পুরনো আমিটাই ভাল ছিলাম... তোমাদের কাছে অবজ্ঞা চেয়ে
ঝড়ঝঞ্জা রাতে হাত পেতেছিলাম।
আপন খেয়ালে ছুঁড়ে দিয়েছিলে-
ধাতব মুদ্রার পিঠে টুকরো সম্প্রদান।
আমার পরিচয় তখন যেকোন পথশিশু,
তোমাদের প্রশ্বাসে নির্গত সান্দ্র করুণা;
দৃষ্টিতে বিঁধেছিল আমার পাঁজরের খাঁজ,
শীর্ণতা অথবা উপহাসের নিত্য অভ্যাস।
মমতার মরাকটালে যেটুকু পেয়েছি
প্লাবন ভেবে দু’হাত ভরে নিয়েছি।
বিনিময়ে কিছুই দিতে পারি নি, কি দেব?
আমার যে হারানোর কিছু নেই, না-
এক ঝলক মিষ্টি হাসিও না,
এক আজলা ভালবাসাও না।
সবার যে দেবার সাধ্যি থাকে না,
থাকতে নেই এই জগতের নিয়ম।
স্নেহ-বাঁধন কখনোই ধাতে ছিল না,
যখনই জড়িয়ে যাই লতাপাতার মতো-
বাইরের দেয়ালটা স্নেহের নোনায় আর্দ্র,
ভাঙ্গনের পদশব্দ শুনি কান পেতে,
উন্মুক্তে ভেতরের খানিকটা অথবা পুরোটা;
তখনই কোন এক বিদ্রোহ নিষিক্ত হয়,
ভেতর থেকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে
জন্মপ্রবণ একগুঁয়েমি, ম্যাস্যুকিস্ট আক্রোশ।
আমার হৃদয় তখন পাখি হৃদয়
আমার স্পন্দন তখন ভীরু প্রলয়
আমার বিভ্রম তখন ছিন্নতার নেশা
আমার আত্মা তখন পতনোন্মুখ;
খুঁড়ে খুঁড়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দেই
তোমাদের নির্মোহ ভালবাসার বুক।
ভুঁইফোঁড় চুম্বক বিকর্ষণ
তাড়িয়ে নিয়ে যায় দূরত্বে,
ছিটকে পড়ে নির্বোধের মতো চেয়ে থাকি,
বিরুদ্ধ স্রোতে সাঁতরে, ফেরা হয় না।
কাল বৈশাখীর ঝড়মগ্ন খেয়ালে
ছিন্নভিন্ন বেওয়ারিশ পাখির বাসার মতো
আমার দৃষ্টি তখন উদ্ভ্রান্ত;
আমার ঠোঁটে বিলাপের বিষফল,
আমার বাউন্ডুলে শূন্যতার চোখে
নির্লিপ্ত নিয়তি ঢেলে দেয় নিঃসীম বিরল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।