আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন ছুটে চল মাটির টানে

সত্য প্রকাশে সংকোচহীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে গ্রীস্মকালীন একমাসের ছুটি। একমাত্র আবাসিক এ বিশ্ববিদ্যালয়টি গত এক বছরে কয়েকটি ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার পরও এমনিতে বন্ধ ছিল না । তাই শিক্ষার্থীরা ছুটে চলছে আপন মাটির টানে। যেখানে মিশানো আছে মায়ের আচলভরা ভালবাসা। দীর্ঘ দিনের এ ছুটিতে তারপরও অনেকে যেতে পারবেনা মাটির সংস্পর্শ নিতে।

কেননা ফাইনাল পরীক্ষা পিছু ছাড়েনি সেসব বন্ধুদের। এ বার ছুটিতে বাড়ি যেতে না পারার কথা বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আসাদুজ্জামান। জুলাইয়ের ২ তারিখে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। এখন যদি বাড়ি যাই তবে পরীক্ষা খারাপ হবে । তাই হলে সারা মাস থাকব।

আবার গনিত বিভাগের নাসিরেরও একই কথা। পরীক্ষা শেষ করি তারপর বাড়ি। আবার অনেকে এ ছুটিটা কে নিতে চান সৃজনশীল কোন কাজ কারার মধ্য ব্যয় করে। আব্দুল্লাহ আল আমিন বা জোবায়ের চায় কোন রির্সাসের অধীনে পুরো মাসটা কাজ করতে। আবার অনেকে ঢাকাতেই কোন কোর্স করতে।

বেগম খলেদা জিয়া হলের শারমিন জানায়,স্কিল ডেভলপমে›টের কোর্স করছি। তাই আর যাওয়া হচ্ছে না। অনেকে আবার এ সময়ে প্রিয় দেশ টাকে ঘুরে দেখতে চান। এতদিন পড়াশোনার চাপে যারা চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শিষের উপর একটি শিশির দেখার সুযোগ পায়নি তারা এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায়। অনিক,পিয়াস,সাব্বির,মুুুুহিন রা ঘুরতে যাবে বিশ্বের সর্ব বৃহত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে।

বন আর প্রকৃতিে সাথে মিশে যাওয়ার এ সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায়না তাদের এ গ্রুপটি। তবে মীর মশাররফ হোসেন হলের জাহিদ অনেকটা হেসেই বললেন ঘুমিয়ে কাটাবো পুরো সময়। কিন্তু যে যাই বলুক বাড়িতে কাঠাল,আম আর লিচুর স্বাদ নিতে বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীই গ্রামের টানে ছুটে চলেছে। সোহান,আবির,মমিতা বা তানভীর সবার এক কথা গ্রীস্মের এ ছুটিতে বাড়ি না গেলে হয় নাকি। মাটির কাছাকাছি যাওয়ার এ সুযোগ এমনিতে কম পায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এ সকল শিক্ষার্থীরা।

এ একটি মাস আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন গুলো মুখরিত হবে না শিক্ষার্থীদের পদচারনায়। প্রোন্তিক গেটে চায়ের কাপের আড্ডা বা টারজান পয়েন্টে সকালেন নাস্তায় জমে উঠবে না তর্ক বিতর্ক । সন্ধ্যার ডেইরি গেট বা রাতের বটতলাকে অনেকটা নিস্প্রভ মনে হতেই পারে। জমে উঠবে না চৌরঙ্গী বা ট্রান্সপোর্টের পিঠার দোকান গুলো। ক্যাম্পাসের চা,বাদাম,সিগারেট বিক্রি করে তাদের নেই কোন ক্রেতা ।

তাই তো তারাও অনেকটা অলস সময় কাটায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট কৌশিক সাহা বলেন আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ গ্রীস্মের ছুটিতে হল বন্ধ রাখার পক্ষে না । হলে অবস্থানরত ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমারা সজাগ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।