এই সময়ের জনপ্রিয় মিউজিশিয়ন ফুয়াদ বিয়ে করেছেন। কনে আমেরিকা প্রবাসী মায়া। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ফুয়াদের বারিধারার এপার্টমেন্টে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আগের প্রেম ও পারিবারিক জটিলতার কারণে ফুয়াদ বিয়ে করার বিষয়টি আপাতত গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। ফুয়াদের খুবই ঘনিষ্ঠজন তার বিয়ে করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে ফুয়াদ ও মায়া তার আগেই উড়াল দিয়েছেন আমেরিকার পথে।
চলচ্চিত্র নায়িকা দিতির কানাডা প্রবাসী মেয়ে লামিয়ার সঙ্গে ফুয়াদের ছিল দীর্ঘদিনের প্রেম। বছর দুয়েক হলো তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। সম্পর্কের জটিলতার কারণ ফুয়াদের গানের ফ্যান মায়া। ফুয়াদ আমেরিকা থাকাকালীন সময়ে মায়ার সঙ্গে গড়ে উঠে ঘনিষ্ঠতা।
ফুয়াদ দেশে ফেরার পর আমেরিকা প্রবাসী মায়ার সঙ্গে ফেসবুক আর ফোনে প্রেম চালিয়ে যান। এপ্রিলের শুরুতে মায়া তার পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। যা ছিল ফুয়াদের ধারণার বাইরে। মায়ার চাপাচাপিতেই শেষপর্যন্ত ফুয়াদ বিয়েতে রাজি হন বলে তার এক কাছের বন্ধু জানিয়েছেন।
কনে মায়ার জন্ম বাংলাদেশে হলেও বড় হয়ে উঠেছেন আমেরিকায়।
তার পরিবারের সবাই আমেরিকাতেই সেটেলড। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া থেকে মায়া গ্রাজ্যুয়েশন করেছেন। মায়া ফুয়াদের গানের ভক্ত। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ। ফুয়াদ মায়ের কাছে আমেরিকায় থাকার সময় মায়ার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বিয়েতে ফুয়াদের খুব কাছের কয়েকজন বন্ধুবান্ধব ছাড়া সঙ্গীতাঙ্গন বা মিডিয়ার তেমন কেউ উপস্থিত ছিল না। বিয়ে করা বিষয়টি নিয়ে ফুয়াদের এতো রাখ-ঢাক কারণ হিসেবে জানা গেছে, দুই পরিবারই তাদের এই বিয়েটি মেনে নিতে পারে নি। তাছাড়া ফুয়াদের সাবেক প্রেমিকা এই বিয়ে নিয়ে ঝামেলা তৈরি করতে পারেন বলে বিষয়টি তারা চেপে গেছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে ফুয়াদ আর মায়া আমেরিকা গেছেন পারিবারিক জটিলতা মেটানোর জন্যই। আগামী মাসে দেশে ফিরে তারা বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করবেন বলে ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।