মাতৃগর্ভে শিশুর প্রথম পদাঘাত মাতৃত্বের প্রথম স্বাদ এক শ্রেণী তথাকথিত অতি সমাজ সচেতন নারীবাদী উপর থেকে একজনকেই দোষারোপ করছে। কারো ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, এটা একটা দাম্পত্য জীবনের পারিবারিক ঘটনা। এর কারণ ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটন অতি জটিল ব্যাপার। সাঈদ যদি সত্য সত্যই পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনাগুলো ঘটিয়ে থাকেন তবে তিনি নিশ্চয় অপরাধী এবং তার শাস্তি হওয়া উচিত। তবে, শুধু সামনে থেকে এ ঘটনা দেখলেই চলবেনা।
সাঈদ যদি স্ত্রীর দ্বারা পূর্ব থেকে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে থাকেন তবে স্ত্রী রুমানারও শাস্তি হওয়া উচিত। স্ত্রীর জীবন নষ্ট করার অধিকার যেমন কোন পুরুষ বা স্বামীর নেই, তেমনি কোন স্ত্রীরও অধিকার নেই কোন স্বামীর জীবন নষ্ট করার। লক্ষ্য করা যাচ্ছে গণমাধ্যমগুলো একতরফাভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশে অনেক উচ্চ শিক্ষিতা নারী আছেন যাদের দ্বারা তাদের স্বামী অমানসিক নির্যাতনের স্বীকার হন। কিন্তু পুরুষরা অত সহজে সে নির্যাতনের কথা তার বন্ধু বান্ধব বা সমাজের কাছে তুলে ধরতে পারেন না।
সারাটা জীবন নীরবে স্ত্রীর নির্যাতন সহ্য না করে তাদের কোন উপায় থাকে না। অনেক সময় এ ধরনের নির্যাতিত স্বামীরা সহ্যসীমা অতিক্রমের এক পর্যায়ে সাঈদের মতো ঘটনার অবতারণা করেন। তখন ঘটনাটি সমাজের কাছে উম্মচিত হয় এবং তা স্ত্রীর পক্ষে যায়। কারণ- বছরের পর বছর স্বামী নির্যাতনের কোন প্রমাণ নেই কিন্তু তাৎক্ষণিক ঘটনার সকল সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত। এবং তাতে স্বামী দোষী।
বিচারের স্বামীর শাস্তি অবধারিত। তুলশী পাতার ন্যায় পুত-পবিত্র থেকে গেলেন স্ত্রী। এটা আমাদের সমাজের পরিবারগুলোতে অতি সাধারণ ও কমন ঘটনা।
সেজন্য দাম্পত্য জীবনের জটিলতা ও কোন অনাচারের প্রকৃত রহস্য খুব সহজে আবিষ্কার করা অসম্ভব। সাঈদ যদি তার দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হয়ে থাকেন তবে স্ত্রীর শাস্তি হওয়া ততটাই উচিত যতটা উচিত সাঈদের।
আমরা বাঙ্গালীরা বড় নারীপ্রিয় স্বভাবের। সেজন্য নারীর কিছু হয়ে পাগল হয়ে যাই। তার বিচারের জন্য রাজপথে নেমে সমাজ সচেতনতার দাপট দেখাই। কিন্তু, কেউ কি বলতে পারবেন কোন পুরুষ নির্যাতিত হচ্ছেন না ? নিশ্চয় হচ্ছেন। তবে কখনো কি দেখেছেন কোন নারী বা পুরুষকে সেই পুরুষের পক্ষে দাঁড়াতে ? কই কোন দিন তো দেখলাম না স্ত্রীর বিচারের দাবীতে স্বামীর পক্ষে রাজপথে নামতে কোন সমাজ সচেতন বীরকে !
তাই আসুন- রুমানা ও সাঈদের ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে সাহায্য করি।
শুধু শুধু উপর থেকে দেখে কোন এক জনকে দোষারোপ না করি। অযথা আবেগ দিয়ে লেখালেখি করলে, রাজপথে নামলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রভাবিত হয়। তাতে সত্য ঘটনা আড়াল হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় এবং অভিযুক্তের প্রতি অবিচার হয়। আমাদের করোরই উচিত হবে না একজনকে সাহায্য করতে গিয়ে আরেক জনের উপর অবিচার করা। সাঈদের অপরাধের জন্য সাঈদের শাস্তি হোক এবং রুমানার অপরাধের জন্য রুমানাও শান্তি হোক।
যার যতটুকু অপরাধ তার ততটুকু শাস্তি ভোগ করা দরকার। তবে সুন্দর সমাজ গঠন হতে পারে। কোন এক পক্ষই বেশি লাভবান হলে সমাজের আজকের এ চিত্র কোন দিনই পাল্টাবে না। অপরাধ করার প্রবণতা যেমন পুরুষের আছে, তেমনি আছে নারীরও। উভয়ের অপরাধিই শাস্তির দাবীদার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।