সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
গত ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে পাকিস্তানী মিলিটারি একাডেমি থেকে মাত্র ৭শ' মিটার দূরে আবোত্তাবাদের একটি বাড়িতে মার্কিন কমান্ডোদের অভিযানে বিন লাদেন নিহত হন। এটা মার্কিনীদের দাবী। তবে লাদেনের মৃত্যু নিয়ে অনেক গুজব, সন্ধেহ দানা বেধেছে। এই সন্ধেহ ও গুজব এখন ডাল পালা বিস্তার করে মহিরুহুতে পরিণত হয়েছে। আলকায়েদার পক্ষথেকে লাদেন মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হলেও কিভাবে লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে, কোথায় তার লাশ দাফন করা হয়েছে, আদৌ তার লাশ দাফন করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সন্ধেহ।
সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, লাদেনের মৃত্যু নিয়ে মার্কিনীরা যে গল্পের অবতারণা করেছে তা সত্য নয়। তিনি বলেন ওসামা বিন লাদেন আমেরি কার সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত হবার আগে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দী ছিলেন। তার কাছে নির্ভর যোগ্য তথ্য রয়েছে যে বিন লাদেন মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি তাদের কারাগারেই বন্দী ছিলেন। তারা তাকে অসুস্থ্ করে ফেলে এবং অসুস্থ্ অবস্থায় তাকে হত্যা করে। তার দাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য আল-কায়দা নেতার মৃত্যুর কথা ঘো্ষণা করেন।
বারাক ওবামা যা করেছেন তা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই করেছেন। তার নতুন পরিকল্পনা লাদেনের স্থানে অন্য কাউকে প্রতিষ্ঠিত করে নতুন স্বার্থ হাসিল করা। পশ্চিমাদের মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড দমনের অজুহাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবতা লঙ্ঘনের ঘোর বিরোধী ছিলেন লাদেন। তবে তার প্রতিবাদের ভাষা ইসলাম কখনো্ই সমর্থন করেনা।
তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে লাদেন অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে।
লাদেন মারা গিয়েছে এবং তার প্রতিপক্ষ পশ্চিমা শক্তি সমগ্র বিশ্বকে অলিখতি ভাবে শাসন/শোষণ করেছেন এর কোনটি ভাল, তিনি স্বর্গ না নরকে নিক্ষিপ্ত হবেন তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।
তবে বিখ্যাত ও আলোচিত গ্রন্থ অ্যা ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম-এর লেখক স্টিফেন হকিং সম্প্রতি লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে মৃত্যুপরবর্তী জীবন ও স্বর্গ সম্পর্কিত বিশ্বাসকে রূপকথা আখ্যা দিয়েছেন।
ক্যামব্রিজ বিশ্ব-বিদ্যালয়ের বিশ্বখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর বিবেচনায় স্বর্গ অথবা নরক হচ্ছে মৃত্যুভীতিতে আক্রান্ত মানুষের বানানো গল্প। মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশগুলো নষ্ট হয়ে গেলে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। নষ্ট কম্পিউটারের কোন পরকাল নেই, কম্পিউটারের জন্য কোন স্বর্গও অপেক্ষা করছে না।
পরকাল-স্বর্গ এগুলো অন্ধকারকে ভয় পায় এমন লোকদের জন্য তৈরি রূপকথা। হকিং মৃত্যুপরবর্তী জীবনের ধারণা বাতিল করে দেন এবং মৃত্যুর জন্য ভীত না হয়ে জীবনের সামর্থ্যকে পরিপূর্ণরূপে বিকশিত করে এর অর্থপূর্ণ ব্যবহারের ওপর জোর দেন।
দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত ৪৯ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী বলেন, যে মুহূর্তে মস্তিষ্কের কার্যক্রম থেমে যায় সেই মুহূর্ত থেকে আর কিছুই থাকে না। হকিং ২১ বছর বয়স থেকে ওই রোগে ভুগছেন। তিনি বলেন, অল্প বয়সে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আমি ৪৯টি বছর পার করেছি।
মৃত্যু ভয়ে আমি ভীত নই, মারা যাওয়ার কোন তাড়াও আমার নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।