আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ককটেলীয় হরতাল এবং এনাদার আপকামিং মহাএপিসোড

জনতার সংগ্রাম চলবেই যাচ্ছে দিন গুলো যে খুব খারাপ যাচ্ছে সেটা বলা বাহুল্য। কথা হচ্ছে এপিসোড শুধু এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পর্যন্ত হলে কোন সমস্যাই ছিল না। কারন এ ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ সবাই একমত। জামাত শিবির যত তান্ডবই চালাক না কেনো, এই বিচার থামাতে পারবেনা। কিন্তু এপিসোড যে আরো বাকি আছে।

আ্ই মিন এনাদার নিউ এ্যপিসোড ইজ কামিং সুন। নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার । তার মানে আমাদের মতো ম্যাঙ্গো পাবলিকের জন্য সামনে আরো ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে। হরতাল দিতে এখন খুব বেশি কারণ লাগে না, দু-চারটা ককটেল ফাটালেই পরদিন হরতাল। ককটেলীয় হরতাল।

হরতাল সমর্থন কারীরা হরতালের দিন খুব আনন্দের সাথে উৎসবের আমেজে ককটেল ফাটায়। ককটেলীয় হরতালে প্রান প্রায় উষ্ঠাগত হবার অবস্থা। দেশ যদি এক পা আগায় তো দু পা পিছিয়ে যায় এই হরতালের তালে তালে। হরতাল যে দেশের অর্থনীতীতে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে সেটা সবাইই জানে,কিন্তু তারপরও কেউ হরতাল নিষিদ্ধ করতে বলেনা। কারণ এই তাল নিষিদ্ধ করলে যে গনতন্ত্রের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।

বেতাল হয়ে যাবে। আরে ভাই গনতন্ত্র থাকলেই তো এর প্রক্রিয়া ব্যাহত হবার প্রশ্ন আশে? আরো একটা কারণও আছে। বিরোধী দলে গেলে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হরতাল অস্ত্রের মতো আর কোন অস্ত্র নাইতো। সরকার কি কোন দিন বিরোধী দলে যাবে না?? ভবিষ্যতের কি হবে? সরকার ভালো ভাবেই বুঝে যে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া যতই সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষতার কথা বলা হোক, সাধারণ মানুষ বুঝবেও না মানবেও না। সেটা জেনেও সরকার একরোখা আচরণ করছে।

’৯৬ সালে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আওয়ামীলীগ নিজেই মানেনি, বিএনপি মানবে কোন দুঃখে?? এদেশের রাজনীতিতে কেও কাওকে ছাড় দেয়নি, দিবেও না। এই ছাড় দেয়ার সংস্কৃতি ও পরিবেশ কোনটাই এখনো এদেশে হয়ে উঠেনি। বহুত দুর ওয়াস্ত। সাধারণ মানুষও ঘাষ খায় না। আপনারা বলবেন আর মানুষ হা করে গিলবে এটা ভাববেন না।

আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল প্রশঙ্গটি ছিল না। তাও সরকার এত ইশতেহার বাদ দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বাতিল করলো। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দোহাই দিয়ে। নির্বাচনী ইশতেহার কোথায় আর সরকার কোথায়??? লিঙ্কটা একটু পড়ে নেন। বুঝে যাবেন।

সরকার কতটা সফল। আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার এখনো সময় আছে, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, একটা সমাধানে আসুক, হরতাল থেকে দেশকে রক্ষা করুক…যদি দেশটাকে ভালোবেসে থাকে। দেখুন, পুলিশের গুলিতে ৬৭ জন মরেছে, আপনি জামাতের দিকে আঙ্গুল তুলতে পেড়েছেন, কারণ দেশবাসী তাদের বিপক্ষে। কিন্তু এই তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে দেশটাকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছেন এর দায় কিন্তু পুরোটাই আপনার ঘাড়ে পড়বে। সবার আঙ্গুল তখন আপনার দিকেই যাবে।

এ ব্যাপারে নিশ্চিৎ থাকুন। দয়া করে দেশটার সুন্দর ভবিষ্যতটাকে আর অসুন্দর করবেন না । সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করার অধিকার কেও কাওকে দেয়নি। এদেশের সবগুলো রাজনৈতিক দল একবার ক্ষমতায় আসলে পরেরবার আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। আপনি যদি ভালো কাজ করেন তো আগামীবার এমনিতেই সাধারণ মানুষ আবার আপনাদের নির্বাচিত করবে।

এর জন্য কোন রাজনৈতিক কুট কৌশলের দরকার নেই। কিভাবে মানুষের মানুষের মন জয় করা যায় সে চেষ্টা করুন। কিন্তু আপনারা সেটা না করে কুট কৌশলটাকে্ই বেছে নিয়েছেন। তার মানে আপনার দুর্বলতা আছে। ভাই একটা পরিক্ষা চার বার পিছানো হলো হরতালের কারনে।

আর পারছিনারে মা। এবার ছেড়ে দে, কেঁদে বাঁচি। (আমি কাউকেই সমর্থন করি না। আওয়ামীলীগকে পছন্দ করিনা ছাত্রলীগের জন্য, আর বি এন পি কে অপছন্দ করি জামাতের সাথে আছে বলে। নেহাতই একজন সাধারণ মানুষ।

) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.