আমি কিছু জানার জন্য এই ব্লগে এসেছি । আপনারা আমাকে সাহায্য করুন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়া হুড়ো করে স্কুলে পৌছানোর জন্য দৌড়-ঝাপঁ দিয়ে যাওয়ার এক প্রান-পণ প্রচেষ্টা নিজের মধ্যে চলতে থাকত , আর তাড়া থাকত আম্মার সব কাজ শেষ করে ৩০ মিনিটের মধ্যে তৈরি হওয়ার জন্য। এখনও দলবেধে কবুতর উড়তে দেখলে আমি আমার শৈশবে ফিরে যাই। বান্ধবীদের সাথে দলবেধে পুকুরে ঝাপাঝাপি করা ,মাথায় তেল দেওয়া আর স্কুলে যাওয়ায় কি যে মজা হত তা ভাষা দিয়ে বুঝাতে পারব না।
প্রতিদিন শিশির ভেজা দূর্বাঘাসে ভরা ক্ষেতের আইল দিয়ে একদল চঞ্চল চপলা হরিনীর পাল হেলেদুলে যেত স্কুলের পানে । ক্ষেত পার হয়ে রাস্তায় উঠলেই পাকা পু্ল। পাকা পু্ল থেকে তাকালে দূরে বাশঁঝাড় পর্যন্ত রাস্তা দেখা যায়।
আজও পাকা পু্ল থেকে দূরে তাকিয়ে দেখি বাশঁঝাড়ের পাশ থেকে বের হয়ে আসছে একজন পঞ্চাশউর্ধ্ব বয়স্ক ব্যক্তি। কাঁধে মাঝারি আকারের একটা লাউ আর একটা কাল ছাতা কাল মেঘের মত মাথার উপর মেলা।
আরেক হাতে একটা বাজার ভর্তি থলে। হাটার গতি ছিল বর্তমান যুবকদের চেয়ে বেশি। তাই দুই বোনের ভাবনার সাগরে নুড়ি খোজ়ার মত ওনার পরিচয় বের না করতেই ওনার চেহারাটা আমাদের চোখের সীমানায় চলে আসল। ছোট বোনকে একটূ চিৎকার করে বলে উঠলাম “মুন্নু উনি তো মনে হয় গিয়াস ভাইয়ের আব্বা “। একটা নিস্তেজ চেহারা বানায়ে বোন উত্তর দিল, কেমনে বুঝলা? বোনকে উত্তর দেওয়ার সাথে সাথে ওনার হাস্যুজ্জল মুখ মণ্ডল শীতকালীন মিষ্টি রোদের আলোতে উজ্জল হয়ে ঊঠল।
কালক্ষেপন না করে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে ক্দমবুচি করে ফেললাম। কারন তখন এই ভাবেই মুরভব্বিদের সম্মান জানানো হত। হাতের থলে আর লাউ রেখে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আমার একটা ছোট খাটো ইন্টারভিউ নিয়ে নিলেন। ঐদিন আমি সালাম ও ইন্টারভিউ এর কোন ফলাফল জানতে পারি নাই। অবশ্য পরে শুনেছি এই সালামের অনেক ফজিলত হয়েছে।
অচেনা অজানা জায়গায় শিশু যেমন অভিমানি চেহারায় লাল টুকটুকে ঠোট দুটো ফূলিয়ে ফুলিয়ে কান্না করে। আর চঞ্চল হরিনীCর ন্যায় চোখ দুটো দিয়ে আপন জন কে খুজতে থাকে । স্বামীর বাড়ীতে যাওয়ার প্রথম দিন আমার ঐ অবস্থা হয়ে ছিল । অনেক বড় ঘোমটার ফাঁক দিয়ে উকিঁ মেরে ঘরের বাহিরে তাকাতেই চোখ গিয়ে পড়ল ছাতি মাথায় সেই সম্মানিত ব্যক্তির উপর । খাট থেকে নেমে বর্ষাকালে রাস্তায় পানি থাকলে যেমন পরার কাপড় উঠায়ে ধরে আমিও তেমনি শাড়ী ঊঠায়ে দিলাম একটা ভৌ দৌড় ।
কারন আমি কিছুক্ষনের জন্য ভুলেই গিয়ে ছিলাম আমি এখানে নতুন বউ ।
উনাকে সালাম করতেই উনি আমাকে দুই বাহু দিয়ে বুকে জড়ায়ে নিলেন। তখন আমার কানটা উনার হৃদপিন্ডের কাছাকাছি থাকায় আমি শুনতে পেয়েছি , আমাকে ভিতর থেকে কেউ বলছে “যেই বাবা ডাক কোন দিন শুনতে পারনি ,যেই বাবার বুকে কোন দিন মাথা রাখতে পার নি । আমিই তো্মার সেই হারানো বাবা। জ়ানিনা কেন জানি অবুঝ মন তখন ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠল ।
২য় রমজানে বিয়ে হওয়ায় ,আসর থেকে মাগরিব এই সময় সবাই ইফতারের ঝামেলায় থাকায় আমাকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ত পড়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের উপর। এই সুযোগ কে কাজে লাগায়ে বেড়ার ছোট ছোট ছিদ্রগুলোর ফাকঁ দিয়ে দুলাকে দেখেছি । কারন বিয়ের ২য় দিন পর্যন্তআর দুলা দেখার সুযোগ পাই নাই। বাচ্ছাদের সাথেই ইফতার করলাম। সন্ধা যতই কাল অন্ধকারে রুপ নিতে লাগল আমার হৃদয়ের কম্পনের মাত্রা বাড়তে শুরু করল।
রাত কাটানোর প্রলয়কারী ভয়ে আমার হৃদয় সংকোচিত হতে লাগল। নিজেই নিজেকে শান্ত না দিতে থাকলাম। যত দোয়া দুরুদ জানা ছিল সব পড়া শুরু করে দিলাম । সবার খাওয়া দাওয়া শেষ । তারপর সবাই দেখি আমি যেই ঘরে সেই ঘরে জড়ো হওয়া শুরু করল।
নেতার দায়িত্ত পালন করছেন আমার সেই সন্মানিত ব্যক্তি। এতে মনে একটূ আসার আলো জ্বলে উঠলো ।
বনের মুক্ত আলো বাতাসে ছুটাছুটি করা আর খোলা আকাশে স্বাধীন ভাবে উড়ে বেড়ানো ময়নাটাকে পিঞ্জিরা বন্ধ করলে তার কাছে কেমন লাগে আমি সেই দিন বুঝে ছিলাম । সবার মাঝখানে একটা চেয়ারে আমাকে বসান হয়ে ছিল। আমার কাছে মনে হয়ে ছিল আমি চিড়িয়াখানার জন্তু।
আমার সেই সন্মানিত ব্যক্তিও সেখানে আছেন বলে আমার মনে হল। আমাকে বলা হল আমার সামনের জন কে সালাম করতে । আমি কাল বিলম্ব না করে কদম বুচি করলেই আমাকে বললেন আমি তোমার বাবা । বড় ঘোমটা থাকায় কানে শব্দ এলেও চেহারা দেখতে পারিনি। তাই নিজেই সমস্ত ভয়কে তুচ্ছ মনে করে নিজের ঘোমটা সরায়ে আমার জীবনের প্রথম বাবাকে বাবা রুপে দেখে নিলাম।
আর ভাবলাম ছাতা মাথার সেই সন্মানিত ব্যক্তিই আমার বাবা ছিল। বাবা আমাকে আমার বয়সের তুলনায় বড় বড় দেবর ননদের দিয়ে আমাকে সালাম করাল। আমি ভাবি হিসাবে তাদের ছোট বলে তারা যেন আমাকে অসম্মান না করে। একদিকে বাবা পাওয়ার আনন্দ অন্য দিকে এত বড় বড় দেবর দের থেকে পাওয়া সম্মান । আমার কাছে ঐ মুহুত্যের অনুভুতি প্রকাশ করার মত ভাষা জানা নাই।
আমার পড়ায় যেন বেঘাত না ঘটে তাই বাবা আমার স্কুলে গিয়ে আমার পড়ার খোজ খবর নিতেন। কারন বাবা ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর । বাবা বেতন পেলেই কিছু না কিছু নিয়ে আমার কাছে হাজির হতেন । নিজের ছেলেকে শিক্ষাতেন কি ভাবে আমার যত্ন নিবে। আমার মায়ের কাছে বেড়াতে গেলে আমার কিশোরী মন ভাল থাকবে ,এটা বাবার চেয়ে বেশি কেউ বুঝত না।
আমি দেশে গেলে বাবা আমার আরামের জন্য আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের সেবা যত্ন করতেন। আবার আমাকে সান্তনা দিয়ে বলত “আর কয়টা দিন কষ্ট কর দেখতে না দেখতেই ওরা বড় হোয়ে যাবে”। বাবা খুব সুন্দর করে আমার নাম ধরে ডাকত । আমি আজও আকাশে বাতাসে আমার বাবার সেই ডাক শুনতে পাই।
আমি জানতাম না মুড়ী মাংস ভাজি দিয়ে খায়।
বাবা আমাকে বাচ্চার মত নোকমা ধরে তা খাওয়া শিখিয়েছেন। বাবার সাথে আমাকে খেতে বসতে হত । ভাল ভাল সব খাবার বাবা আমার পাতে তুলে দিতেন । অনেক খাবার খেতে ইচ্ছা করত না কিন্তু বাবা মনে কষ্ট পাবে তাই খেয়ে নিতাম । এতে আমার বাবা কি যে খুশি হতেন ।
বাবার শখ ছিল পানের সাথে আদা আর আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও বুঝতাম বাবা কখন কি খাওয়ার জন্য ডাকছেন। তা নিয়ে হাজির হতাম। বাবা কোথাও বের হওয়ার আগে ধোয়া পাঞ্জাবীটা হাতে তুলে দিলে বাবা কি যে খুশি হতেন ওটা দেখতে আমার খুব আনন্দ লাগত। বাবার প্রিয় খাবার গুলো সামনে নিয়ে দিলে ছোট বাচ্চার মত একটা হাসি দিতেন।
ঐ হাসিটা আমার নয়নের আয়নায় এখন প্রতিফলিত হয়। গোসলের আগে বাবা মাথায় ,হাতে ও পায়ে সরিষার তেল মাখাতেন। আমার মনে হত বাবা আমার বুড়ো ছেলে।
ইসলামের প্রতি ছিল বাবার অগাদ বিশ্বাস। আমাকে তিনি প্রথম শিখিয়েছেন যে, কোকিলের শুরে কোরান শুধু তেলয়াত না করে অর্থসহ বুঝে পড়তে।
বাবা ছিলেন ন্যায়নীতিতে ব্জ্রকঠিন। পেশা ছিল শিক্ষতা। তাই তিনি একজন আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন। উনাকে আমার মনে হত মানুষ গড়ার কারিগর। বাবার শত শত ছাত্র এখন বাবাকে শ্রদ্ধাকরে স্মরন করে।
বাবার নয় ছেলে মেয়ের কাউকে অমানুষ হতে দেন নাই। তিনি কঠোর পরিশ্রমী হওয়ায় ছেলেমেয়েদের পরিশ্রমের শিক্ষা দিতেন। গ্রামের বিচার গুলোতে বাবা না গেলে হতই না। বাবা ছিলেন দয়ার সাগরের ঝিনুকের ভিতরের মুক্তা। গরীবের কষ্ট বাবা সহ্য করতে পারতেন না।
তাদের বন্ধু হয়ে তাদের পাশে দাড়াতেন। একবার একটা কুকুরের পা ভেঙ্গে পচন ধরে। রাস্তা থেকে তাকে তুলে এনে নিজ হাতে তার সেবা যত্ন করে সুস্থ করেন।
বাবা ঢাকায় আমার বাসায় বেড়াতে আসলে বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতাম। রমনা পার্কে নিয়ে আসলেই বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতেন,”এত জায়গা খামাকা খালি ফেলে রেখেছে।
আমার ছেলেকে একটূ জ়ায়গা দিলে একটা বাড়ি করতে পারত”। এখন আমার বাসা আলহামদুলিল্লাহ রমনা পার্কের পাশে কিন্তু বাবা কে তা দেখাতে পারলাম না। বাবাকে দেখাতে নিয়ে গেলামচিড়িয়াখানা। সেখানেও তিনি অনেক কষ্ট পেয়ে বললেন ,”নিরীহ পশুদের এই ভাবে আটকায়ে রেখে কষ্ট দেওয়ার মানে কি ?এখানে ওদের খুব কষ্ট হচ্ছে। “
১৯৮৯ সালের ১লা অক্টোবর সন্ধায় বাবা আমার কাছে এসে হাজির।
উনাকে পেয়ে আমার মনে হল আমি পুর্ণিমার চাঁদ আমার হাতে পেয়েছি। খাওয়া দাওয়ার পর অর্ধেক রাত পর্যন্ত বাবার মনের সব লুকানো জমা কথা আমাকে বলল। পরের দিন উনাকে নিয়ে ওনার জন্য মার্কেটিং করলাম। ছেলে জাপান থাকাতে আমার এই দায়িত্ত পালন করতে হল। ৩রা অক্টোবর বাবা আমাকে ডেকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি আর দেশে যাবেন না।
জাপানের ছেলেকেও লিখে দিলেন,”আমি আর আমার মেয়ে আনন্দের সাথে সময় কাটাচ্ছি। তাই আমি আর দেশে যাব না। “
আমার ছেলেদের গোসলের সময় বাবা ছোট মাসুম বাচ্চার মত আমার বাথরুমের সামনে এসে বসে থাকত। চেয়ারে বসায়ে উনাকে গোসল করায়ে দিলে কি যে খুশি হত। অন্য ছেলেদের বলত এই রকম একেকটা গোসলের দাম ৫০০ টাকা।
আমি শুধু ওনার দোয়াটাই আসা করেছি । ৮ম অক্টোবর সকালে নাস্তা খাওয়ার পর বাবা আমায় ডেকে আমার হাতে একটা চেকের পাতা ধরায়ে দিলেন। ভীত সন্ত্রস্ত মনে নরম গলায় বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম” বাবা এটা কি দিলেন?বাবা খুব গম্ভীর গলায় উত্তর দিলেন “তোমার একাউন্টে জমা দিও”। ওনার ছেলে ৫বছর পর জাপান থেকে আসলে আমি প্রথম এটা খুলে তার হাতে দিয়ে বলি “ধর এটা আমাদের দোয়ার সার্টিফিকেট”। তত দিনে বাবার একাউন্ড শুন্য।
৯ম অক্টোবর দিবা গত মাঝ রাতে আমার রুমের দরজায় বিকট আওয়াজ় শূরু হয়। ভাবলাম বাড়ীতে ডাকাত এসেছে। তড়িগড়ি খুলে দেখি তা না। দৌড়ে গেলাম বাবার রুমে,গিয়ে যা দেখলাম তা ভাবতে বা বলতে গেলে আমার দুই নয়নের লোনা পানির প্লাবন এখন ধরে রাখতে পারি না। আমার বাবার হাস্যুজ্জল চেহারাটা কি যেন এক কষ্টের বিষক্রিয়ায় নিলাভ রং ধারন করল।
আমাকে দেখে বাবা শেষ বারের মত হৃদয়ে সমস্ত ভালবাসা মাখানো একটা ডাক দিয়ে বলল,”পারভীন আমার সময় শেষ,একটূ বূকে পিঠে তেল মালিশ কর”। আমি আমার জানা সব দোয়ার ভান্ডার উজার করে তেলের সাথে মিলিয়ে মালিশ করছি। বাবা ততই নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন।
আমার মনে হল মৃত্যুদূত তখন আমার দিকে তাকায়ে হাসছে আর বলছে, “মিছে এই জ়ীবনের রং ধনুটা,মুছে যাবে একদিন জেনে নাও। থাকতে সময় খোদার রাহে নিজের জীবনটা সফে দাও।
এই ধরার মিছে মায়া বন্ধন,ভালবাসা মিছে এই ক্রন্দন। ভেঙ্গে যাবে একদিন এই ঘর,থাকবে না চিরদিন এই বাসর। জীবনের এই পরিনতি সর্বদা সবখানে মেনে নাও। এই জীবনে এসেছে প্রভাত ,সন্ধার সাথে হবে মোলাকাত। এই জীবনে আসবে সমাপ্তি,বন্ধ হবে যত প্রাপ্তি।
কত আর করবে গাড়ী বাড়ী, পড়ে রবে যত সব গহনা শাড়ি। মুছে যাবে সকল অহমিকা,যেতে হবে শুধু একাএকা। সব ভুলে রুজু হও খোদার পথে ,মুক্তির পথ যদি পেতে চাও।
বাবার নিস্তেজ,নিরব,নিস্প্রান দেহটা ধরে যখন বাবা বাবা বলে কান্দছিলাম তখন মনে হল কে যেন বলছে আমাকে আজই শেষ তোমার বাবা ডাক। সত্যি আমি আর আমার বাবাকে কোন দিন ডাকতে পারি নাই।
শত শত মাইল দুর থাকা আমার ছেলেদের খবর নেওয়ার ব্যবস্থা আল্লাহ করে দিয়েছেন। কিন্তু আমার বুড়ো খোকাটা আমাকে ছেড়ে কবর দেশে নিঝুপ নিরালায় কেমন আসে তা আমি জানতে পারলাম না। আল্লাহর কাছে যখন মা-বাবার জন্য আল্লাহর শিখান দোয়াটা পড়ি কান্না করি তখন বাবার জায়গায় আমার এই বুড়ো ছেলেটার ছবি আমার হৃদয়ের আয়নায় ভেসে উঠে। ইয়া রাহমানের রহিম আপনি আমার বুড়ো ছেলে টাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেদিন। তাতে আপনার কোন ক্ষতি হবে না।
সদ্গায়ে জারিয়া হিসাবে আমাদের দোয়া কবুল করে নিন। আপনারা ও আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। আমিন আমিন আমিন ।
‘ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।