আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়েম্বলি প্রস্তুত। প্রস্তুত মেসি রুনি। রুপালি কাপের লড়াই হবে গার্দিওয়ালা ফার্গুসনের মধ্যও।

স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলতে চাই....... কে জিতবে এই রুপালি ট্রপি?? জানতে অপেক্ষা করুন আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। এসে গেল ২৮ মে, মুখোমুখি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বার্সেলোনা। আর মঞ্চের কথা সবার জানা, ওয়েম্বলি; যেখানে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। কে পরবে ইউরোপ সেরার মুকুট, সেটাই এখন দেখার বিষয়। জয়ের পাল্লা অবশ্য বার্সার দিকে ঝুঁকে আছে, সেটাই স্বাভাবিক।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দু'দল খেলেছে ১০ বার। বার্সা জিতেছে ৩ বার। হেরেছেও ৩ বার। কিন্তু এ বছর বার্সা যে অন্য গ্রহের ফুটবল খেলছে, তার সামান্য ঝলকও যদি দেখা যায় ওয়েম্বলিতে, তাতেই হার মানার কথা ম্যান ইউ'র। গার্দিওয়ালা নাকি ফার্গুসন?? তবে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের দলও কম নয়।

কাগজ-কলমের হিসাব উড়িয়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হওয়ার পরও ম্যান ইউ এবার হয়েছে ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) চ্যাম্পিয়ন। প্রতিটি খেলায় ফার্গুসনের এক এক রত� তার আলো ছড়িয়েছেন। কোনো দিন ওয়েন রুনি জ্বলে উঠলে পরের দিন যেন বারবাতভের জন্য বরাদ্দ হয়ে যায়। আর কখনো দল হিসেবে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষের সামনে পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে যান গোলরক্ষক এডউইন ফন ডার সার। বার্সার বিপক্ষে ওয়েম্বলির ফাইনালই হবে ফন ডান সারের শেষ ম্যাচ।

৪০ বছরের বয়সে নিজের ফুটবল-জীবনের শেষ খেলায় তার বিশ্বস্ত হাতের সামর্থ্য আরেকবার তুলে ধরতে চাইবেন তিনি। লিঁও মেসি নাকি ওয়েন রুনি? যুদ্ধের যে দামামা বাজছে, তার পেছনে রুনি-মেসি দ্বৈরথের সঙ্গে ফার্গুসন-পেপ গার্দিওলা দ্বৈরথও কম অবদানও রাখছে না। দু'জনই নিজ নিজ জায়গায় অসামান্য এবং দৃঢ়। ফার্গুসনের অভিজ্ঞতার কাছে পাত্তা হয়তো পাবেন না গার্দিওলা, কিন্তু বার্সাকে এক সুতোয় গেঁথেছেন তিনি। ম্যান ইউ চাইবে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতে।

আর বার্সার ইচ্ছে ২-০ গোলের জয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটানো। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ২৭ গোল করেছে বার্সা, যার ১১টাই আবার লিওনেল মেসির। ম্যান ইউও কম যায় না, টানা ১২ ম্যাচে অপরাজিত তারা। গোল হজম করেছে মাত্র চারটি। ২০০৯ এর মত কি এবারও পুয়োলের হাতে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রপি? চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা চার মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছে রেকর্ড গড়েছে ম্যান ইউ।

শেষবার হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ২০১০ সালের মার্চে। অপরাজিত থাকার রেকর্ড আরেকটা খেলায় অক্ষুন্ন রাখলেই রেকর্ডের পাতায় আরেকবার স্থান করে নেবে দলটি। ম্যান ইউয়ের ৪-৪-১-১ ছকে খেলতে পারে। আর গার্দিওলার পছন্দের ছক ৪-৩-৩। আজ ফাইনালের ভাগ্যাবান মাঠ ওয়েম্বলি।

ওয়েম্বলির নতুন মাঠে আজ নতুন ঝড় দেখবে বিশ্ব। চোট নিয়ে কোনো দলে সমস্যা নেই। এখন শুধু আসল যুদ্ধের অপেক্ষা। কে জিতবে, তা সময়ের হাতে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। খেলাটার নাম ফুটবল।

এখানে ইতিহাস এবং কাগজ কলমের শক্তির চেয়ে মাঠের লড়াই-ই আসল। সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।