ইদানিং সালাদ খাচ্ছি নিয়মিত। নিজেই বানাই। নিজেরই রেসিপি। আমার বউতো বেজায় ক্ষেপা, শুধু সালাদ খাই বলে। একবার তাকায়া দেখেওনি যে, কি খাচ্ছি, কি দিয়ে বানাচ্ছি, কি সমাচার।
সেদিন যখন বানালাম মাত্র, বউ থামলো, একবার দেখলো, এক চামুচ খেলো, 'ওয়াও!' বললো, পুরো বাটি ছিঁনিয়ে নিলো। আমার জন্য কিছুই রইলনা বাকি।
আরেক বাটি বানাতে লাগলাম, নিজের জন্য অবশ্যই। বন্ধুরা, আপনাদের লোভ দেখাবার জন্য এখানে এক বাটি দিলাম।
(১) ছাল/ছিলকা না ছিলে শশা কুচি করে কাটুন।
তবে তার আগে খুবি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কারন ছাল না ছিলতে বলেছি। ছাল ছিলে ফেললে বেশী নরম নরম লাগবে আর খেতে অতোটা মজা লাগবে না।
(২) বারবিকিউ ফ্লেভারের চানাচুর অথবা যে কোন ঝাল চানাচুর যোগ করুন।
(৩) রান্না করা মাংস ও তার একটু ঝোল নিন।
মাংসের টুকরা ছোট করে নেবেন কিন্তু। ছবিতে যে মাংস দেখছেন সেটা অবশ্য জলপাই আঁচার দিয়ে রান্না করা। তাতে সালাদের মজাটা ৫গুন বেড়ে যায়।
(৪) মাখানো শুরু করুন।
(৫) আর দেরী না করে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই খেয়ে শেষ করুন।
নইলে নরম হয়ে মজাটা রইবে না আর।
বাড়তি কাঁচা লবন দেবার দরকার নেই একদম (এই কথাটা অবশ্য আমার কলিগ আরিফিনকে বলছি)। তাতে শশা থেকে পানি উঠবে আর মজাটা আরো নষ্ট হয়ে যাবে। যেহেতু চানাচুর আছে, তাই পেঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদির প্রয়োজন নেই। একটা মাঝারি শশায় এক কাপ চানাচুর যথেষ্ট।
ঝোল ৩ টেবিল চামুচ। মাংস আধা থেকে এক কাপ। লেবুর রস দিয়েছিলাম কয়েক ফোঁটা, তাতে খুব একটা মজা লাগেনি। বরং সামান্য কিছু লেবুর ছিলকা (ছালের কুঁচি) মেশাতে পারেন।
নিজের জন্য যখন সালাদ বানানো শেষ হলো, ততক্ষনে বউএর খাওয়া শেষ।
বুঝতেই পারছেন তারপর আমার কপালে কতুটুকু ছিলো।
আমার ফটোব্লগ এখানে http://leelens.wordpress.com/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।