আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনসমর্থনে আরো এগিয়ে ইমরান খান

বৃহস্পতিবার রাজধানী ইসলামাবাদের নির্বাচনী সমাবেশে ইমরানের অনুপস্থিতিতেও জড়ো হয় তার ৩৫ হাজার সমর্থক।
নির্বাচনী সমাবেশে মঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে আহত ইমরান খান চিকিৎসাধীন থাকায় ইসলামাবাদের সমাবেশে উপস্থিত হতে পারেননি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা করেন তিনি। এ সময় তিনি শনিবারের নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণকে ঘর থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান।
ইউরেশিয়া গ্রুপের ঊর্ধ্বতন সম্পাদক শামিলা চৌধুরি বলেন, ইমরান খান এর আগে পার্টি সংগঠকদের অভাবে প্রচারাভিযানের চালানো এবং প্রাদেশিক পর্যায়ের সমাবেশে উপস্থিত থাকা নিয়ে সমস্যায় ছিলেন।

কিন্তু সেচ্ছাসেবকদের নেটওয়ার্ক তৈরি করে তিনি সে সব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ওই নেটওয়ার্কই তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে ব্যাপক গণসংযোগ কর্মসূচি চালিয়েছে এবং জনসমাবেশ করেছে।
বৃহস্পতিবারও বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষ হয় মধ্যরাতে। ওদিকে, লাহোরের এক বিশাল সমাবেশে বক্তৃতা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এর মধ্য দিয়ে এদিন দেশটির নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়।

শনিবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে।
এবারের নির্বাচনে আবার নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে এরইমধ্যে কোনো কোনো গণমাধ্যমে জল্পনা রয়েছে। তবে, সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইমরানের তেহরিক-ই ইনসাফ শতকরা ২৪.৯৮ ভাগ ভোট পাবে।
জরিপের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারাদরির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা (পিপিপি)। আর নওয়াজ শরীফের মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সামান্য ব্যবধানে তালিকার শীর্ষে রয়েছে।


তবে, এরইমধ্যে ইমরানের জনসমর্থনের পাল্লা ভারি হওয়ায় তার দল নির্বাচনে ভাল ফল করবে এবং জোট সরকার গঠন নিয়ে কয়েকসপ্তাহের দরকষাকষি চলতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এক সজরিপে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে, এবারের নির্বাচনে পাকিস্তানের প্রধান তিনটি দলের কোনোটিই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। আর নির্বাচনে কোনো দল পরিষ্কারভাবে জয়ী না হলে ইমরানের দলই শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার অবস্থানে উঠে আসতে পারে।
পাকিস্তানে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও তাদের ভোট দলে টানার একঘেঁয়ে পদ্ধতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন ইমরান খান।
আর তাই তাকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসাবে ভোট দিতে চাইছেন অনেকেই।

ভোটারদের অনেকেই বলছেন, অন্যান্য নেতাদের কয়েকবার পরীক্ষা করা হয়ে গেছে। তারা কেউই কাজের নয়। আর তাই তালেবান হুমকি উপেক্ষা করেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ইমরানকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন ভোটাররা।
ভোটাররা জাতীয় পরিষদের ২৭২ আসনের সদস্য নির্বাচন করবেন। আর নির্বাচনে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোনো দলকে পেতে হবে ১৩৭ আসন।

তবে ৭০ টি আসন নারী ও অমুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ থাকায় মোট ৩৪২ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দলকে ১৭২ টি আসন জিততে হবে।
ইমরান খান সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তরুণ ও শহুরে ভোটারদের মধ্যে। দুর্নীতির অবসান ঘটানো, নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং পাকিস্তানের মাটিতে চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) হামলা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসমর্থন কুড়িয়েছেন ইমরান।
প্রথম দিকের জনমত জরিপগুলোতে ইমরানের দল পিটিআই এর জনসমর্থন অনেক কম একের অঙ্কের ঘরে থাকলেও সর্বশেষ জনমত জরিপে এ সমর্থন অনেকাংশে বেড়েছে। জাতীয়ভাবে দলটি ২৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ ভোট পাবে এমনটিই দেখা যাচ্ছে জরিপে।

যা নওয়াজ শরীফের দলের জন্য অনুমিত ভোটের চেয়ে সামান্য কম।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।