কোয়েল পাখি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মীর কামরুল ইসলাম। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চণ্ডিপুর বাজারসংলগ্ন পার্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে সহায়-সম্বল বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু এতেও তার জীবনের চাকাকে উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করেনি। ফলে তিনি ২০০৯ সালের শেষদিকে দেশে ফিরে আসেন।
অসহায়ভাবে দেশে ফেরার পর কি করবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। এমন সময় তার এক আত্মীয়ের পরামর্শে যশোরের বার্ড প্যালেস হ্যাচারি থেকে একদিন বয়সের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোয়েল পাখির বাচ্চা প্রতিটি ৫ টাকা দরে কিনেন। পাখিগুলো বেড়ে উঠায় এখন সে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার ডিম পায়। তিনি বলেন, ১৫০০ ডিম ২,০০০ টাকা ও ৩০ থেকে ৩৫ দিনের পুরুষ কোয়েল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, স্ত্রী কোয়েল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হয়। এভাবে সে প্রতিদিন খরচ বাদে দুই হাজার টাকারও বেশি আয় করে থাকে।
কামরুল ইসলাম আরও জানান, এক বছরের খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার মতো আয় হয়। বর্তমানে তার ফার্মে ৭ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে। প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জসহ আশপাশের শহরগুলোতে কামরুল তার নিজের ফার্মে চাষ করা কোয়েল পাখি ও ডিম বিক্রি করে থাকে। কোয়েল পাখির মাংস খেতে খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। যে কারণে কোয়েল পাখির মাংস ও ডিমের প্রতি মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
মাত্র ৩০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে তার এ ব্যবসা শুরু হয়। বর্তমানে তিনি আর্থিক অসচ্ছলতা কাটিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছেন। পাশাপাশি হয়েছেন স্বাবলম্বী। আগামী দুই এক মাসের মধ্যেই এই কোয়েল পাখির চাষ করে তার প্রতি মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা আয় হবে বলে তিনি আশা করছেন। তিনি মনে করেন, বিদেশে প্রবাস জীবন বা চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে অল্প পুঁজি খাটিয়ে অতি সহজেই কোয়েল পাখির চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে দেশের বেকার যুবক-যুবতীরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।