ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস শব্দটা আসলে মূলত যৌনহয়রানি। ইভটিজিং এর মতো হালকা শব্দ দিয়ে বিষয়টা ব্যখ্যা করতে চাচ্ছি না । যাইহোক মূল পোস্টে আসি।
গতকাল সন্ধ্যায় একটা ফাজলামি টাইপ স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ফেবুতে। ব্যপারটা ফাজলামিতেই ছিলো ।
কিন্তু সেটার শেষ দিকে এসে অহনীল অবনির একটা কমেন্ট পড়ে মন খুব খারাপ হয়ে গেছে । অবনি আমার বড়পা । ও যখন বলল, "যারা ইভটিসিং করে, তাদের সম্পর্কে একটা কথাই মনে হয়ঃ তার কি কোনো বোন নাই। তার বোনটাকে যদি কেউ কিছু বলে সে তাকে খুন করতেও রাজি। আরেকজনের বোনকে কিভাবে বিরক্ত করে।
হয়তো উত্তর আসতে পারে বোন নাই, তখন যে প্রশ্নটা আসে সেটা হইলো, তাইলে কি তুমি কোন নারীর গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করো নি। বিতর্কের খাতিরে বলিনি। সেই ১১/ ১২ বছর থেকে সহ্য করতে করতে অসহ্য । "
এবং
"আমার গায়ে লোম বেশি। কতো কথা যে শুনছি! কেউ ভাবে নি, এতে আমার কোনো হাত নেই।
ভাবটা এমন, আমি ইচ্ছে করেই এমন হইছি। পুরুষ বলতেই যে খারাপ, তা না। বুক দিয়ে আগলে রাখতে পুরুষেরাও পারে। আবার এই পুরুষগুলাই পারে একটু ভীড়ের মধ্যে একটা বাচ্চা মেয়ের গায়ে হাত দিতে। মাঝে মাঝে কিছু কথা মনে হইলে কান্না পায় জানিস রে ভাইয়া।
কিন্তু কাউকে বলতে পারি না। """"
তখন মনে হচ্ছিলো, এবার আমিও কিছু বলে ফেলি। আর চেপে রাখা যাবে না, কথা । অনেকদিন পর লিখতে বসলাম।
ভেজা ঋণ এর "কোনো কথা কমু না- আমার প্রাণের অর্ধেক বয়সে আমার তিন মাসের বড়ো, জীবনে আমার প্রথম এবং শেষ ফ্রেন্ড, আমার চাচাতো বোন, তারও গায়ে লোম ছিলো জংলি মানুষের মতো।
কিছুটা সোনালী বর্ণের। তারে মিস করি। অনেকেই জানতো আমরা মায়ের পেটের ভাই বোন। """
এই কমেন্ট টা আসলে ঘা দিলো আবার নতুন করে আমাকে । আমি বুঝতে পারলাম, ঘটনাগুলো পিনিং করে চলছে তাদেরকে প্রতিনিয়ত।
এবার মনের মধ্যে যা জমা আছে, বের করে দেই । কালকে অবশ্য নোট হিসেবেই ফেবুতে লেখাটা দিয়েছিলাম। সবার মতামত জানতে চাচ্ছিলাম। অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে বলেছিলাম সবাইকে সেখানে । মতামত ও জানাতে বলেছিলাম।
নোটটা এখানে হুবহু কপি পেস্ট করলাম। কয়েকজন ব্লগার ভাই বলল, তুমি লেখাটা সামুতে শেয়ার কর। আপনাদের মতামতও আশা করছি, আর অভিজ্ঞতাও।
ইভটিজারদের ঘৃণা করি আমরা । এগুলো নিয়ে বলতে গেলে অদ্ভূত অদ্ভূত সব কোয়েশ্চেন এর সম্মুখীন হই।
তবে আমি বরাবর ই প্রশ্ন পছ্নদ করি । প্রশ্ন করলে, প্রশেনর উত্তর দেয়ার সময় নিজের কনফিউশন গুলোও দূর হয় । ভেজা ঋণের তিক্ত অভিজ্ঞতাও আমাকে আসলে অনেকদিন পর লেখার ইচ্ছেটাকে উসকে দিলো ।
অবনি আর ভেজা ঋণের কথার প্রেক্ষিতে আমি বললাম
""ইভ টিজারদের শুধু ঘৃণা করা তো ব্যপার না । এইবার তো তাহলে কয়েকটা পয়েন্টে কথা বলতে হচ্ছে
১. ইভ টিজারদের জন্যও সবচে বড় আশ্রয় কিন্তু তার পরিবার ।
সে টিজিং করে আসলেও , সব কিছুর পরেও তার পরিবার তাকে আশ্রয় দেবে । ভালোবাসা মানুষকে অনেকক্ষেত্রেই অন্যায়ের দিকে ঠেলে দেয়। এটা তার প্রমাণ । একটা মাত্র ছেলে । ইভটিজিং এ্ই বয়সে একাধটু করতেই পারে, এরকম ধারণা নিয়ে চলে, এমন পরিবারের সংখ্যা খুব কম না ।
একই পরিবারে কন্যার প্রতি বাবা মার যে দৃষ্টি ভংগি, এবং ছেলের প্রতি দৃষ্টিভংগি, এটা আগামি ৩০ বছরেও বদলাবে না। যত টি.আই.বি. এড মারুক, যতই প্রথম আলো হ্যান করুক , ত্যান করুক। ভুক্তভোগিরা ছাড়া কেউ একজোট হবে না ।
২. যারা বলে ঘরে মা আছে বোন আছে কিন্তু বউ নাই , দ্যাটস হোয়াই আই অ্যাম ইভটিজার । তাদের জন্য দুটো কোয়েশ্চেন আছে আমার ।
## ওদের যুক্তি থেকেই বলতেছি, নিজের মা আর বোন ছাড়া যদি দুনিয়ার সবাইরেই বউ বউ মনে হয়, তাহলে এই সংক্রান্ত বিরম্বনায় পড়ার পর , আমাকেও কি এই ডিসিশানে পৌছুতে হবে, যেহেতু আমার মা বোন কে আমি সেফটি দিতে পারছি না তোদের হাত থেকে , সো তোর মা বোনও আমার হাত থেকে নিরাপদ না । আমিও আজ থেকে বউ বউ লুক দিয়ে তাকাবো । খারাপ কাজ করিনা করিনা ঠিক আছে, করলে কিন্তু খারাপের শেষ নাই ।
আর বউ কি মাঠে ঘাটে সব খানে খুজে বেড়ানোর জিনিস ????
কেউ মাইন্ড করবেন না প্লিজ। অন্যায়ের জবাব পুতুপুতু টাইপ কথা দিয়ে হয় না।
পিস্তলের মুখে দাড়িয়ে সাহিত্য চলে না .. ঐ সব ধ্যান ধারণা বাদ দিয়ে দেখতে হবে । মিষ্টি কথায় কি হয় তা তো দেখতেই পাচ্ছি ।
৩. ইভটিজারদের যদি এতো সাহস ই থাকে , আমি ওদের একটা কথা বলতে চাই। আমরা আমাদের সব অপরাধ আমাদের বাবা মার কাছে স্বীকার করতে পারি । পারলে ওরা গিয়ে ওদের জন্মদায়ীনিদের সামনে মাথা উচু করে বলুক
## """"মা, আমি আজ একটা মেয়েকে টিজিং করে আসছি ।
মেয়েটা আমার দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে ঘৃণা করছিলো্। মা, আমার জন্য দিনের মধ্যেমিনিমাম দশবার যে গালিটা শোনো নর্মালি, সেটা হচ্ছে বেজন্মা আর কুত্তার বাচ্চা । মা, আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, আমার কারণে লোকে তোমাকে ওতটা নিচে নামিয়ে দিচ্ছে । """ পারলে বলুক তারা । দেখবো কতখানি বুকের পাটা ।
###পারলে বলুক """" মা, আমি আজ একটা মেয়েকে রেপ করে আসছি । মা, আমার কারণে একটা মেয়ে আজ মৃত্যুর শিকার। এই দেখো, আমার মধ্যে কোনো বিকার নাই। আমি ব্যপারগুলো থেকে অপরিসীম আনন্দ পাই । আমি গর্বিত যে, আমি তোমাকে প্রতিনিয়ত অপমান করে চলি, প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে নিজে ছোটো হই, আর তুমি কোনো অপরাধ না করেও আমার পাপের ভাগ বয়ে বেড়াও ।
আমার দৃষ্টিভংগির কারণে , আজ তোমরা অন্যদের সহজ লোলুপতার শিকার । মা, আমি খুব উল্লাসিত যে আমার মতো বিকৃত মস্তিষ্কের একটা কুকুরকে তুমি আদর করে বড় করছো, আজ আমি কামড়াই নিজেকে । হ্যা তোমাকেও । তোমাদের ইন্ডাইরেক্ট রেপ এর কারণ এই আমি নিজে """" .......... বলুক তারা পারলে ।
আমি ইভটিজিং ঘৃণা করি এইসব গালভরা শব্দে আমার পোষাবে না রে ।
আমি নিজেও যদি কখনো এমন ঘটনা ঘটাই, প্লিজ আমার বন্ধুদের বলছি, ডাইরেক্ট শুট করবি আমাকে । দুনিয়ায় অনেক সম্মানের মৃত্যু আছে । ইভটিজার খেতাব নিয়ে দুনিয়া ছাড়তে চাইনা। এমন ভাবে মানুষের ঘৃণা নিয়ে বাচতে চাই না, যেখানে কোনো বাবা আমাকে উল্লেখ করে বলে যে, তোমার কারণে আমার মেয়েটা আজ পুরুষজাতিকে ঘৃণা করে, তোমার কারণে আজ তোমার মতোই একটা মানুষ মৃত্যুর সাথে পানজা লড়ে । তোমার মতো ছেলেদের কারণেই , তোমাদের মা বোনরা প্রতিনিয়ত ভোগে, সেক্সুয়ালি হ্যারাসড অর অ্যাস্টল্ট এর শিকার হয় ।
........ এতবড় পাপের ভার বইতে পারবো না আমি কোনোদিন ।
সুযোগ পেলেই মেয়েদের গায়ে হাত দেয়, হ্যা এইরকম স্বভাবের মানুষ কম দেখিনাই। আমি খুব জোর দিয়ে বলতে চাই এই স্বভাবটা বুড়োগুলোর মধ্যে বেশি । আই হেইট দোওজ ওল্ড পিপল । আর আমাদের মধ্যেও কমবেশি এরকম পোলাপান দেখছি ।
কারো যদি নিতান্তই কাউকে হয়রানি করার মনোবৃত্তি থাকে, তাকে তুই আইন দিয়ে ঠ্যাকাতে পারবি না । বিবেক সবার থাকে না । সবার টা জাগানোও জায় না । এটার জন্য আর যাই হোক নিজেদের দোষী করা ঠিক না । কেউ না বুঝলে সব ক্ষেত্রে দয়া মায়া না দেখানোই ভালো ।
এটলিস্ট এতটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি, আমার মা যদি কোনোদিন শোনে, আমার দ্বারা কোনো মেয়ের কোনো ক্ষতি হইছে , তাহলে কোনোদিনো আমাকে ছেলে হিসেবে ক্ষমা করবে না , ইভটিজার হিসেবেই কাউন্ট করবে । এবং এতটুকু নিশ্চিত জানি, আমাকে এই কথাটা বলবেই যে, "তুই মানুষ না, জন্তু; যতটুকু সেন্স থাকার কারণে জন্তু " জন্তু" হয় তোর ততটুকু সেন্স ও নাই। যেই মুখ দিয়ে একটা মেয়েকে বাজে কথা বলে কিমবা হ্যারাস করে আসছিস, সেই মুখ দিয়ে আর যাই হোক , আমারে মা ডাকিস না । আর যাই হোক আমি কোনো টিজার এর মা না । "
এরপরের ডিসকাশনগুলো প্রশ্নোত্তর আকারে দিলাম ।
১. মাইয়ারা যখন টপস আর স্কার্ট পইরা সামন দিয়া ঘোরাঘুরি করার সময় টিজিং উসকানিমুলক দৃষ্টি আমাগো উপর ফেলে তখন অসহায়ের মত তাদের দাবি মানতে গিয়া আমাগো টিজ এর মত জঘন্য কাজটি করতে হয়। সব মেয়েরাই কি টিজ এর কবলে পরছে????????
আমি বলেছি:
সব মেয়েরাই পড়বে ক্যান ? সব ছেলেরাই কি টিজ করে ?
এভাবে প্যাচায়ে তো লাভ নাই। যারা করে তাদের এগেইনেস্টে কি করা উচিত সেইটা বলা উচিত আমাদের । ২. একটু খেয়াল করে দেখলে মনে হয় টিজ এর কবলে পরা মেয়েদের আলাদা একটা গ্রুপে ফেলানো সম্ভব।
আমি বলেছি: ইংগিত টা কি পোষাকের দিকে দেয়া হলো ?পোষাকটা খুব বড় ব্যপার না ।
শহরের কথা না হয় বাদ ই দিলাম, গ্রামে যেসব ঘটনার শিকার হচ্ছে মেয়েরা , সেখানে কি পোশাক টা খুব জড়িত??? সবাই কি অশালিন পোশাক পড়ে ঘুড়ে বেড়ায় । শালিন পোশাক পড়ে ঘুড়ে বেড়ালেও তো তারা কমেন্ট শোনেই । হয় আড়ালে, নয সামনে। সো পোশাকের ব্যপারটা খুব ই ঠুনকো । কারণ, আমাদের ভার্সিটির গত ডিবেটিং সোসাইটির প্রোগ্রামে ড. জাফর ইকবাল এর পত্নি মিসেস ইকবাল (সরি ম্যাডামের নাম টা মনে করতে পারতেছি না ) একটা স্পিচ দিয়েছিলেন ।
। উনি সেখানে বলেছিলেন, পাশ্চাত্যের পোষাক তো আমরা দেখে অভ্যস্ত । এটলিস্ট এটার কারণে কেউ ইভটিজিংএর শিকার হয়েছে, এরকম কোনো ঘটনা এভেইলেবল না সেখানে । তারচেয়েও বড় কথা, যারা ইভটিজার , তারা ধরেই নেয় মেয়েরা দূর্বল, অরক্ষিত । আর যারা শিকার , তারও নিজেদের দূর্বল ই ভাবে ।
এটার জন্য কিছু আত্নরক্ষার স্কিল এর কথা তিনি বলেছিলেন। শাহজালাল উইনিভার্সিটিতে মেয়েদের জন্য স্বল্পপরিসরে হলেও জুডো ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। একজন মানুষ যখন স্কিলড হয়, আত্নরক্ষাতে, তার সাথে এতো সহজে কেউ লাগতে আসে না। এটা একটা সত্য কথা। সো মেয়েদের এই দিকটাতেও গুরুত্ব দিতে বলেছেন।
যে যত যাই বলুক, ইভটিজিং একটা টার্গেটেড অ্যাসল্ট । এবং এটা ইচ্ছাকৃত অপরাধ ।
৩. তিন নম্বর কোয়েশ্চেন টা ছিলো , উপরের প্রশ্নে একটু হলেও যুক্তি আছে । আফনে কি কখনো টিজ করছেন????আসলে টিজ কোনটা????আমি এখনো কাউকে টিজ করতে দেখি নি এবং আমি এখন পর্যন্ত যা করছি তাকেও টিজ বলবো না,একটা মেয়েকে ভালো লাগলো তাই তার দিকে এট্টু তাকায়া থাকলাম এবং এট্টু জমাবার ট্রাই নিলাম কিন্তু মাইয়া যদি সেইটা না বুইজা কুত্তা বইলা গালি দেয় তাহলে ছেলেরা তো কুত্তার মতো তার ওরনা ধইরা টানবই। আমার উত্তর ছিলো : প্রথম অংশের উত্তরে , একটু খানি যুক্তি দিয়ে পুরোটা দেখা যায় না ।
এটা নিজেদের অপকর্ম কে বৈধতা দেয়ার একটা প্রচেষ্টা । কয়েকটা ব্যতিক্রমী ঘটনা বাদ দিলে ওভারঅল শিকার টা হচ্ছে মেয়েরাই। আমরাই ঠিক করে দিচ্ছি একদল মেয়েকে , তারা কি ধরণের পোষাক পরবে,আমরা পুরুষকুল মনোরনজিত হবো। আবার আমরাই ঠিক করে দিচ্ছি , আমাদের ঘরে কি ধরণের পোষাক পড়া হবে । আমরা ক্যাটরিনার পোশাক নির্ধারণ করে দিচ্ছি, না হলে দর্শকরা ধর্ষকামী হবে কীভাবে।
আবার আমরাই বলে দিচ্ছি, জরিনাদের পোশাক এমন হবে । হাস্যকর না ? আমিই এমটিভি দেখবো, আমিই হাদিস কোরানের ফতোয়া দেবো এটা তো ঠিক না ।
এবং দ্বিতীয় অংশের উত্তরে: তুই এরকম করার কারণে কি কুত্তা বলে গালি খাইছোস ?? এটা তো সত্য কথা না । অযথা সাফাই দিয়ে লাভ নাই। তোরে যদি কোনো মাইয়ার ভালো লাগে, তাইলে কি সে তোর শার্ট ধইরা টানাটানি করবে ??? আজিব যুক্তি দিলি তো কুত্তা হওয়ার ।
দ্যাট মিন , কোনো মেয়ে যদি, না বুঝে চিল্লায় ও , আমরা ব্যপারটা বুঝাবো না , আমরা ওড়না ধরে টানাটানি করবো ?? ৪. প্রশ্ন: পোশাকের কথা বলি নাই,পোশাকের কারনে যদি টিজ হইতো তাইলে বসুন্ধরার লেভেল আট এর সব মাইয়ারাই টিজ এর শিকার হইতো কারন ওইখানেও আমি এইখানেও আমি মাগার হয় না কারন এটিচুড আর পরিবেশ। আমি এখন পর্যন্ত কাউকে টিজ করি নাই এবং কাউকে টিজ করতে দেখি নাই,আপনি কি টিজ করছেন????আমি এখন পর্যন্ত পত্রিকায় যেসব টিজিংএর শিকার হয়ে আত্নহত্যার খবর পড়ছি সব কয়টাই মনে হইছে এর আরও অন্যকোনও কারন থাকতে পারে,শুধু শুধু এই কারনে একটা মেয়ে অত্নহত্যা করতে পারে না। সেদিন বউবাজারে আমারা চারজন ছিলাম,দুইটা মেয়েকে পছন্দ হইলো মাথায় চাপলো চল গিয়া কতা কমু তারপর তাদের সাথে কথা বললাম নাম ঠিকানা শুনলাম তারপর গল্পকরতে করতে কলোনিতে আগায়া দিয়া আইলাম,এটাকে আপনি কি বলবেন????
আমি বললাম:
আমি কাউকে টিজ করি নাই। এবং আমি প্রচুর দেখছি টিজ করতে । তুই কাউকে দেখিস নাই, তারমানে তুই বাংলাদেশে ছিলি না।
তোর নিজের বন্ধুদের মধ্যে এই গোত্রের এক জন ও নাই, এরকম কথা কইলেও বিশ্বাস করবো না । আমাদের মধ্যেই যখন আছে, তখন তোদের লেভেলেও ব্যতিক্রম হওয়ার কথা না । পেপারে তুই যা দেখছিস, ঠিক দেখছিস , কিন্তু বোঝায় একটু ভুল আছে। । ।
অবশ্যই মানুষ এই কারণে আত্নহত্যা করতে পারে । এক ই ধরণের টিজিং বা বিরক্তি বার বার করলে মানুষ ঐ দিকে অগ্রসর হয় ।
শোন তোর রাগ হইলে, আছাড় দিয়ে দুইটা গ্লাস ভাংতে পারবি। একটা মেয়ে কিন্তু চামচটাও বাকাতে পারবে না । ওটার জন্য আরো একশটা কথা শুনতে হবে তাকে।
ইভেন বাপ মার কাছ থেকেও। তোর রাগ হইলে তুই দুম করে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে পারবি রাত বিরাতে। চুপ করে থাকতে চাইলে তাও পারবি। কিন্তু একটা মেয়েকে তা করতে দেয়া হবে না । ....
তুই চাইলে আকাশ পাতাল এক করে, গালি দিতে পারবি, মেয়েটা তা পারবে না ।
জিভটা টেনে ছিড়ে ফেলা হবে। নিজের সিচুয়েশনটার সাথে , একটা মেয়ের সিচুয়েশন মেলা । উত্তর ক্লিয়ার হবে।
লাস্টের ব্যপার টা টিজিং এইটা কখন বললাম। তোর ধারণা সবাই গল্প করে আর চাল সহ আগায়া দেয় ।
এসিড মারে , তাইলে কোন শালা ?? কোনো মাইয়া ?
৫. এরপর অবনী আরেকটা ঘটনা বলে ।
ওর ভাষ্যমতে """" এই কথাগুলো ওই মানুষগুলোর মনে কক্ষোনো আসবে না। তারা তাদের কাজ করেই যাবে। কলেজে থাকতে একজন খুব জ্বালাইতো। গেট পর্যন্ত আব্বু দিয়ে আসতো, গেটের ভিতরে তন্ময়।
তবু ফাঁক খুজে সে আমাকে জ্বালাইতো। কিছু বলতে পারিনি। বললে মারামারি হয়ে যাবে। এটা কি জানিস, ছেলেটার মা তাকে বলছিলো আমাকে জ্বালাইতে! যখন বোরকা পড়া শুরু করলাম, তারপর থেকে ভিন্ন মাত্রার জ্বালাতন। বুড়া মানুষ আছে।
জোয়ানেরও অভাব নাই। ফোরে যখন পড়তাম, একদিন আযান পড়ার সময়, আমি আম্মু আর আব্বু মামার বাড়ি থেকে আসতেছিলাম। ভীড়ের মধ্যে কেউ আমার গায়ে হাত দেয়। চিত্কার করে উঠি। আব্বু আম্মু ভাবে পায়ের উপর রিক্সার চাকা উঠছে।
আমার আম্মুটা বাসায় এসে বরফ পানি, গরম পানি কতো কিছু দেয়া শুরু করলো! বড় হবার পর আমার শরীরটা দেখে যা খুশি না হয় বললো, একটা নয় বছরের বাচ্চা মেয়ের অপরাধ কি! কি বলবি এইসব মানসিকতা কে?"""""""
বড়পার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো, ওদের যদি পাইতাম, স্টেইট মুখটা রাস্তার সাথে কষে চেপে ধরে মিনিমাম একমাইল টেনে নিয়ে যেতাম , তারপর , জিভটা টেনে ছিড়ে ফেলতাম।
এটার এগেইনেস্টে আনসার আসে . "এই মাইন্ডের অনেক পুলাপাইন,ছেলে,বুড়া আছে। এদের সম্পর্কে বলার কিছুই নাই" ......
আমি উত্তর দিলাম: বলার কিছু নাই মানেই তো , আমরা সেটাই মেনে নিচ্ছি । তোর কি আপন বোন কেউ আছে ??? আমি অন্য কারণে কোয়েশ্চেনটা করলাম। থাকলে বুঝতি আসলে কি কি ধরণের প্রবলেম তাকে ফেস করতে হয় ।
এটা শুধু আলোচনা দিয়ে বোঝানোর জিনিস না । অবনিকে বললি না , এদের ব্যপারে কিছুই বলার নাই । তোর নিজের বোন হলে কি করতি ?
৬. আপনার ব্যাচে এমন পোলাপাইন আছে যে একটা মাইয়াকে এসিড মারতে পারবো???আসলেই আমার চোখের সামনে এরকম ঘটনা ঘটে নি যেটার কারনে কেউ আত্নহত্যা করতে পারে??
উত্তরে বলেছি:
আমি আমার ব্যাচে টিজার আছে বলছি, এসিড মারতে পারবে এরকম মানষিকতার পোলাও আছে । অবশ্যই তা এক বা দুজন । তবে মানষিক বিকৃতি কোন পর্যায়ের এইটা বোঝার জন্য, দুনিয়ার সব টাইপের মানুষের সাথে মিশতে হয় ।
তুই কয়জনরে চিনিস । তোর সাথে হাইসা কথা বলি দেখেই কি আমি ফেরেশতা, না দুনিয়ার ব্যাবাকতে ফেরেশতা হয়া গ্যাছে??? ক্লেইম টা অন্যভাবে দ্যাখ, তোর কাছে ভালো দেখে কি দুনিয়ার সবার কাছেই ভালো ????? সবাই কি সব জিনিস তোর সাথে শেয়ার করে। তুই ইভেন আমাদের ভার্সিটির কয়টা ঘটনা পুরোপুরি জানিস ??? আমি শুধু টিজিং দিয়ে বলতেছি না। এমন এমন মুখোশপড়া মানুষ আছে, যাদের সম্পর্কে বলতে গেলে তোর গা রি রি করে উঠবে । .............. প্রমাণ তো আমি হাতে নিয়ে ঘুরি না।
উ্চ্চ পর্যায়ে যাবার পর, সবাই ব্যাকগ্রাউন্ড টা সাবান দিয়ে ঘষে ফেলে। আপাতত এরচে বেশি কিছু তোরে বলবো না। পারলে তুই নিজে খুজে বের কর।
তোর চোখের সামনে ঘটেনি , ব্যস শুধু একারণেই ঘটনাটা আত্নহত্যার মতো না , এটা কি টাইপের লজিক আমি বুঝলাম না । একটু ক্লিয়ার করে বোঝা ।
সব কিছু কি র্যাবের ক্রসফায়ারের মতো ওত পেতে থাকা সন্ত্রাশী টাইপের গপ্পো মনে হয় নাকি তোর কাছে ?? আমি এটলিস্ট এরকম পাচ থেকে ছয় জন মানুষকে খুব কাছ থেকে চিনি, তাদের ঘটনা আমি দেখেছি, আমি তাদের ভাষ্যও শুনেছি। তোর কোনো কথাই এখানে ধোপে টেকে না । এখন কিভাবে একজন রেপড হইছে, সেটাও যদি তোর চোখের সামনে না ঘটার কারণে তুই অবিশ্বাস করিস, আমার আসলে কিছু বলার নাই। সেক্ষেত্রে , তালগাছ আমার টাইপের আলোচনা করে লাভ নাই।
এরপর আলোচনা শেষ হয়ে গিয়েছে ।
এখানে যদি অন্যরা তাদের মতামত গুলো আলোচনা করেন । তাহলে খুব ভালো হয়। তাদের দৃষ্টিভংগি। তাদের প্রশ্ন ইত্যাদি । আমার মনে স্পর্শকাতর বিষয় গুলো নিয়ে ওপেন ডিসকাসন হওয়া উচিত ।
ঘনঘন হওয়া উচিত । তাতে চারপাশের মানুষদের ভিউ গুলো জানা যায় , আর জানানোও যায় । যখন মানুষ তার ধ্যান ধারণা সম্পর্কে পরিষ্কার হবে, যখন তাদের বিবেক গুলো নাড়িয়ে যাবে , তখন একটা নীরব বিপ্লব আপনা থেকেই ঘটতে থাকে। মানুষের কাছে , এই ব্যপারগুলো পরিষ্কার করা উচিত আমাদের। বলে কয়ে পরিবর্তন আসে না।
পরিবর্তন একটা তাগিদ। মানুষের মধ্যে যখন এই তাগিদ টা তৈরি হয়, মানুষ আপনা থেকেই পরিবর্তিত হয় । আমাদের ১০০% পরিবর্তন দরকার নাই। সেটা সমভব ও না। আমরা ৭৫-৮০% চেইন্জ করার চেষ্টা করি।
বাকি ২০-২৫% তাহলে এমনিতেই দমিত হবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।