আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে.............

হৃদয়ের দু'পাট ঠেলে স্মৃতিরা ঝড় তোলে দুঃখক্রোধে।

প্রভাতে সূর্যের ঝলমল আলো মুখে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমার। চোখ খুলেই অদ্ভুত এক ভালোলাগা অনুভব করি- নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে সুখের ছোঁয়া, আহা কি শান্তি!!! ''আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। '' কবিতাটি আবৃত্তি করতে করতে এক নজর নিজেকে আয়নায় দেখে নিলাম। বাহ! চোখেমুখে সুখের ঝিলিক।

যাক আজকের দিনটা অনেক ভালোই যাবে মনে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিনের শুরু দেখে বুঝতে পারি কিভাবে কাটবে সারাদিন। যেদিন মন খারাপ দিয়ে দিন শুরু হয়, কেমন অস্থির লাগে। যেদিকে তাকাই মনে হয় কষ্টের জোয়ার। আকাশে-বাতাসে কষ্টের ছোঁয়া।

সারাদিন কেমন যেন বিষণ্ণতা, অবসাদের মধ্যে থাকি। আবার মাঝে মাঝে একটু ভালো, একটু খারাপ নিয়ে শুরু হয় দিন। সেইদিন আমার অনেক প্রিয় কারণ বেশি খুশিতে ভয় লাগে যদি পরের দিন অনেক খারাপ ভাবে শুরু হয় তাই। আবার বেশি দুঃখ-কষ্টও ভালো লাগেনা। ফ্রেস হয়ে নাস্তা করার পর পরই ও’কে কল দিলাম।

ও’টা হলো আমার বন্ধু রিয়া। যার সাথে আমি এতো কথা বলি তারপরও মনে হয় কত কথা বলা হয়নি। এমন কি মনে মনে সারাক্ষণ ওর সাথে কথা বলি। মাঝে মাঝে স্বপ্নেও আমাদের কথা হয়। মজার ব্যাপার হল আমাদেরকে কেউ প্রথমে দেখলে মনে করে আমরা নাকি যমজ বোন।

আমাদের কলেজের সবাই ভাবতো আমরা যমজ। অনেকে ভুল করে আমাকে রিয়া আর রিয়াকে আমার নাম ধরে ডাকতো। আমাকে রিয়া ভেবে কত কথা বলে যেতো, আমি তো মনে মনে হাসতে হাসতে শেষ। কলেজে আমাদের নাম ছিল টুইন্স। কেউ যদি জিজ্ঞেস করতো, তোমরা কি যমজ বোন? আমরা বলতাম না আমরা যমজ বন্ধু।

এই সব শুনতে শুনতে আমরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একজন আরেকজন’কে বলি, ‘এই আমরা নাকি দেখতে যমজ?’ সে বলে, ‘হুম সবাইতো তাই বলে শুনি। কিন্তু তুইতো দেখতে বাঘের মতো, দেখলেই ভয় লাগে। ’ ‘তাই.....আর তুই কি? দেখতে হাতির মতো। যা সর আয়নায় তোর জায়গা হবেনা। ’ তাইলে সবাই আমাদেরকে যমজ বলে কেন? সবার কি চোখ নষ্ট নাকি!? ওর আর আমার মনের এত মিল।

একজন আরেকজন’কে এত বুঝি যে, কে কেমন আছি কিছুই বলতে হয়না। এমনিতেই বুঝে যাই, পছন্দও বলা যায় একই রকম। মাঝে মাঝে মনে হয় একটাই আত্মা দুই দেহে ঢুকে বসে আছে। ও’কে ফোন দিতেই রিসিভ করে বলে, ‘ওহ...শুশি এই মাত্র তোকে ফোন দিতে চেয়েছিলাম। ’ ‘তাই নাকি? কেন?’ ‘এমনি কোন কারণ নেই।

সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেলো তাই ভাবলাম তোকে ফোন দেই। কেন আমি কি তোকে ফোন করতে পারিনা? তুইতো মনে করে ফোন দিলিনা একবার!’ ‘আরে তুই ছাড়া আমাকে আর কে ফোন করবে বল?’ ‘থাক থাক আর এত ভাব দেখাতে হবে না। আজ মন ভালো তাই ক্ষমা করে দিলাম। ’ ‘হুম, কিন্তু মন ভালো কেন?’ ‘কেন তুই জানিসনা আমার মন ভালো খারাপের কোন কারণ থাকেনা?’ ‘ও সেই কথা!? চলে আয় আমার বাসায়। সারাদিন আড্ডা দেব।

’ ‘নাহ তারচেয়ে চল কোথাও ঘুরে আসি। ’ ‘আচ্ছা আমাকে একঘন্টা সময় দে আমি আসছি। ’ ‘তাড়াতাড়ি চলে আয়। ফোন রাখি, বাই। ’ আমিও তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেই।

ও এসে যদি দেখে আমি এখনও রেডি হইনি ভাষণ শুরু করবে। রেডি হয়ে নিচে নামতেই ও এসে হাজির। আমি বললাম, ‘রিয়া কিছু খাবি?’ ‘নাহ চল বাইরে খাব। কোথায় যাব আমরা? জানিনাতো, কোথায় যাব! ধর নির্দিষ্ট কোথাও যাবনা, অজানার উদ্দেশ্যে আজ আমাদের পথ চলা.......’ আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে.............

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।