নিজেরেই ভালা কইরা চিনি না আমাদের দেশের বাতাস গরম রাখতে ঘটনার অভাব হয় না । এই তো কিছু দিন আগের লিমন ঘটনা । এখনকার রুমানা ট্রাজেডি । এর পরে দেখব আবার অন্য ঘটনা এসে রুমানাকে আমরা ভুলে গিয়েছি । ঘটনাটা জানার পর থেকে এটা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি ।
কিন্তু কিছুতেই আমি হিশেব মিলাতে পারছি না । রুমানা ট্রাজেডির কারণ হিশেবে বলা হচ্ছে -- রুমানার উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ইচ্ছা । কিন্তু, এটাকে আমার কিছুতেই যুতসই কোন্ও কারণ বলে মনে হচ্ছে না । প্রত্যেকটা বক্তব্যের একটা লজিক থাকে । কিন্তু ঘটনটার সাথে বক্তব্যের কোন্ও লজিক আছে বলে মনে হয় না ।
যেখানে দোষী হাসান সাইদ বুয়েটের স্টুডেন্ট । আবার বাইরেও ছিলেন ।
সব শুনে রূপকথার কোনও গল্পের মতো মনে হচ্ছে । যেখানে কোনও নেকড়ে এসে রুমানাকে অতর্কিতে হামলা করছে । যাই হোক , ধরে নিচ্ছি এটা এন্টি লজিক যেখানে সাইদ হলেন নেকড়ে, আর রুমানা হলেন ফুরফুরে মানবী--যিনি বাগান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন আর সাইদ নেকড়ে এসে তার উপর হামলে পড়ে ।
আবার কেউ আমার বক্তব্যে মনে করবেন না আমি সাইদের সাফাই গাইছি । । ।
বরং, সাইদ যে নেকড়ে বাঘের প্রজাতির এক সদস্য তা তো সে প্রমাণ করেছে । আর , আমরা প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছি-- রুমানা নিষ্পাপ, নির্বাক শুধুই মুখ বুঝে সহ্য করা শরতচন্দ্রের কোন্ও নায়িকা ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন্ও অধ্যাপিকাকে অন্তত আমার এই ধরনের নরম কোনও শরতচন্দ্রীয় নায়িকা মনে হয় না । আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসঙখ্য ছাত্রছাত্রীকে যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতিনিয়ত রুমানার মতো এই রকম ক্ষত-বিক্ষত করেন মানসিকভাবে সেই ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে আমিও এই ঘটনার বিচার চাই । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।