'জীবন' হলো এক কাপ গরম চা আর একটা জ্বলন্ত বেনসনের মতো। গরম চা একসময় জুড়িয়ে যাবে, বেনসনের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।
প্রতিটি মানুষের কাছেই নিজের প্রিয়তম অথবা প্রিয়তমা অনেক বেশি ’স্পেশাল’ একজন মানুষ, যে ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পাবার জন্যে ব্যাকুল হয়ে ওঠে মন, যার স্পর্শে শিহরিত হয় আপন অস্তিত্ব।
আমার এ লেখাটির শিরোনামে ’প্রিয়তমা’ শব্দটির প্রয়োগে একটি মনুষ্য অবয়ব ভেসে ওঠার কথা, একটি নারী চরিত্র অঙ্কিত হবার কথা। মনুষ্য প্রজাতি ছাড়া বস্তুজাগতিক অন্য কোন বিষয়াদি ’প্রিয়তমা’র মর্যাদা পেতে পারে কিনা, তা নিয়ে হয়তোবা মতানৈক্য থাকতে পারে।
আমি সেই বিতর্কে যেতেও রাজী নই। কিন্তু আজ প্রকৃত অর্থেই আমার নিজের ’প্রিয়তমা’র সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই যার সাথে সুখ-দুখের অনেক গুলো দিন পার করেছি একসাথে। এ সম্পর্কেও স্থায়িত্ব প্রায় দশ বছরেরও বেশি হতে চললো। হয়তো প্রশ্ন জাগছে আপনাদের মনে, কিভাবে এর শুরু?
সে এক বিশাল ইতিহাস যার সূত্রপাত ২০০০ সালের জানুয়ারি মাসে। ঢাকা কলেজের বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।
হঠাৎ যে ছেলেটির সাথে আমার দীর্ঘ প্রায় পনের বছর পর দেখা হলো, তার নাম ’সুজয়’। সুজয় আমার খুব ছোট বেলার স্কুলের বন্ধু। ওর বাবা চাকুরীসূত্রে অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়াতে সুজয়দেরকেও চলে যেতে হয়েছিল সেখানে।
দীর্ঘদিন পর ছোটবেলার বন্ধুকে খুঁজে পেয়ে দু’জনেই আনন্দে আপ্লুত হলাম। জমে থাকা অনেক কথা বলার অপোয় ছিলাম দু’জনেই।
সুজয়ের আমন্ত্রণে চলে গেলাম ওদের মিরপুরের বাসায়। গল্প করার ফাঁকে দেখলাম রুমের এক কোণায় বাঁশের বাঁশি পড়ে আছে বেশ কয়েকটি। কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাস করার পর জানা গেল, সুজয় বাঁশি বাজায়। এবং এরপর যখন সে বাঁশি হাতে নিল, তখন বুঝলাম, শুধু বাজায় না, বেশ ভালো বাজায়। কথা বলে জানতে পারলাম, বাঁশিতে সে নিজে নিজেই চেষ্টা করে এতদূর এসেছে।
যদিও আমি নিজে খুব ছোটবেলা থেকেই গান বাজনার একটা সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠেছি, কিন্তু এই ’বাঁশি’ যন্ত্রটির ব্যাপারে সবসময়ই আমার একটা ভয় কাজ করেছে। কেননা আমার মনে হতো যে, না দেখে এটা বাজায় কিভাবে মানুষ? আর অনেক দমের প্রয়োজন হয় নিশ্চয়ই! আমার দ্বারা কখনই এই যন্ত্রটি বাজানো হয়তোবা সম্ভব নয়। পরক্ষণেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে বলেছি, ’"তারপরেও যদি শিখতে পারতাম’!"
সুজয়ের অসাধারণ বাঁশি বাজানো দেখে নিজের লালিত সুপ্ত বাসনাটি প্রকাশ করলাম ওর সামনে। সুজয় সানন্দ্যে রাজি হয়ে গেল আমাকে শেখানোর জন্যে। এবং ওইদিনই সায়েন্স ল্যাবরেটরীর মোড়ের ’'সুরনিকেতন'’ থেকে একটা বাঁশি কিনলাম (আমার জীবনের প্রথম বাঁশি, যেটি আমি হারিয়ে ফেলেছি) এবং সুজয় আমাকে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মাঠে বসে শিখালো কিভাবে ফুঁ দিতে হবে, আরোহন, অবরোহন কিভাবে করতে হবে ইত্যাদি।
এরপর শুরু হলো আমার সাধনা। দিন-রাত নিজের মেধা, শ্রম সব এক করে বাঁশিতে ফুঁ দেয়ার মাঝেই নিমগ্ন থাকলাম। বাসার মানুষজন আমার এই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেল। তারপরেও আমি উদ্যম হারালাম না। প্রতিদিনের একটু একটু চেষ্টায় সামান্য কিছু অগ্রগতি হলো।
আমার আগ্রহও দিন দিন বাড়তে লাগলো। একটা সময় আবিষ্কার করলাম, আমি ’বাঁশির প্রেমে পড়ে গিয়েছি। পাঠক হয়তোবা এরমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন যে, শিরোনামে উল্লেখিত আমার ’প্রিয়তমা’ বলতে আমি এই বাঁশির কথাই বুঝিয়েছি।
হ্যাঁ, বাঁশিই আমার প্রথম প্রেম, আমার প্রেয়সী, যে কখনও আমাকে ছেড়ে চলে যায়নি। মাঝে মাঝে যখন খুব মন খারাপ থাকে, বাঁশির সুরে হারিয়ে যাই।
কারণ আমি জানি, একমাত্র এই সুরের ভেতরে ডুবে যেতে পারলেই পৃথিবীর কষ্টগুলো আমাকে স্পর্শ করবে না কখনও।
মুনিরুজ্জামান স্যার:
ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৫১ ব্যাচের রনি ভাইয়ের আমি একজন ভক্ত। কারণ, রনি ভাইয়ের মতো ভালো ভায়োলিন বাদক আমি খুব কম দেখেছি। বাঁশির প্রতি আমার আগ্রহ দেখে রনি ভাই একদিন আমাকে ডেকে বললেন,"তুই মুনির স্যারের সাথে যোগাযোগ কর্। "
অনেক কষ্ট করে মুনিরুজ্জামান স্যারের বাসা খুঁজে বের করলাম।
তারপর স্যারের সাথে দেখা করে জানালাম আমার ইচ্ছার কথা। তাঁকে বললাম যে, আমি তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে চাই। আমার কথা শুনে স্যার অত্যন্ত নম্র ভাবে জানালেন যে, তিনি কাউকে শেখান না। এবং আমি চাইলে বারী সিদ্দিকি বা গাজী স্যার বা হাসান স্যারের কাছে শিখতে পারি। মুনির স্যারের কোন ছাত্র না থাকার পেছনে কারণ হলো, স্যার আসলেই ব্যস্ত একজন মানুষ।
সময় বের করাটাই তাঁর জন্যে মূল সমস্যা।
কিন্তু স্যারতো জানতেন না যে, আমি চীনা জোঁকের মতো লেগে থাকবো। অনেক কষ্টে স্যারকে রাজী করালাম যে, তিনি যে সময়ই আমাকে আসতে বলবেন, যতটুকু সময়ই দিবেন, আমি তাতেই রাজী। এরপর শুরু হলো আমার সত্যিকারের সাধনা। স্যার তাঁর শত ব্যস্ততার মাঝে আমাকে যে সময়টুকু দিতেন, সেটুকুই আমার চলার পথের পাথেয় হতো।
প্রথমেই তিনি আমার বাঁশি ধরার স্টাইলের পরিবর্তন আনলেন। আমাকে প্রচুর সারগাম প্র্যাকটিস করার জন্যে দিলেন। স্যারের যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হলো, বাঁশির প্রতিটি বিষয়, প্রতিটি নোট তিনি নিখুঁত ভাবে চান। সব সময় আমাকে একটি কথাই বলেন, "”যতটুকু বাজাবে, নিখুঁত বাজাবে। তোমারতো ভুলে ভরা বেশি বাজানোর দরকার নেই।
"” স্যারকে একদিন প্রশ্ন করেছিলাম, কবে আমি বাঁশি বাজানো শিখে ফেলবো? কবে স্টেজ শো করবো? কবে প্রোফেশনালি বাজাবো?” উত্তরে স্যার মৃদু হেসে জানালেন, তাঁর নিজের দীর্ঘ এই ২৫-৩০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি নিজেই এখনও শিখছেন। শুধু বাঁশি-ই নয়, সব ধরণের মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট তথা মিউজিক হলো গুরুমুখী বিদ্যা। এখানে 'ধৈর্য্য' এবং 'অনুশীলন' -এই দু’টি শব্দ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।
বাঁশি শেখা বাবদ স্যারের সম্মানীর প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ”"কোন একদিন যখন তুমি ভরা কোন মজলিশে বাঁশিতে কোন ধুন বাজাবে, তখন সেখানে যদি একজনও ’পণ্ডিত’ থেকে থাকেন, এবং তিনি তোমার দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, ”ওই দেখ, মুনিরুজ্জামানের ছাত্র বাজাচ্ছে’ -তখন সেটাই হবে আমার প্রাপ্য সম্মানী। "” স্যার বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের যুবসমাজের হাতে যদি একটি করে বাঁশি, ভায়োলিন কিংবা গিটার ধরা থাকে, তাহলে সেই হাতে কখনও অস্ত্র উঠতে পারেনা।
এভাবেই মুনির স্যার, যাকে পৃথিবীর বিভিন্ন নামীদামী পত্রপত্রিকাসমূহ '’দ্য ম্যাজিশিয়ান অব ফ্লুট'’ নামে আখ্যায়িত করেছে, তাঁর সান্নিধ্যে দিনের পর দিন আমার বাঁশি বাজানোর সাধনা চলতে থাকলো। মাঝে মাঝে স্যারের সাথে স্টুডিওতে গিয়ে দেখেছি কিভাবে গানের রেকর্ডিংগুলো হয়, সেখানে স্যার কিভাবে দক্ষতার সাথে বাঁশির অংশটুকু ঢেলে দেন নিজের আবেগ দিয়ে।
স্যারের পরামর্শেই আমি একটি ইলেকট্রিক তানপুরা (রাগিনী) আর তবলাপেটি (রিয়াজ মাস্টার) কিনেছি। বাঁশি শিখতে হলে এদুটো জিনিস আসলেই প্রয়োজন। বাংলাদেশে দাম অনেক বেশি।
ভালো হয় কোলকাতা অথবা শিলিগুড়ি শহর থেকে কিনে আনতে পারলে। ওই দুটো যন্ত্র আমি কিনেছিলাম প্রায় ৮০০০ রুপি দিয়ে। আর প্রোফেশনাল টিউন করা বাঁশি বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়াটা কষ্টের কাজ। কেননা, ঢাকা আর্ট কলেজের সামনে অথবা রাস্তাঘাটে যেসব বাঁশি বাদক বাঁশি বিক্রি করেন, সেগুলো মোটেও সুরের বাঁশি নয়। এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সুরের বাঁশি দিয়ে প্র্যাকটিস না করলে প্রকৃত সুরের সেন্সটা ডেভেলপ করবেনা।
এক্ষেত্রে শিলিগুড়ি শহরের মিউজিক্যাল স্টোরগুলোতে রিয়াজের প্রোফেশনাল বাঁশির সেট পাওয়া যায়। একটি সেটের ২৪ টা বাঁশির দাম পড়বে ৫০০-৫৫০ রুপির মতো। তবে একটি সেটেই যে সব ভালো বাঁশি থাকবে, এমনটা নয়। অনেকগুলো সেট থেকে দেখে শুনে ২৪ টা বাঁশি বেছে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বাঁশি শিখতে হলে:
আমাকে যারা বাঁশি বাজাতে দেখেন, এ যন্ত্রটি শেখার ব্যাপারে তারা প্রায়ই উৎসাহী হন।
কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কিছুদিন ফুঁ দেবার পর সবাই হাল ছেড়ে দেন। আমি প্রোফেশনাল মিউজিশিয়ান নই। তাই মিউজিকের ব্যাপারে কোন স্ব-জ্ঞান প্রসূত মতামত দেবার দু:সাহস আমার নেই। কিন্তু যারা বাঁশি শেখার ব্যাপারে আসলেই উৎসাহী, আমার অভিজ্ঞতা লব্ধ সামান্য কিছু জ্ঞান থেকে তাদের উদ্দেশ্যে অল্প কয়েকটি কথা বলার অনুমতি প্রার্থনা করছি:
১. আমার মতে, শুধু বাঁশি-ই না, যেকোন বাদ্যযন্ত্র বাজানোর পূর্ব শর্ত হলো প্রচুর গান/বাদ্যযন্ত্র শুনতে হবে। যত শুনবেন, ততই আইডিয়া বাড়বে।
২. অন্যের উপরে নির্ভরশীল না হয়ে নিজে নিজেই গান তোলা প্র্যাকটিস করুন। এক্ষেত্রে ’'পুরানো সেই দিনের কথা’' -এ ধরনের সহজ নোটেশনের রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
৩. বাঁশি-র শ্র“তিমধুর টোন আনতে হলে আসলেই প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। দৈনিক কম করে হলেও ৫-৬ ঘন্টা অনুশীলন তো অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে ইলেকট্রিক তানপুরা (রাগিনী) খুব সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
৪. বাঁশি শেখা শুরু করার আগে হারমোনিয়ামের বেসিক জ্ঞানটা খুব কাজে লাগবে।
৫. মুন্সি রইসউদ্দিনের ’'ছোটদের সা রে গা মা পা'’ কাজে লাগার মতো একটি বই। শুরুতে এখানকার রাগ বিলাবল বা ভূপালী কিংবা ইমন-এর ছোট খেয়ালগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন।
৬. মিউজিকের সাথে তাল এবং লয় জ্ঞান থাকাটা আবশ্যক। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বাঁশির সাথে তবলায় কেউ সঙ্গত করেন।
এমন কেউ না থাকলে রিয়াজ মাস্টারের তবলা পেটি কিনে নিন।
৭. নিয়মিত সারগাম অনুশীলন করুন। এতে ফিঙ্গারিং প্র্যাকটিসটা ভালো হবে।
৮. মুনির স্যার সব সময় যেটার উপর গুরুত্ব দেন, তা হলো, ’'আলাপ'’। বাঁশিতে নিজে নিজে আলাপ করার স্কিলটা ডেভেলপ করতে হবে।
৯. ইউটিউবে সার্চ করে দেখতে পারেন, বাঁশি শিক্ষা বিষয়ক প্রচুর টিউটোরিয়াল পাবেন যেগুলো কিছুটা হলেও উপকারী। স্টাফ নোটেশন শেখারও অনেক উপকরণ পাবেন ইন্টারনেট থেকে।
১০. ঢাকা আর্ট কলেজের সামনে থেকে ভালো এবং লম্বা দেখে লাবু মিয়ার বাঁশের বাঁশি দিয়ে প্র্যাকটিস শুরু করুন। বড়/লম্বা বাঁশি দিয়ে অনুশীলন করলে পরে ছোট বাঁশী বাজানোটা সহজ। তবে শুরুতেই দামী সিলভার ফ্লুট কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা।
ধীরে ধীরে বাঁশির সংখ্যা বাড়তে থাকলে সেগুলো বহন করার জন্য মোটা কাপড়ের লম্বা দেখে সুবিধাজনক একটি ব্যাগ বানিয়ে নিতে পারেন।
১১. প্র্যাকটিসের সময় বাংলা/হিন্দী গান বা কোন সুর বাজানোর থেকে রাগ বাজানোটাকেই আমি অধিকতর শ্রেয় মনে করি।
১২. প্র্যাকটিসের সময় দম বাড়ানোর চেষ্টা করুন। এক একটি নোট অধিক সময় ধরে ফুঁ দিয়ে ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
১৩. ভারতের পণ্ডিতকূল হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়া, রুনু মজুমদার, রঘুনাথ শেঠ, পান্নালাল মজুমদার এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য মুনিরুজ্জামান স্যার, গাজী আব্দুল হাকিম স্যার, বারী সিদ্দিকি স্যার, মুরাদ স্যার, হাসান স্যারের বাঁশির অ্যালবামগুলো কালেকশন করে শুনতে পারেন তাঁদের মাস্টারপিস ’কাজ’ গুলো।
১৪. সর্বোপরি ধৈর্য্য এবং অনুশীলন -এই দু’টি ব্যাপার থাকলে আপনি বাঁশি শেখার ব্যাপারে আগাতে পারবেন।
বাঁশি বিষয়ক আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, আমি নিজে এখনও শিখছি, এ শেখার কোন শেষ নেই। গত প্রায় ১০-১১ বছর ধরে ফুঁ দিয়েই যাচ্ছি, তারপরেও মনে প্রশ্ন জাগে, আসলেই কি আমি শুদ্ধ ভাবে বাজাতে পারছি? কেননা এটা এমন কোন প্যাকেজ না যে, ছয় মাস বা একবছর শিখলেই আমি সব শিখে ফেললাম।
ভারতে যেমন গুণী শিল্পীর অভাব নেই, তেমনি তাদের শিল্প চর্চার ক্ষেত্র এবং পরিধিও বিশাল। বাংলাদেশে এই সুযোগটা কম বললেই চলে।
ভারতের সাংস্কৃতিক চর্চার সাথে আমাদের মূল পার্থক্য হলো, ওখানে শিল্পীদের কদর আছে, যেটা বাংলাদেশে এক কথায় নেই। শিল্পীর যোগ্য সম্মান যতদিন আমরা দিতে না পারবো, ততদিন প্রকৃত শিল্প চর্চায় আমরা অনগ্রসরই থেকে যাব।
মুনির স্যারের লাইভ শো
http://www.youtube.com/watch?v=zbkwXW6Vrys
http://www.youtube.com/watch?v=kkSXPNZtc2A
বাঁশির ইতিহাস জানতে ক্লিক করুন
বাঁশি শেখার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস:
১. ক্লিক করুন
২. ক্লিক করুন
৩. ক্লিক করুন
৪. ক্লিক করুন
৫. ক্লিক করুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।