আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিন লাদেনের দ্বিতীয় স্ত্রী সিআইএ'র এজেন্ট!

নাজমুল ইসলাম মকবুল

বিন লাদেনের দ্বিতীয় স্ত্রী সিআইএ'র এজেন্ট! সৈয়দ আবদাল আহমদ, ইসলামাবাদ থেকে মার্কিন বাহিনী পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মাধ্যমে। ধারণা করা হচ্ছে, বিন লাদেনের দ্বিতীয় স্ত্রী মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। ইসলামা-বাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বিশ্লেষক উচ্চপর্যায়ের সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, লাদেনের স্ত্রী আফগানিস্তান থেকে ইয়েমেন হয়ে তেহরান গিয়েছিলেন একবার। সেখান থেকে তিনি পাকিস্তানে আসেন।

মার্কিন বাহিনীই তাকে পাকিস্তানে ঢোকার সুযোগ করে দেয় বলে মনে করছেন এই বিশ্লেষক। তিনি আরও জানান, অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যার বিষয়ে মার্কিন বাহিনী পাকিস্তানকে আগে কিছুই জানায়নি। মার্কিন অভিযান ছিল খুবই নিখুঁত। তারা শব্দবিহীন হেলিকপ্টার এম আই-১৬ ব্যবহার করে। এগুলো দ্রুতগতির এবং প্রায় শব্দবিহীনভাবে চলতে পারে।

‘স্টিলথ-অ্যাওয়াকস’ প্রযুক্তির এ জঙ্গি হেলিকপ্টারগুলো দ্রুত এসে আবার দ্রুত ফিরে যেতে পারে। এসব কপ্টারে স্পর্শকাতর যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। ফলে এগুলো রাডারে ধরা পড়েনি। কপ্টারগুলো আফগানিস্তানের বাগরাম থেকে উড়ে আসে। বিন লাদেনকে হত্যা ছাড়া এর আগে আল কায়দা ও তালেবানবিরোধী সব অভিযানই আমেরিকা ও পাকিস্তান যৌথভাবে পরিচালনা করেছে।

এদিকে পাকিস্তান সফররত বাংলাদেশের দশ সদস্যের মিডিয়া প্রতিনিধিদল পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহমিনা জানজুয়া এবং কায়দে আযম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিফেন্স ও স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রিফাত হোসেনের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে দীর্ঘ বৈঠক করে। বৈঠকে মার্কিন অভিযান, লাদেন হত্যা এবং পাকিস্তানের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এর আগে অভিযানের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানি ড. রিফাত হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। জানজুয়া জানান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গত ১০ বছরে পাকিস্তানের ৩০ হাজার বেসামরিক ও ৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছে। ড. রিফাত জানান, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন নিয়ে দেশের মানুষ এখন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আল কায়দার শতকরা ৮০ ভাগ নেতাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বিন লাদেনকে পাকিস্তানের মাটিতে পাওয়া যাওয়া আমাদের ‘ব্যাডলাক’। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে বিশ্বের প্রায় সব গোয়েন্দাই তো এই ব্যক্তিকে খুঁজে বেড়িয়েছে। এর দায় তো শুধু পাকিস্তানের নয়। এদিকে গতকাল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানিসহ নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বৈঠক করেন।

এরপর তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এ বৈঠকে মার্কিন অভিযান এবং লাদেনের পাকিস্তানে অবস্থানের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ২ মে’র ঘটনাবলীর পর পাকিস্তানের সর্বত্রই নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গতকাল ভোরে বাংলাদেশ মিডিয়া দলের দু’জন সদস্য বিন লাদেনের অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ইসলামাবাদে ফেরত পাঠায়।

প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির বিষয়ে শিগগিরই সম্মেলন আয়োজন করবেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান। সুত্র: আমার দেশ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।