লেখক নই, মূলত পাঠক।
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪
লিঙ্কঃ ক্লিক
Sat, May 7th, 2011 12:37 am BdST
ঢাকা, মে ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মহাশূন্যে ঘূর্ণায়মান গ্রহাণুপিণ্ডের আশেপাশের স্থান-সময় (স্পেস-টাইম) যে বেঁকে যায়- মহামতি আইনস্টাইন তার অপেক্ষবাদ (রিলেটিভিটি) তত্ত্বেই তা বলে গিয়েছিলেন। ৫২ বছর ধরে ৫৫ কোটি ডলার ব্যয় করে মার্কিন বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত প্রমাণ পেয়েছেন যে, আইনস্টাইন ভুল করেননি।
অরবিটিং জাইরোস্কোপের ওপর ১৯৫৯ সাল থেকে গবেষণা চালিয়ে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নিয়ে ২০০৪ সালে একটি প্রকল্প শুরু করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
দ্য গ্র্যাভিটি প্রোব-বি নামের ওই প্রকল্পের প্রধান ফ্রান্সিস এভারিট শুক্রবার নাসা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "আইনস্টাইনের তত্ত্বের সত্যতা পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
আইনস্টাইন টিকে গেছেন। "
তিনি জানান, কৃত্রিম উপগ্রহের ভেতরে গবেষণা চালিয়ে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, পৃথিবী তার কক্ষপথে পরিভ্রমণের সময় আশেপাশের স্পেস-টাইমকে খুব মৃদুভাবে হলেও বাঁকিয়ে দিচ্ছে। এমনকি সে (পৃথিবী) তার সময়কে নিজের সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা হলেও ঘুরিয়ে দিচ্ছে।
বিষয়টি ব্যাখ্য করতে গিয়ে এভারিট বলেন, "মনে করুন পৃথিবী এক গামলা মধুর মধ্যে ডুবে আছে। এখন পৃথিবীকে ঘোরানো হলে এর চারপাশের মধুর একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবে।
মহাশূন্যেও ঠিক একই ঘটনা ঘটছে। "
তিনি জানান, গ্র্যাভিটি প্রোব-বি নামের উপগ্রহটিকে মহাশূন্যে স্থাপনের পর মূলত দুটি বিষয় নিয়ে পরীক্ষা চালান তারা। এর একটি হলো মাধ্যাকর্ষণ নিয়ে আইনস্টাইনের তত্ত্ব। আর দ্বিতীয়টি হলো- গ্রহাণুর চারপাশে সময়ের বেঁকে চলার বিষয়ে আইনস্টাইনের বক্তব্য।
উপগ্রহের ভেতরে মাধ্যাকর্ষবিহীন পরিবেশ সৃষ্টি করে বিশেষভাবে তৈরি চারটি বলের আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে আইনস্টাইনের তত্ত্বের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এর মধ্য দিয়ে কৃষ্ণ গহ্বর (ব্ল্যাক হোল) ও মহাবিশ্বের স¤প্রসারণের মতো তত্ত্বগুলো বোঝা আরেকটু সহজ হবে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা প্রতিবেদন ফিজিক্যাল রিভিউ লেটারস নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশ করা হবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এএইচ/জেকে/০০৩৪ ঘ.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।