সত্যের গুষ্টি কিলাই। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধর্মের সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ইসলাম ধর্মানুসারীদের ক্রমাগত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে এবং ব্লগে ছাগুদের বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক আচরণে তথা ব্লগের আস্তিককুলের ক্রমাগত তালগাছবাদী আচরণে এবং যুক্তিতে নাস্তিকদের সাথে ক্রমাগত পরাজয়ের ফলে, নাস্তিক কর্তৃক ধর্মের উদ্ভট/অমানবিক দিকগুলো তুলে ধরার ফলে এবং বিজ্ঞানের নব-নব আবিষ্কার ব্লগে তুলে ধর্মের অসংগতি তুলে ধরার ফলে ব্লগে ক্রমাগত নাস্তিকের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত কয়েকমাসের জরিপ করলে দেখা যাবে সামুব্লগে বেশ ক'জন আস্তিক নাস্তিকতার দিকে ঝুকে পড়েছে এবং অনেকেই ব্লগে এসে নাস্তিকে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে।
ফেসবুকেও একই অবস্থা। বস্তুত সারা বিশ্বজুড়েই নাস্তিকদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছেই।
আমেরিকার একটি জরিপ সংস্থা মনে করছে ২০৩০ সালে পৃথিবীতে যেকোন ধর্মের মানুষের চেয়ে নাস্তিকদের সংখ্যা বেশি হবে এবং সবচেয়ে দ্রুত নাস্তিক সংখ্যা বাড়বে বর্তমানের ইসলাম অনুসারীদের থেকে। জরিপ সংস্থাটি মনে করছে যে সারা পৃথিবী জুড়েই ইসলাম যে আতংকে রূপান্তরিত হয়েছে তার থেকে পরিত্রাণের জন্য বর্তমানের ইসলাম অনুসারীরা নিজেরাই আতংকিত হয়ে পড়েছে। ইসলামী দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় অপশাসন তথা শরীয়াহ আইনের অমানবিকতাও এক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করবে মনে করছে জরিপ সংস্থাটি।
জরিপটি ঘোষণার পরপরই পৃথিবীর সকল ধর্মের বড় বড় (কু)চিন্তাবিদগণ একটি সম্মেলনে ডাক দেন। ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে তারা সবাই মিলে বেশকিছু বিষয় নিয়ে গুলোচনা করেন।
সামুব্লগ থেকে দু'জন তালগাছবাদী ও একটি কাউয়া প্রাথমিকভাবে মনোনিত হলেও লটারীর মাধ্যমে কাউয়াটিকে গুলোচনার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়। গুলোচনা শেষে তারা যে বিষয়টিকে ধর্মত্যাগের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে তা হল ধর্মাতংক। লিচুগাছসহ বেশকিছু ব্লগারের গালাগালি ও কোপাকুপির হুমকিকে তুলে ধরে কাউয়া হাতেনাতে দেখিয়ে দেন যে এধরণের আচরণের জন্যই সামুব্লগে ধর্ম এক আতংকে রূপান্তরিত হয়েছে। যার পরিণামেই ব্লগে ক্রমাগত নাস্তিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুলোচনায় উপস্থিত অন্যসব (কু)চিন্তাবিদগণ তার সাথে সহমত পোষণ করে।
গুলোচনা শেষে তারা গুবেষণায় মনোযোগ দেন। কী করে মানুষের ধর্মাতংক দূরীভূত করা যায় তার গুবেষণায় তারা এক যুগান্তকারী টিকা আবিষ্কার করে। এই টিকাটির নাম দেয়া হয়েছে ধর্মাতংক টিকা। গুবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে জলাতংক এবং ধর্মাতংকের উপসর্গগুলো প্রায়ই কাছাকাছি।
বিশ্বস্তসূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে এই টিকাটি খুবই সাধারণ জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
আমাদের সামহোয়্যারইন ব্লগের অত্যন্ত প্রিয় ব্লগার কাকপাখি ২ এর দ্বিসহস্রবারের অধিক রিপোস্টকৃত পোস্ট যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব (Reason Why Atheists are Stupid) -এর হার্ডকপির পানি ধুয়ে খেলেই সকল প্রকারের ধর্মাতংকের অবসান হয়। এর এমনই উপকার যে, কেউ একজন এই টিকা সেবন করিলে তার চৌদ্দগুষ্ঠির আর ধর্মাতংক রোগ হবে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গুলোচক বলেছেন যে ধর্মাতংকের টিকা থেকে লাদাতংক (লাদি আতংক) নামক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।