আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি আর কহিব লজ্জার কথন!

এত লজ্জা কোথায় রাখি। ফেলানিকে যখন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ফেলনা করে বলেন, ‘বিএসএফের হাতে নিহত ফেলানী বাংলাদেশি নয়। তারা ভারতীয়’, তখন আমার বাংলাদেশী মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে নেমে আসে বুকের উপর। কাঁটাতারের উপর ঝুলে থাকা ফেলানির লাশের ছবি দেখে, চোখ দিয়ে যে অশ্রু গড়ালো, তা কষ্টে নাকি লজ্জায়, বুঝতে পারলাম না। Click This Link সাহারা খাতুন উচ্চশিক্ষিত মানুস, আইন জানা মন্ত্রী।

কি মনে করে তিনি এই কথাগুলো বল্‌লেন, তা আমার আজো বোধগম্য হলো না। তিনি বলেছেন, ‘বিএসএফের হাতে নিহত ফেলানী বাংলাদেশি নয়। তারা ভারতীয়। তার পরও সরকার পরিবারটির জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি নিজে তাদের বাড়িতে গিয়েছি।

’ Click This Link তাঁর কথার ফাঁক ফোঁকরগুলি সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ ভাই ভালভাবে আলোচনা করেছেন, বিধায় ওইদিকে আর আমি পা বাড়ালাম না। ইউ এন (UN)-এর আদিবাসী ফোরামে গিয়ে ইউনাইটেড মিশনে বাংলাদেশের ফার্ষ্ট সেক্রেটারি তামীম ইকবাল বল্‌লেন, ‘বাংলাদেশে নাকি কোন আদিবাসী নেই। ’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও বল্‌লেন জাতিসংঘ যেন এই ব্যাপারে মাথা না ঘামায়, যখন পৃথিবীর হাজার হাজার আদিবাসীর অধিকার নিয়ে ভাবার আছে। Click This Link এত লজ্জা কোথায় রাখি! খবর পড়ার পরে মনে হলো, বাংলা মায়ের আঁচলে মুখ ঢেকে রাখলেও বুঝি এই লজ্জা যাবে না। পরে মনে হলো, আমাদের দেশের মন্ত্রী-মিনিস্টার, সেক্রেটারিরা মনে হয় দেশের কোন খবর রাখেন না।

খবর রাখলে ওয়াসফিয়া নাজনিন যখন মাথা উঁচু করে, গলা তুলে বাংলাদেশের আদিবাসীদের কথা জাতিসঙ্ঘে ঘোষণা দিলেন, তাদের অধিকারের কথা বল্‌লেন, তখন তামিম ইকবাল, উপরের কথাটি কেমন করে বলেন। বড় ইচ্ছে করছিল, সে সময় তামিম ইকবালের মাথা কোথায় নেমেছিল, মুখ কেমন ছিল তা দেখতে। ইউ টিউবের ভিডিওতে তার সেই সময়কার মুখ দেখান হইনি বলে, আমার ইচ্ছেপূরন হলো না। অনুমান করেছি, হয়তো নির্বিকার ছিলো, থাকাটাই স্বাভাবিক। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনার যে কথা বলতে লজ্জা করে না, সেখানে ফার্ষ্ট সেক্রেটারির লজ্জা পাবার আশা করাটাই দুরাশা।

Click This Link সুদূর প্রবাসে থেকে পাহাড়ের আদিবাসীদের দুঃখের কথা শুনে ডেরিখ আশং-এর মন যখন কেঁদে মরে, তিনি তাদের সাথে একাত্নতা ঘোষণা করে বলেন, তিনি এর শেষ দেখতে চান, তখন নিউ ইয়র্কে তামিম ইকবালের ঘোষণা শুনে মনে হয়, আজ বাংলা মা কেঁদে কেঁদে বল্‌ছেন, ‘ছেড়ে দে বাপ, কেঁদে বাঁচি। ’ http://www.youtube.com/watch?v=4vR4iHfPBs8 ছোটবেলায় শুনেছিলাম, ঞ্জানী মানুসেরা নাকি এক্‌টু আধটু পাগ্‌লা টাইপ হন। হতেও পারে, আমাদের দেশের সরকারের তাবৎ লোকেরা অতি ঞ্জানে পাগলপ্রায়। তবে, তাদের অতি ঞ্জানের ভারে, দেশের ভরাডুবি হতে যে বাধ্য তাতে কোন সন্দেহ নেই। হায়রে বাংলাদেশ, হায়রে আমার সোনার বাংলা!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।