আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলইডি ব্যাকলাইটিং এর ব্যবচ্ছেদ

এই ব্লগবাড়ি ব্লগারের মতই ছন্নছাড়া । হুটহাট যা লিখতে ইচ্ছা করে, লিখে ফেলা হবে। বেশি ভাবাভাবির সময় নাই।

LED ব্যাকলাইটেড LCD: LCD অর্থাৎ Liquid Clear Display টেকনোলজির পর্দায় ছবি ফোটানোর জন্য আলাদা লাইট সোর্সের প্রয়োজন হয়। সামনের পর্দায় আলোক উৎস হিসেবে ট্র্যাডিশনাল LCD ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হত Cold-Cathode Fluorescent Lamp (CCFL) লাইটিং যেখানে থাকত টিউব লাইটের মত চিকন চিকন অনেকগুলো লাইট- কিন্তু LED ব্যাকলাইটিং-এ লাইট সোর্স হিসেবে ক্যাথোড লাইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় LED লাইটের সারি- LED ব্যাকলাইটিং এর কিছু সুবিধাঃ ১. বিদ্যুৎ খরচ আগের LCDগুলো থেকে কিছুটা কম।

২. লাইটিং এর উপর কন্ট্রোল কিছুটা বেশি হওয়ায় কনট্রাস্ট লেভেল ভাল। ৩. ট্র্যাডিশনাল LCD থেকে দীর্ঘস্থায়ী। ৪. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর মার্কারী নেই, তাই পরিবেশবান্ধব। অনেক বিক্রেতাকেই দেখা যায় এই LED মনিটরগুলোকে "নতুন জেনারেশন" এর প্রোডাক্ট বলে বিক্রি করতে। যে ব্যাপারটা তারা ক্রেতাদের কখনও বলেন না সেটা হল বাজারের LCD মনিটর আর তথাকথিত LED মনিটরগুলোতে শুধু ব্যাকলাইটিং সোর্স এর পার্থক্য ছাড়া সামনের প্যানেলের টেকনোলজি কিন্তু একই- LCD!! মোদ্দা কথা, বাজারে “LED মনিটর” নামের 'লেটেস্ট টেকনলজি'র ট্যাগযুক্ত দেদারসে বিক্রি হওয়া মনিটরগুলো সত্যিকার অর্থে নতুন কোন জেনারেশন বলা যাবেনা।

এগুলো সেই পুরোনো LCD- টেকনলজিরই নতুন ভার্সন যেখানে ব্যাকলাইটিংটা করা হয় LEDs দিয়ে. নতুন জেনারেশনের ডিসপ্লে ব্যবহার করতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে দামী OLED (যেখানে আলাদা কোন ব্যাকলাইটিং এর প্রয়োজন হয়না) কিংবা Plasma প্রযুক্তির।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।