যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে নাকি একলা চলতে হয়। সম্প্রতি বৃটেনের গবেষকরা সূর্যের মতো দেখতে একটি গ্রহখেকো নক্ষত্রের খোঁজ পেয়েছেন। এটি তার নিকটতম একটি গ্রহকে ক্রমশ গিলে ফেলছে, এমনই প্রমাণ পাওয়া গেছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, এতোদিন গবেষকরা গ্রহখেকো নক্ষত্র থাকতে পারে এমনটাই কেবল ধারণা করতেন। কিন্তু এবারই প্রথম টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহখেকো নক্ষত্রের সন্ধান পেলেন গবেষকরা।
আবিষ্কারের এ বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’ সাময়িকীতে।
গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হাবল টেলিস্কোপে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, গ্রহখেকো নক্ষত্র থেকে বেশ দূরেই গ্রহটির অবস্থান। তবে বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপে ধারণ করা ডেটা পর্যবেক্ষণ করে গ্রহটির প্রতিকৃতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, নক্ষত্রের পেটে প্রায় ঢুকে যাওয়া এ গ্রহটির নাম ওয়াসপ-১২বি। তবে গ্রহটিকে পুরোপুরি খেয়ে ফেলতে নক্ষত্রটির ১ কোটি বছর লেগে যাবে বলেই জানা গেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর সময়ের হিসাবে গ্রহটি প্রতি এক দশমিক এক দিনে ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তন করে। আর গ্রহটির তাপমাত্রা দেড় হাজার সেলসিয়াসেরও বেশি।
গবেষকরা জানিয়েছেন, নক্ষত্রের বেশ কাছে থেকে আবর্তন করার কারণে গ্রহটির বায়ুম-ল অস্বাভাবিক স্ফীত হয়েছে যা বৃহস্পতির গ্রহের ব্যাসার্ধের প্রায় তিনগুণ।
গবেষক দলের প্রধান যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির ক্যারল হাসওয়েল জানিয়েছেন, গ্রহটিকে ঘিরে মেঘের মতো বিভিন্ন পদার্থ আবর্তিত হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে নক্ষত্রের পেটের মধ্যে চলে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ওয়াসপ-১২ একটি বামন নক্ষত্র এবং পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ৬০০ আলোকবর্ষ।
সুত্রঃ-ভিউ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।