লেখা তো যায় ই , ভাল লেখা হয় না আর কি ;) ট্যানগ্রাম, যেন সাতটা টুকরো দিয়ে সারা পৃথিবী মোড়া। একধরনের চীনা ধাঁধা বা পাজল্ যা দিয়ে পৃথিবী অধিকাংশ জিনিসের আকৃতি দেওয়া সম্ভব। এটা আমার কথা না, চীনারা এটা দাবী করে। ট্যানগ্রাম কবে প্রথম চালু হয় সে বিষয়ে জানা যায় নি, তবে ১৮১৩ সালের দিকে চীনা একটা বইয়ে এই ট্যানগ্রামের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রথম অবস্হায় এটা শিশু ও মহিলাদের জন্য একধরনের সময় কাটানোর খেলা হিসেবে প্রচলিত ছিল।
ট্যানগ্রাম
ট্যানগ্রাম হল বর্গাকৃতি কাগজকে কেটে নির্দিষ্ট আকারের সাত টুকরো করে এই সাত টুকরো দিয়ে বিভিন্ন মজার জিনিসের আকৃতি দেওয়া। কি করা যায় না মানুষ, পশু-পাখি, গাছ, ঘর-বাড়ী, গাড়ী আরোও অনেক কিছু।
ট্যানগ্রাম পাজল্ টি পৃথিবী জোড়া জনপ্রিয় করেন স্যাম লয়েড নামের আমেরিকান পাজল্মেকার ও দাবা খেলোয়ার। স্যাম লয়েড তার বই The 8th Book of tan তে এই ট্যানগ্রামের কথা উল্লেখ করেন। বইয়ের লেখা অনুসারে ট্যানগ্রাম প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বে ট্যান নামের এক গড্ বা দেবতা উদ্ভাবন করেন।
এই বইয়ে তিনি প্রায় ৭০০ ট্যানগ্রামের আকৃতি দেখান।
এর আগে উনবিংশ শতকে চীনের সাথে ইউরোপ ও আমেরিকার নৌ বানিজ্য থাকায় পশ্চিমান্চলেও এর প্রচলন শুরু হয়। উইকি অনুসারে আমেরিকান বণিক ক্যাপ্টেন এম. ডোনাল্ডসন প্রথম ট্যানগ্রামের ধারনা আমেরিকায় নিয়ে যান ১৮১৫ সালের দিকে।
ট্যানগ্রাম নিয়ে অনেক রকম প্যারাডক্স প্রচলিত আছে। স্যাম লয়েড এই প্যারাডক্সের অবতারনা করেন।
নিচের আকৃতি দুটো লক্ষ্য করুন-
দুটো আকৃতিই ট্যানগ্রামের সাত টুকরো দিয়ে করা হয়েছে এবং আকারও সমান কিন্তু দ্বিতীয়টির একটি কর্ণার মিসিং!!!
আরও একটি প্যারাডক্স নিচে দেখুন-
দুইটা আকৃতি একই আকারের সাত টুকরো দিয়ে এবং আয়তনেও সমান কিন্তু প্রথমটা পা কই!!!
নেটে খুঁজলে আরও এরকম প্যাটার্ন ও প্যারাডক্স পাবেন। তো বসে থেকে আর কি করবেন। কাগজ কেটে শুরু করে দেন এই মজার খেলা আর যারা এই কষ্টটুকু করতে নারাজ তারা ভার্চুয়ালি খেলতে পারেন। অনলাইনে খেলতে এখানে দেখতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।