ধূমপানজনিত রোগে চলতি বছর বিশ্বে ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করবে। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যাবে ছয় লাখের মতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার প্রচার করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩০ সাল নাগাদ ধূমপানজনিত রোগে মৃতের সংখ্যা ৮০ লাখে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। সংস্থাটির তথ্যমতে, স্ট্রোক, হূদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া, ক্যানসার ও শ্বাসকষ্টের মতো অসংক্রামক রোগগুলোর অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান।
বিশ্বে যাবতীয় মৃত্যুর ৬৩ শতাংশের জন্যই দায়ী এ ধরনের অসংক্রামক রোগ। আর সেই মৃত্যুর ৮০ শতাংশই ঘটে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। সব তামাক সেবনকারীর মধ্যে অর্ধেক পর্যন্ত একপর্যায়ে তামাকে সংক্রান্ত রোগে মৃত্যুবরণ করবে বলেও সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে ধূমপানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব টোব্যাকো কন্ট্রোল’-এর (এফটিসিটি) সাফল্যও তুলে ধরা হয়। তবে জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এ চুক্তির পুরো সাফল্য অর্জনে এখনো বেশ কিছু বাধা রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
২০০৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ চুক্তিটি গ্রহণ করার পর এ পর্যন্ত এতে ১৭২টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষরকারী দেশ ও পক্ষগুলোকে অন্যান্য ব্যবস্থার পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপান থেকে লোকজনকে রক্ষা, তামাকপণ্যের বিজ্ঞাপন ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তা বিক্রি বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও দেশের সরকারকে এ চুক্তিতে স্বাক্ষরের আহ্বান জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান বলেছেন, তামাকবিরোধী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে শুধু এতে স্বাক্ষর করাই যথেষ্ট নয়। রাষ্ট্রগুলোকে ধূমপান রোধে প্রয়োজনীয় আইন জারি ও তার কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে একবিংশ শতাব্দীতে তামাকজনিত কারণে ১০০ কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে, যা বিগত শতাব্দীর চেয়ে দশ গুণ বেশি। দ্য ডেইলি টাইমস। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।