আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিকন্সিলিয়েশনের রাজনীতিঃ মাইনরিটির ডাইভার্সন

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো অতি বিপ্লবীরা বলসিল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার এখনই সময়। আমি বললাম, জামাত একলাই ধর্মভিত্তিক না। চুইয়া ভুইয়া নাম না জানা ১২দলের মাদ্রাসারে ক্ষেপাইলে যে আন্দোলন করবে ঐটা শাহবাগ আর শাহবাগের বাপ মিলাও সামলাইতে পারবে না। পুলিশ, র‍্যা্‌ মরিচগুড়া পার্টি দেখায়া বলসিলেন "কুচু নেহি হোগা" এরপরে তারা টুপি মাত্রই জামাত মনে কইরা মাদ্রাসা-মসজিদের মুসল্লী পিটিইলো। হাঙ্গামা ট্যাকেল দিতে মঞ্চ হামদ নাত গীতা পড়ানো শুরু করলো।

'ইয়ে, আমরা আসলে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে নই'- এইতো লাইনে আসছেন। আসছি যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে, খুন ধর্ষন গনহত্যার বিচার করতে। বাংলা পরীক্ষা দিতে আইসা ধর্ম পরীক্ষার সিলেবাস দাগাচ্ছেন কেন? মঞ্চে আলেম আইনা কাফের মুরতাদ ঘোষনা দিতেছে তরুন প্রজন্ম? নাউজুবিল্লাহ। এরা কারা? আবারো ধর্মের উস্কানি বিতরন কোন আক্কেলে? ওই কাজ মোল্লারা ভাল পারে, সরকার বাবুরা না। এরমধ্যে ফরহাদ মাজহারের "চান দেখা শ্রেণীসংগ্রাম" গ্রামের মানুষ নিয়া থানা পুলিশের উপরে হামলা করলো।

সাধারন মানুষ, জামাত, পুলিশ মরলো। পুলিশের পোষাক দেইখা পক্ষ-বিপক্ষের লাশ গুইনা দেখলাম, আমরা উইন কর্সি। যেন ধাক্কায়া জামাতরে বার বার সাধারন মানুষের সাথে বা সাধারন মানুষরে জামাতের সাথে মিশানোর মিশনে নামসি। এইটা কি জামাতকে শক্তিশালী করতেছে না? সরকারী দল লাশের পাহাড় দেখায়া কয় 'বিরোধীদল দায়ী, আগেই কইসিলাম সিঙ্গাপুরের সিগন্যাল ভালো না' দেশের সর্ববৃহৎ বিরোধীদলের নেত্রী সিঙ্গাপুরী ট্রিটেমেন্ট নিয়া দেশে আইসা বললেন-এই ট্রাইব্যুনাল ভালো না। কিন্তু নিজের গণতন্ত্র মঞ্চের খোজ নিলেন না।

শাহবাগরে যেই তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলন, দ্রব্যমুল্য, হলমার্ক আন্দোলনের টেন্ডার দিতে চাইসিলেন - সেগুলার কথাও বললেন না। আমরা বুঝলাম রাজাকার বিচারের ইস্যুটা উনার কাছেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। তেল নাই-নুন নাই-তত্ত্বাবধায়ক নাই আন্দোলনের উসিলা মাত্র। উনাদের ইস্যু দিতেই যেন বিএনপির সমাবেশে জামাতের মিছিল ঢুকতে পুলিশের গুলি। ক্যানো বাবা, জামাতের লোকে বিএনপির বাণী শুনলে তোমার ক্ষতি কি? ওরা বিএনপিরে ককটেল মারবে? মারুক, তোমার এই আলগা দরদের হেতু কি? ইত্যবসরে আমরা যখন বেলুন মোমবাতি নিয়া ছাগুনিধন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ব্যস্ত ছিলাম, তখন কিছু লাশ পড়ে গেল।

সাক্ষীদের গুম হত্যা হলো। আমরা মোমবাতি রাইখা আগরবাতি নিয়া আমরা জপ করলাম 'ফাসী চাই ফাঁসী চাই, সাক্ষীরা কেউ বাড়িত নাই' বাড়িতে থাকবে ক্যামনে? হিন্দুদের বাড়ি, মন্দির ক্যান পুড়াইসে? কারণ হিন্দুরাই অধিকাংশ সাক্ষী। কিন্তু আমরা আমলে নেই নাই। পত্রিকাওয়ালারা শিখাইসে 'সংখ্যালঘুদের উপর হামলা'। আমরা বললাম।

'ছিঃ তোরা সাম্প্রদায়িক। আমরা বেটার মুসলিম। হিন্দু মন্দির পাহাড়া দেই নামাজ পইড়া'। এইদিকে সাক্ষীরা যাইতেছে উইড়া উইড়া। এরপরে সাঈদির ১৩৮ জন সাক্ষীর ১১০জন পালায়ে গেল।

তখনও অতিবিপ্লবীরা অবিচল। আমাদের একটাই সাক্ষী লাগবে। একটাই দাবি "ফাঁসী চাই। ফাঁসী চাই। এখন কি করি উপায়" এরপরে যখন সাকার মুসলমান সাক্ষী মারা গেল, গোলাম আজমের মুসলমান সাক্ষীর ভাই মইরা গেল- আমরা বুঝলাম সাক্ষী মারতেছে।

কেউ কিন্তু বলে নাই 'সংখ্যাগুরু মারতেছে'। এখন বুঝতে পারছেন জনাব, ফরহাদ মাজহার, মাহমুদুর, থাবা ছিল ডাইভার্সন। আসল লড়াই ট্রাইব্যুনালে। সেখানে আমরা ঠেঙ্গা প্রসিকিউশন দিয়ে দেশি বিলাতি ব্যারিস্টারের ডিফেন্সের সাথে অসম লড়াই চালাইতেছি ২ বছর। ছোট সরকার ও বড় সরকারের সেদিকে খেয়াল নাই।

রায়ে শুধু ফাঁসী চাই। আঁতাত হলে রক্ষা নাই। সরকার আমার মাসতুতো ভাই। এখন দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধরে আলোচনায় আসতে বলতেছে দেশে বিদেশের মোড়লরা। এই আলোচনা কার সাথে কার? বিএনপি-আওয়ামী লিগ? বিএনপি-লীগ জোট কি জামাত-জাপারে বিরোধীদলে ফেলায়া চাইপা ধরবে? -দাদা আপনি বড় পাগল আছেন।

লীগ-বিএনপি কোয়ালিশন? হাহা। তাইলে এই আলোচনায় কি হবে? আলোচনার টেবিলে বসায়া ওরা আর কতবার ২৫ মার্চ আনবে বাংলাদেশ? এতদিন গুম-হত্যা-গুপ্ত হামলা করসে। আবার আলোচনার টেবিলের নিচে দিয়া অস্ত্র আনাতেছে। কার সাথে রিকনসিলিয়েশন মারাও? দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ অস্ত্রছাড়া হবে না। ওদের অস্ত্র আসতেছে সীমান্ত দিয়া।

আর আমাদের শান্দার অস্ত্র ব্যারাকে মুড়ি ভাজতেছে। এই হইলো ট্রাইবুনালের ভিতরে আর বাইরে আমাদের লড়াই, শাহবাগে দাঁড়াইয়া করি মিডিয়ার বড়াই। হেইল গনজাগরন, হেইল বিপ্লব। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.