আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহস্ত্র কুসুম এর কথা

বাঁচতে চাই! কারন বাঁচাতে চাই মেয়েটির নাম কুসুম। নামটির মত সেও খুব সাধারণ মেয়ে, দেখতেও খুব একটা সুন্দরী না। সে গ্রামে থাকে, বাবা হাই স্কুল এর শিক্ষক আর মা গৃহিণী। এখন কুসুম বড় হয়েছে, তার বয়স এখন ১৩ পার হয়েছে। তাকে অনেক কিছু মেনে চলতে হয়।

বাহিরে কম যেতে হয়, ছেলেদের সাথে কথা বলতে আম্মা মানা করে দিয়েছেন। এমনকি গত কয়েকদিন আগে আম্মা দুধ ওয়ালার সামনে যেতেও মানা করেছেন। বাড়িতে শিক্ষক আসলে আম্মা ঘরে বসে থাকে না হলে ছোট ভাই কে বসিয়ে রাখে। কুসুম প্রতিবাদ করেনা। তার কাছে এ সব স্বাভাবিক মনে হয়।

সেও মনে মনে পুরুষ জাতিকে ঘৃণা করে। স্কুল যাবার পথে সে স্বাভাবিক পোশাক পরে যায়। তার পরিবারে বোরকার বালায় নেই। সে সুন্দরী না হওয়াতে খুব একটা সমস্যায় পরতে হয়না তাকে কিন্তু সালমা কে এখন বোরকা পরে স্কুলে যেতে হয়। কিছুদিন আগেও সে কুসুম এর মত সালয়ার কামিজ পরে স্কুলে যেত কিন্তু পাড়ার বখাটে রকিব আর ওর বন্ধুরা সালমা কে নিয়ে অশ্লীল কথা বলতো।

ছুঁড়ে দিতো প্রেম পত্র। । একদিন তো হটাৎ এসে উড়না সরিয়ে হাত দিয়ে দিলো... কান্নায় ভেঙে পড়লো সালমা। সালিশ বসলো, বিচার হল। ।

দোষ দেওয়া হল সালমা কে। সে বোরকা পরেনি কেন! রকিব তো পুরুষ মানুষ তার তো সুন্দরী দেখলে কিছু করার ইচ্ছা হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু সালমা কি উচিৎ না বোরকা ব্যবহার করা??? হ্যাঁ। পরের দিন থেকে সালমা বোরকা পরে স্কুলে যায়...। কুসুম এর কাছে এইটাও স্বাভাবিক। কিন্তু যূথী আপু... তার কথা তো স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া যায়না।

ছোট বেলা থেকে কুসুম যূথী আপুর সাথে বড় হয়েছে। প্রায় সন্ধ্যায় তাকে জব্বার স্যার অঙ্ক করানোর জন্য ডাকত, একদিন সন্ধ্যায় জব্বার স্যার এর বাড়ি থেকে এসে যূথী আপু সে কি কান্না... কুসুম হাজার বার জিগ্যেস করলো কি হয়েছে, কিন্তু যূথী আপু কিছুই বলল না। দু এক মাস পরে গোটা পাড়া রটে গেলো যূথী আপুর পেটে জব্বার স্যার এর বাচ্চা! আবার সেই বিচার! জব্বার স্যার অকপটে দাড়িয়ে বলে দিলো 'এই বেয়াদব মেয়ে প্রায় আমাকে খারাপ ইশারা করতো, আমি কিছু বলতাম না, কিন্তু শেষ দিন সে জামা কাপড় খুলে ফেললো! আমি আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমার দোষ বলেন? আপনারাও তো পুরুষ, বলেন আমার দোষ?' সবাই বলে উঠলো ছি ছি, ঠিক কথা ঠিক কথা এ সব গুঞ্জনের ভিড়ে যূথী আপুর মনের মধ্যেয় থেকে গেলো সেই সত্য গুলো, নাটক করে শরবত এর মধ্যে ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা, শরীর শক্তিহীন করে নির্মম ভাবে ধর্ষণ করার কথা... শাস্তি হল যূথী আপুর ৫০ ঘা দোররা... জব্বার স্যার কে মারতে দেওয়া হল। কোন একটা গোপন কারনে সে ২০ ঘা মেরে বললেন এবারকার মত ছেড়ে দেওয়া হোক... পরদিন সকাল বেলা ঘরে ঝুলন্ত অবস্তা তে পাওয়া যায় যূথী আপুকে, লাশ টা যখন কুসুম দেখে তখন কুসুম কাঁদেনি।

। তখন সে অবাক হয়ে দেখছিল যূথী আপুর পবিত্র রূপ যা সে প্রথম বারের মত লক্ষ করে। আজকে সকাল থেকে কুসুমের তল পেটে খুব যন্ত্রণা। হটাৎ করে পাইজামা ভিজে গেছে রক্তে... সে জানে কি হচ্ছে, তার অনেক বান্ধবীর হয়, কিন্তু তার আজকে প্রথম। লজ্জাতে বলতে পারছেনা আম্মু কে।

সে লজ্জা পাচ্ছে কিন্তু বুঝতে পারছেনা কেন সে লজ্জা পাচ্ছে, কেন লুকিয়ে রাখতে হয় এই স্বাভাবিক ঘটনাকে, যা পৃথিবীর প্রতিটা মেয়ে মানুষের হয়... কেন সেটা কোন পুরুষ মানুষ কে বলতে এত লজ্জা... কেন বাজার থেকে পেপার এ মুড়িয়ে প্যাড আনতে হবে... আজ তার ছোট ভাই এর মুসলমানি... পাড়ার লোক কে খাসি কেটে খাওয়ানো হচ্ছে... সবাই তাকে ডাকছে... কেন সে সবাই কে বলতে পারছেনা আজকে তার মাসিক হচ্ছে সে বাহিরে যেতে পারবেনা... কেন? এইটাও তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে যাবে কিছুদিন পর............... (এইটা আমার প্রথম দুঃসাহসিক ফিকসান বলা যেতে পারে, মনের জড়তা কাটিয়ে প্রথম এত খোলামেলা লিখলাম. পড়ে ভালো লাগলে ধন্য হবো.. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.