংযুক্ত মেমরিটিকে খালি করে দাও। এবার তোমার হাতের লাল বলটি আবার দেখাও।
তুমি তাকে ইন্ট্রাকশন দিয়ে দাও যে এটি একটি লাল বল। তার পর একটি নীল বল তার সামনে আন। দেখবে সে এই নীল বলটিকে চিনতে পারছে না অথবা এটি যে একটি বল সেটাই বলতে পারছে না। তার প্রধান কারন বলতে পারবে কি?
কারন তুমি তাকে একটি বলের কি কি বৈশিষ্ট্য থাকে বা থাকতে পারে তা বলে দাও নি যার কারনে সে তার মেমরীতে থাকা বলের সাথে কোন মিল খুজে পায়নি। আর এখানেই মজাটা তুমি একটি বলের বৈশিষ্ট্য শেখার জন্য তুমি তোমার: ভাষা, Concept ,ধারাবাহিক কাজ, নিয়মকানুন, Idea,স্মৃতি, স্থান,কাল, ঘটনা, ঘটনার সাথে সম্পর্কীত বস্তু বা পদার্থ এবং তোমার দৃষ্টিভঙ্গী(যেমন: আবেগ,বিশ্বাস,যুক্তি) ইত্যাদিকে কাজে লাগিয়েছো।
এই প্রভাবক গুলো অনেক ক্ষেএেই অজানা তাই তোমার জ্ঞান অনেক বেশি পরিণীত। তার মানে দাড়ালো এইযে শুধু বস্তুগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতেই বা লজিকের ভিত্তিতেই তুমি একটি সফল কৃএিম বুদ্ধিমত্তা তৈরী করতে পারবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।