www.adityaanik.com
লাবণ্যদের বাড়ি
আদিত্য অনীক
ওটা কাদের বাড়ি? আবছা দুরে পাহাড়তলীর পাশে?
লাবণ্যদের। যে মেয়েটা রৌদ্র ছায়ায়
ছাদে উঠে দিন দুপুরে চাঁদ দেখতে আসে।
তাই নাকি? ঠিক বলছ? এখনো যায় ছাদে?
আরে নাহ্ ! পুরান কথা। এখন কি আর সেদিন আছে?
বুকের উপর এখন কি আর জোড়া বেণী বাধে?
তখন ছিল মস্ত আকাশ, হাওয়ার ফাঁকে
ঝিলিক চোখে হালির বাঁকে সাগর দেখা যেতো।
ছিচকাঁদুনে বলাকা মেঘ হঠাৎ হঠাৎ
হাওয়ায় ভেসে উড়ে এসে
ঢেউ খেলানো লাবণ্য মন ভিজিয়ে দিয়ে
খিলখিলিয়ে রোদ ফুটিয়ে
খানিকটা রূপ লুটেপুটে খেতো।
জল চুবানো লাবণ্য মন লাজ জড়তা সংগে নিয়ে
লাবণ্যতা ছড়িয়ে দিয়ে, নিজের মধ্যে মনে মনে
লুকিয়ে যেতো ঘরের কোনে।
আমরা তখন কোকিল বেলায়,
রেল কলোনীর বকুল তলায়
গুলতি মেরে বকুল ঝরাই, পলাশ ঝরাই,
কোকিল তাড়াই বনে বনে।
কোকিল কি আর পালাতে চায়?
এ গাছ থেকে ও গাছে যায়
বাতাস কেটে ঘুরে বেড়ায় পাড়ার হাওয়ায়।
ভরা কলস লাবণ্যতা ঘরের দাওয়ায়
গড়গড়িয়ে এলিয়ে পড়ে ডেলা চোখে পদ্ম ভাসায়
কোকিল তখন হুপিং কেশে, পাখ গুটিয়ে বসতো এসে
ভরা কলস জলের নেশায় লাবণ্যদের ঘরের উপর
শিরিষ গাছের ছায়ায়।
লাবণ্যরা এখন তবে কোথায় থাকে?
ছাদে কি যায় ভরদুপুরে মেঘের ডাকে?
সন্ধ্যা গেলে চাঁদ থেকে কি জোসনা ডেকে আনে?
আরে নাহ্ ।
বোকা ছেলে। বাজার অর্থনীতির কালে
ওসব কিছুর এখন আর হয় না কোন মানে।
একদিন এক শীত সকালে
কালো কোকিল পাখনা মেলে
লাবণ্যকে পিঠে তুলে
উড়ে গেল দূরে কোথাও, হাওয়ায় দুলে,
অন্য দূরের সুখের টানে,
অনেক দূরের মিশিগানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।