পেটে মানবভ্রূণ সদৃশ্য টিউমার বহনকারী বগুড়ার আবদুল মালেকের দেহে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) সার্জারি বিভাগে তার দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর মালেক সুস্থ আছে। দুপুরে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, হাসপাতাল পরিচালক ব্রি. জেনারেল আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া, সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ সিরাজুল করিম, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জুলফিকার রহমান খান, অধ্যাপক এএইচএম তৌহিদুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদসহ এ অস্ত্রোপচারের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক সৈয়দ সিরাজুল করিম জানান, দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ মানবভ্রূণ সদৃশ টিউমারটি আবদুল মালেকের পেটে ছিল। এটি তার মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ে কোন না কোনভাবে তার পেটে প্রবেশ করে। তবে এটি পুরোপুরি কোন মানবভ্রুণ নয়, মূলত একটি টিউমার। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ফিটাস ইন ফিটো।
তিনি জানান, আজ সকাল ৮টায় মালেকের দেহে অস্ত্রপচার শুরু করা হয়।
এটি শেষ করতে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে। ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এ অস্ত্রোপচারে অংশ নিয়েছে। বিশ্বে এ ধরনের ১০০টি ঘটনার নজির আছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি দ্বিতীয় ঘটনা। ৬ বছর আগে এখানে এ ধরনের আরো একটি অস্ত্রপচার হয়েছিল বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে আবদুল মালেক পেটে ব্যথা নিয়ে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথমে চিকিৎসকরা এটিকে টিউমার বললেও পরবর্তীতে ২ মে সিটিস্ক্যান করে মানবভ্রূণের অস্তিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ'র মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। ১৮ মে তাকে মেডিসিন বিভাগ থেকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।