আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শত বর্ষ পরের নৈবেদ্য

আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?

তুমিহীন প্রতিটি চৌতারায় লাউয়ের বাউশ থেকে ভালবাসার কান্না উঠে এসে উজিয়ে ধরে গীত বিতানের সুর। কাঁদে ‘গীতাঞ্জলী’র টৌড়ি উহু উহু। কাঁদে ‘রক্তকরবী’। শিয়রের কাছে পাতা ভাঁজ করা তোমার উপন্যাস ’গোরা’ কাঁদে ’ঘরে বাইরে, ‘নলিনী’ ‘চিত্রাঙ্গদা’ সব কেঁদে কেঁদে একাকার। পড়ে থাকে ১৯১৩ সালের নোবেল পুরস্কারের উপমান।

দেখি ‘ভানুসিংহের পদাবলী’ পড়ে আছে গ্রন্থাগারে- আত্মরচিত তোমার। অশ্রুত্ব সিদ্ধির জলজ মৌজায় দেখি ‘চিত্রা’ তোমার বর্ণে বর্ণে চিত্রার্পিত। দেখি ‘কড়ি ও কোমল' চিন্তা মনি- অভীষ্টদায়ক। যে রতন তোমাকে পোস্টমাষ্টার জেনে খুজেছিল নদীর অন্তরাত্মার কাছে আমি তাকে দেখিনি কখনও। আমার যাওয়া হয়নি অসুস্থ ফটিকের ঘরে।

অপুর ঘরে হৈমন্তীকে দেখতে যাওয়া হয়নি আশঙ্খনীয় সন্ধ্যায়। রবিবাবু তোমার জন্মের শতবর্ষ পরে জন্মেছিলাম আমি এ সবুজ বাংলায়। আমি ১৯৮১ সালের নবজাতক- তোমার খেয়ায় চড়ে ভাসতে ভাসতে এসেছি নিমগ্ন জলের ভৈরবে। দূরে চলে গ্যাছে স্রোতের ঠোঁটে ধরা তোমার ‘সোনার তরী’। তুমিহীনতায় আজ কাঁদে হরিত নেত্রতারায় নির্বন্ধ বাংলাদেশ।

(বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ্শত জন্মবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার প্রতি উতসর্গকৃত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।