আমি একজন ছাএ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়েযাচ্ছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার শুধু রাজনৈতিক স্লোগানই নয়, এটা বাস্তবায়নেও বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। দারিদ্র্য হ্রাসে সরকারের এই দৃঢ় পদক্ষেপ বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো। দারিদ্র হ্রাসে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এমডিজিহার নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন করবে বাংলাদেশ। সেই সাফল্য দেখাবে বাংলাদেশ ২০১৩ সালের মধ্যেই।
বিশ্বব্যাংকের ‘দারিদ্র্য মূল্যায়ন প্রতিবেদনে’ এ কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে জাতীয় পর্যায়ে শিশুমৃত্যু হ্রাস সংক্রান্ত এমডিজি অর্জনের স্বীকৃতি স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ এমডিজি পুরস্কার লাভ করেছিল। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত এক দশকে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে দেশের ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। এমডিজি অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার নেমে আসার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৫১ শতাংশে। প্রতিবছর যে হারে দারিদ্র্যের হার কমছে, অত্যন্ত রক্ষণশীল হিসাব করলেও চলতি বছরের শেষে অর্জিত হয়ে যাবে ২০১৫ সালের লক্ষ্যমাত্রা।
শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ দারিদ্র্য হ্রাসে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের মতে, এক দশকে এই হার ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমছে প্রতিবছর ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও ১০ বছরে ২৬ শতাংশ দারিদ্র্য কমেছে। ২০০০ সালে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল যেখানে ৬ কোটি ৭০ লাখ, ২০১০ সালে এসে তা দাঁড়ায় ৪কোটি ৭০ লাখ।
২০০৭ সালের বৈশ্বিক মন্দাও বাংলাদেশের দারিদ্র হ্রাসের গতিকে শ্লথ করে দিতে পারেনি। দারিদ্র হ্রাসে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এমডিজিহার নির্ধারিত সময়ের আগেই ২০১৫ সালে অর্জন করবে বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।