আপনারা তেজগাও পাইলিং ধ্বসের খবর কমবেশি জানেন। আমি ঐ এলাকার একজন বাড়ির মালিক। প্রভাবশালিদের কাছে সাধারন মানুষের অত্যাচারিত হওয়ার আরেক উদাহরন এই ঘটনা ।
ইমপালস মেডিকাল এর ভবন তৈরীতে কি অনিয়ম ছিলো তা আশা করি সবাই খুব ভালো বুঝতে পেরেছেন। তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন না করে প্রায় ৫০ ফুট গভির গর্ত করে।
পাইলিং দুরবল হওয়ায় মাটি চলে জেতে থাকে এবং আশপাশের বাসাগুলোর মেঝে দেবে জেতে থাকে। ফলে মেঝে ও চলার রাস্তায় ফাটল ধরে ।
তাদের তখনই জানানো হলে তারা তা আমলে নেয়না। আমরা পুনরায় বললে তারা পেশীশক্তির প্রয়োগ করে। এতে ২৪৩/এ/২১ বাড়ির মালিক,তার ছেলে ও ছেলের বন্ধু আহত হয়।
এর প্রায় ২৫ দিন পর তারা কোন কথা না বলে আমাদের সিটি করপোরেশনের রাস্তা ভাংতে শুরু করে,মহল্লাবাসী এক হয়ে তা প্রতিহত করে। কিনতু তারা এরপরও তাডের কাজ চালিয়ে যায় এবং সেদিন রাতেই দুরঘটনা ঘটে।
রাত ১১:৪৫ মিনিটে প্রথম উত্তর দিকের পাইলিং পড়ে যায় এবং সংলগ্ন সোয়ানটেক্সের একটি দেয়াল ধ্বসে পড়ে। তখন এলাকাবাসী ভয়ে রাসতায় বেরিয়ে আসে এবং ফায়ার সারভিসের লোক ৫ তলা বাড়ি দুটো খালি করার নির্দেশ দেয়। সারারাত উৎকন্ঠায় কাটার পর ভোর ৪ টায় ১৫ ফুট রাস্তা ও দুটি বাড়ী ধ্বসে পরে।
বিলীন হোয়ে যায় দুটি সাজানো সংসারের সবকিছু।
রাত ৩ টার দিকে যখন আমি একটি বাড়ি থেকে তাদের মালামাল বের করায় সাহায্য করছিলাম তখন হঠাৎ পায়ের নিচের মাটি কেপে উঠে এবং আমরা সবাই সে অবস্থায়ই বেরিয়ে আসি। আর কোন সাহায্য আমি তাদের করতে পারিনি। ২০ মিনিট পর গিয়ে দেখলাম শুধুই ধ্বংসস্তুপ।
এরপর অনেক কিছু হয়েছে কিন্তু আমাদের সাধারন জীবন ফিরে আসতে আরো অনেক দেরী।
আজ এতটুকুই থাক। আরেকদিন এরপরের ঘটনা শেয়ার করবো। আমি একটুর জন্য বেচে গিয়েছি। আমার বাড়িটির কিছু হয়নি। কিনতু কোন সুবিধা যেমন:পানি সরবরাহ,বিদ্যুৎ সংযোগ,গ্যাস,স্যুরেজ কিছুই নেই।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই। দোআ করবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।